বন্যপ্রাণীর অবাধ বাণিজ্য বন্ধে কতটা সক্ষম চীন

  করোনা ভাইরাস


ফাতেমা তুজ জোহরা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। শুরুতে ধীর গতিতে সংক্রমণ শুরু হলেও কিছুদিনের মাথায় মহামারি আকার ধারণ করে করোনাভাইরাস। এমন সংকটকালীন অবস্থায় এ ভাইরাসের উৎস খুঁজতে উহানের একটি বন্যপ্রাণী বিক্রয়ের মার্কেট থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছে চীন কর্তৃপক্ষ।  

যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। মার্কিন গবেষকরা বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। তবে গত তিন মাসেও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ মেলেনি। বাদুর, সাপ ও বনরুই থেকে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে বলেও জানান তারা।  

বন্যপ্রাণী খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ

চীনে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার আড়াই মাস পর গত ৬ মার্চ বন্যপ্রাণী খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চীন কর্তৃপক্ষ। চীনে লাভজনক বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধ হলেও সামনের দিনগুলোতে মহামারির প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করা যাবে বলে মনে করে চীন কর্তৃপক্ষ।

তবে সাময়িক এ নিষেধাজ্ঞা পর পরিবেশ রক্ষায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি আইন এ বছরের শেষ দিকে চীনের সংসদে পাস হতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। চীনের পক্ষে বন্যপ্রাণীর অবাধ বাণিজ্য বন্ধ করা এতটা সহজসাধ্য নয়। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে চীনের গোটা অতীত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। শুধু বন্যপ্রাণী খাওয়া নয় চীনে ওষুধ থেকে শুরু করে কাপড়, অলংকার তৈরি হয় বন্যপ্রাণী থেকে।

তবে বন্যপ্রাণী বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা চীনে এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর সাপ খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় চীন। সে সময় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও মামলা দেওয়ার রেকর্ডও ছিল। কিন্তু সে প্রেক্ষাপটের পর খুব বেশি দিন নয়, ২০১৯ সালে এসে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। আর এখন গোটা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্যপ্রাণী খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জরুরি নয়। বরং চীনের বেইজিং শহরে বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে চীনের আদিম ওষুধ বানানো বন্ধ ও  সংস্কৃতিবান্ধব মনোভব গড়ে তোলা জরুরি।

অবাধ বাণিজ্যের প্রসার

চীনের সামুদ্রিক প্রাণীর মার্কেটগুলোতে শুধুমাত্র মাছ নয় এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর কেনাবেচা চলে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন'র এক প্রতিবেদনে ওইসব দোকানগুলোতে সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি খাঁচায় রেখে সাপ, শিয়াল, শজারু ও হরিণ বিক্রি করতে দেখানো হয়।

এখন প্রশ্ন আসে শুধু কি উহানের বন্যপ্রাণী কেনাবেচার মার্কেট দায়ী? চীনজুড়ে এমন হাজারও বন্যপ্রাণী কেনাবেচার দোকান রয়েছে। হুমকির প্রশ্ন তখনই আসে, যখন বিভিন্ন পরিবেশ থেকে বহু বন্যপ্রাণী মানুষের কাছাকাছি রেখে সংরক্ষণ করা হয়।    

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিও পুন বলেন, এসব বন্যপ্রাণীদের নিজস্ব ভাইরাস আছে। এসব ভাইরাস এক শরীর থেকে অন্য শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। এমনকি এসব ভাইরাস বাজারে থাকা অন্য প্রাণীর শরীরেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যেখানে প্রতিদিন বড় সংখ্যক মানুষ চীনের এসব বাজারে যাচ্ছে, সেখানে এসব ভাইরাস খুব সহজেই মানুষের শরীরে আসতে পারে।

অধ্যাপক পুন একমাত্র ব্যক্তি যিনি ২০০৩ সালে মহামারি আকার ধারণ করা সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ ডিকোড করেছিলেন। চীনের গুনজুয়াং প্রদেশের একটি বন্য বিড়ালের মাংস থেকে এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিল। তবে সার্স ভাইরাস এই বিড়ালের শরীরে ছিল না অর্থাৎ অন্যপ্রাণী থেকে কোনো ভাইরাস এই বিড়ালের শরীরে এসে তারপর সংক্রমিত হয়েছে। 

কেন এসব প্রাণী খাচ্ছে চীনের মানুষ

এসব বন্যপ্রাণী খাওয়ার পিছনে কারণ কী হতে পারে এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেশকিছু চীনা নাগরিক জানান,  এসব বন্য প্রাণী খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এছাড়া এসব বন্যপ্রাণী খুব ব্যয়বহুল। সুতরাং আপনি যদি কাউকে ট্রিট দিতে চান, এসব ব্যয়বহুল বন্যপ্রাণী খাওয়ানোর মাধ্যমে সেসব অতিথিদের এক ধরনের মূল্যায়ন/ শ্রদ্ধা করছেন বোঝায়। 

ব্যয়বহুল সব বন্যপ্রাণি কেনাবেচা এতটাই প্রসার লাভ করেছে যে, এ নিষেধাজ্ঞা বেশিতে দুই-তিন মাস টিকে থাকবে ব্লে মনে করেন চীনা নাগরিকরা।  

নিষেধাজ্ঞায় কোন কোন প্রাণী খাওয়া যাবে না তার লিস্ট প্রকাশ না করলেও আপাতত বন্যসম্পদ রক্ষার্থে নেকড়ে, বন্য বিড়াল, কবুতর খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য

মহামারি বন্ধ করতে গিয়ে হাজার কোটি টাকার এ বন্য প্রাণীর অবাধ বাণিজ্য বন্ধে চীন কতোটা কঠোর হবে এটাও ভাবার বিষয়।

২০০৭ সালের এক পরিসংখ্যান মোতাবেক, বন্যপ্রাণী বাণিজ্যে চীনের বাৎসরিক আয় ৭৩ বিলিয়ন ডলার। শুধু তাই নয় এ থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আড়াই মাসের মধ্যে চীনে প্রায় ২০ হাজার বন্যপ্রাণী কেনাবেচার মার্কেটগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

চীনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ২০১২ সালের পরিসংখ্যান মোতাবেক, চীনের এক তৃতীয়াংশ মানুষ সারাজীবন বন্যপ্রাণী খাওয়া থেকে শুরু করে এর পোশাক ও অলংকার ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ তারা সম্পূর্ণভাবে বন্যপ্রাণীর উপর নির্ভরশীল। আর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ চীনের ৫২ শতাংশ মানুষ সঠিক বলে মনে করেন। অপরদিকে বেইজিং প্রদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এর বিরুদ্ধে।  

চীনের চিরায়িত চিকিৎসা সেবা

চীনের এসব বন্য প্রাণী থেকে তৈরি ওষুধের বৈশ্বিক বাজার এখন ১৩০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সুতরাং বন্যপ্রাণী বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা চীনের চিকিৎসা বাজারে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

অনেক প্রাণীর অংশবিশেষ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। হরিণের মাংস খেলেও এর রক্ত এবং ভাল্লুক ও সাপ ওষুধ দিয়ে তৈরি হয় এসব ওষুধ। তবে ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান মতে, এসব প্রাণী দিয়ে ওষুধ তৈরি করা হলেও সাপ ও ভাল্লুকের মাংস চীনা নাগরিকরা খেয়ে থাকেন।

এমনকি চীনের অনেক মানুষ বিশ্বাস করে, এসব প্রাণী খেলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাদুড় ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বলে বিশ্বাস করেন চীনের নাগরিকরা।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক চীনা নাগরিক বলেন, একদিন কোমর ব্যথায় আমি নড়তে পারছিলাম না। এমন সময় আমার এক বন্ধু আমাকে সাপের স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে খাওয়ার কিছুদিনের মাথায় আমার কোমর ব্যথা ঠিক হয়ে যায়।

সাংস্কৃতিক মনোভাবের পরিবর্তন

অধ্যাপক লিও পুন বলেন, বন্য প্রাণী খাওয়া চীনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি অংশ। এর ধারাবাহিকতায় তারা যদি নির্দিষ্ট কিছু প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে তাহলে ঠিক আছে।

কিন্তু এর নিশ্চয়তা দেবে কে? অবশ্যই চীনকে এমন নীতিমালা নিয়ে আসতে হবে যেখানে তারা এসব প্রাণীর পরিষ্কার মাংস সরবরাহ করবে। একইসঙ্গে বায়োসিকিউরিটি ও চেকিং সংক্রান্ত বিষয়গুলোও আমাদের ভাবতে হবে।

একটি  নিষেধাজ্ঞা আরোপ অনেক প্রশ্ন ও ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বাণিজ্যটি যদি দ্রুত অবৈধ ঘোষণা করা হয় তাহলে শহর থেকে এসব বন্য প্রাণীর মার্কেটগুলো অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হবে। এসব মার্কেটের বিস্তার তখন গ্রামের দিকে হবে। কর্তৃপক্ষের নজর সরাতে আর তাদের বাণিজ্য সুবিধাজনক করতে তারা ব্ল্যাকমার্কেটের মাধ্যমে প্রসার লাভ করবে। 

এখন আমরা দেখছি শহরের দোকানগুলো থেকে এসব ভাইরাস ছড়াচ্ছে। কিন্তু তখন দেখা যাবে এসব ভাইরাস গ্রাম থেকে ছড়াচ্ছে।

বন্য প্রাণীর অবাধ বাণিজ্য বন্ধ করতে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা আর আইনের সঠিক প্রয়োগ। অবশেষে মূল বিষয়বস্তু হলো- ‘রাতারাতি সংস্কৃতির পরিবর্তন সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন সময়।’

সূত্র: সিএনএন

   

ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে : রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তার দেশের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে যদি তেল আবিব সামান্য পদক্ষেপও নেয়, তবে তারা বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলে প্রথম সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছে তেহরান।

হামলাটি সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ৭ জন বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারকে হত্যার প্রতিক্রিয়া বলে দাবি করেছে ইরান।

রাইসি সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন কলে বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে, ইরানের বিরুদ্ধে সামান্যতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, ব্যাপক এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে।’

রাইসির অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময় তিনি থানিকে পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে।’

তিনি ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য কিছু পশ্চিমা দেশের সমালোচনা করেন।

এদিকে, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি সোমবার (১৫ এপ্রিল) নজিরবিহীন হামলার জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হ্যালেভি ইরানের গত শনিবার রাতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে সেনাদের বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এতগুলো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে তেল আবিব।’

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ওই আক্রমণে সামান্য ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণ, নিহত শতাধিক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান জুড়ে বজ্রপাত ও ভারী বর্ষণের ফলে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে আঘাত হানা ঝড়ের কারণে কমপক্ষে ৫০ জন মারা গেছে। দেশটির প্রশাসন জরুরি সেবাদানকারী পরিষেবাগুলিকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানে বেশিরভাগ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়াতে। যেখানে প্রবল বর্ষণ এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ভূমিধস হয়েছে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে গেছে।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারী বর্ষণের ফলে এখানে ২১ জন মারা গেছে, এই সপ্তাহে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজধানী ইসলামাবাদেও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে সাতজন নিহত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ার এবং বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন যে, তিনি কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) আবহাওয়ার তীব্র পরিস্থিতির পূর্বাভাসের মধ্যে জরুরি পরিষেবাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলেছে।

এদিকে আফগানিস্তান ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএনডিএমএ) মঙ্গলবার জানিয়েছে, মৌসুমি বৃষ্টি এবং প্রবল বন্যার কারণে আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও ৩৬ জন।

বজ্রপাত ও ভারী বর্ষণের ফলে আফগানিস্তানে ৬০০ টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ২০০ গবাদি পশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২০টিতে আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গেছে।

  করোনা ভাইরাস

;

‘মাই নেম ইজ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১০ সালের বলিউড ফিল্ম ‘মাই নেম ইজ খান’-এ রিজওয়ান খান চরিত্রে শাহরুখ খানকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মাই নেম ইজ খান, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’

বলিউড বাদশার সেই সংলাপ ১৪ বছর পর আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে এলো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।

এনডিটিভি জানিয়েছে তিনি বলেছেন, ‘মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’ আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা সঞ্জয় সিং মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলবন্দি কেজরিওয়ালের একটি বার্তা পড়ে শোনাতেতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন।

গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারিনীতি বিষয়ক মামলায় ধৃত কেজরিওয়ালের বর্তমান ঠিকানা এখন তিহার কারাগার। সেখানকার দুই নম্বর সেলেই দিন কাটছে তার। তবে, গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি তিনি।

আপ দাবি করেছে, জেল থেকেই সরকার চালাবেন কেজরিওয়াল। বন্দি হওয়ার পর থেকেই স্ত্রী সুনিতাসহ আপের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর মাধ্যমে নিজের বার্তা জানিয়ে আসছেন তিনি। তেমনই এক বার্তা মঙ্গলবার পড়ে শোনালেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয়।

আপ সাংসদের অভিযোগ, ‘জেলে কেজরিওয়ালের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে।’

সোমবার তিহারে গিয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। তিহার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, একজন দাগী আসামিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, কেজরিওয়ালকে সেটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। তার দোষটা কোথায়?’ মঙ্গলবার একই অভিযোগ করেছেন সঞ্জয়ও।

সেইসঙ্গে আপ সাংসদ অভিযোগ করেছেন, ‘জেলে কাছের মানুষের সঙ্গে কেজরিওয়ালকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটিই স্পষ্টতই একটি প্রতিহিংসার রাজনীতি। এভাবে তাকে আটকে রাখা যাবে না। এতে করে তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।’

সঞ্জয় বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যিনি দেশ এবং দিল্লির জনগণের জন্য তাদের ভাই এবং পুত্রের মতো কাজ করেছেন, তিনি জেল থেকে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।

আপ প্রধান বলেছেন, ‘মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’

আপ সাংসদ আরও বলেন, ‘আপনি যতই তাকে (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) ভাঙার চেষ্টা করবেন, ততই তিনি শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের সকলের কাছে একটি সংবেদশীল বিষয়, কিন্তু বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য লজ্জার।’

  করোনা ভাইরাস

;

ইসরায়েলে হামলার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনা সাময়িক বন্ধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান সোমবার (১৫ এপ্রিল) বলেছেন, ‘নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে তাদের পারমাণবিক স্থাপনা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে ইরান।’

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলে কয়েকশ’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার পর তেহরান এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কি-না।

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বদা এমন হামলার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইরানে অবস্থানকারী আমাদের পরিদর্শকদের দেশটির সরকার জানিয়েছে, ‘আমরা প্রতিদিন যেসব পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন করছি নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে সেসব স্থাপনা রবিবার বন্ধ থাকবে।’

গ্রোসি বলেন, ‘সোমবার পারমাণু স্থাপনাগুলো ফের খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে পরিদর্শকরা ওই দিন পর্যন্ত এসব স্থাপনা পরিদর্শনে যাবেন না।’

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পরিদর্শকদের সেখানে যেতে দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এদিকে, ইসরায়েলের প্রতি ইরানের সংযমের প্রশংসার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সোমবার (১৫ এপ্রিল) আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর পর দেশটি এ আহ্বান জানাল।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরিবর্তে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত হবে নিজেদেরকে দোষারোপ করা।’

কানানি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইরানের সংযমের প্রশংসা করা উচিত।’

অন্যদিকে, গত ১ এপ্রিলের ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতভর ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

ওই হামলার জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে তার কয়েক সেকেন্ড ব্যবধানেই ইরান ফের হামলা চালাবে এবং এর যথেষ্ট সক্ষমতা আছে বলে হুমকি দিয়েছে তেহরান।

ইরানের রাজনীতিবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি এই হুমকি দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান উত্তেজনার মধ্যে আলি বাঘেরি কানি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় ইরান কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে। নজিরবিহীন হামলার পর এবার ইসরায়েলকে কঠোর হুমকি দিল ইরান।

  করোনা ভাইরাস

;