জনসমাগম কমাতে অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্র সৈকত বন্ধ ঘোষণা
করোনা ভাইরাসনভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমাতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জনসমাগম কমানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান সরকারও।
তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে দেশটির নাগরিকরা জমায়েত হচ্ছে বন্ডি সমুদ্র সৈকতে। গণজমায়েতের সীমা অতিক্রম করায় সিডনির পুলিশ সমুদ্র সৈকতটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) এক ছবিতে দেখা যায়, বন্ডি সৈকতে প্রচুর মানুষ সাঁতার কাটছে, সার্ফিং করছে এবং বালির ওপর শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া সরকার ৫'শর বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বন্ডি সমুদ্র সৈকতে দলবেঁধে লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে সমুদ্র সৈকতটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ মিনিস্টার ডেভিড ইলিয়ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লাইফগার্ডরা সৈকতে মানুষ গুণে দেখবে। যদি ৫'শর বেশি মানুষ পায় তাহলে সৈকত বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে সেখান থেকে সরিয়ে দিবে। যদি কেউ চলে যেতে না চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি নিয়ম না মানা হয় তাহলে অন্য সমুদ্র সৈকতগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন ইলিয়ট।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বিবিসিকে বলেন, সৈকতে যাওয়া মানুষদের আচরণ একেবারে অপ্রত্যাশিত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপদেশ মেনে চলা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেককে দেড় মিটার দূরত্বে অবস্থান করা উচিত।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সামাজিকতার ক্ষেত্রে নতুন নিয়মের ঘোষণা করেছেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইনডোর ভেন্যু যেমন বার এবং রেস্তোরাঁয় মানুষের ঘনত্ব একেবারে কম রাখতে হবে। একেকজন আরেকজনের থেকে কমপক্ষে চার বর্গ মিটারে দুরুত্বে থাকবে। আগের নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা ইনডোরে ১০০ জন ও আউটডোরে ৫০০ জন অপরিবর্তিত আছে।
বিবিসিতে এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৭।