পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে করোনা, উদ্বিগ্ন মমতার সরকার

  করোনা ভাইরাস


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে করোনা, উদ্বিগ্ন মমতার সরকার

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে করোনা, উদ্বিগ্ন মমতার সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

তখনো পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্পান প্রবেশ করেনি। তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাথে পরিযায়ী শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফেরানোর চুক্তি হয়েছিল। এরপরই পশ্চিমবঙ্গকে আম্পান লন্ডভন্ড করে দেয়। তবে পূর্বনির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী মহারাষ্ট্র থেকে ১৪টি ট্রেনে ৫০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসছে। তার জেরেই রাজ্যের ছেয়ে যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, ভারতের মহারাষ্ট্র সবচেয়ে করোনা কবলিত অঞ্চল। সেই অঞ্চল থেকে ৫০ হাজার শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে ফিরলে করোনা মহামারির রূপ নিতে পারে এমনটাই জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। এমনকি রাজ্য সরকারের ভুল পদক্ষেপে মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষজ্ঞদের সেই আশঙ্কা সত্যে পরিণত হতে চলেছে।

ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক আসার পর পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ যেমন দ্রুতহারে বাড়ছে তেমনি কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও গত কয়েক দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।

আগে যেখানে ১৪টি জেলার মধ্যে কন্টেইনমেন্ট জোন সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা বেড়ে ১৯টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

এর জেরে অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার (২৭ মে) বলেছিলেন, 'করোনা আমরা কন্ট্রোল করে ফেলেছিলাম, কিন্তু পরিকল্পনা ছাড়াই লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আসার ফলে যে সব জেলায় সংক্রমণ ছিলো না, সেখানেও এখন তা দেখা দিচ্ছে।'

ইতিমধ্যে ট্রেন, বাস, গাড়ি ও নিজের উদ্যোগে ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক এবং বহু মানুষ আসাতে শুরু করেছে। ফলে করোনা সংক্রমণ পশ্চিমবঙ্গে দ্রুতহারে বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ পর্যন্ত রাজ্যে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ অন্য রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন, আরও বহু মানুষ আসার অপেক্ষায়। এভাবে যদি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি প্রভৃতি করোনা সংক্রমিত এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ আসেন, তাহলে রাজ্যে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে উদ্বিগ্ন মমতা। আর রাজ্যে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে কলকাতায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৩৪৪ জনের। মারা গেছেন ৬ জন। সব মিলিয়ে মোট সক্রিয় ও আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে বেড়ে হয়েছে ৪৬৪৬ ও ২৫৭৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১৭ জনের। এখনো পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫৭৮ জন।

এছাড়া ভারতের নিরিখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৯৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭ জনের বেশি।

   

ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা 'ওয়ার মনিটর' জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে "লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি একটি এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হামলায় ৩৬ সিরীয় সৈন্য" নিহত হয়েছে"।

সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে চালানো সিরিয়ায় বিমান হামলায় হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।

  করোনা ভাইরাস

;

রাশিয়ার ২৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন, রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ব্ল্যাক সি’য়ের ওপর থেকে রাশিয়ান বিমানের নিক্ষেপ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের যুদ্ধক্ষমতা হারিয়েছে।

ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, পরবর্তীতে রাশিয়া সকালে আরও একবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

  করোনা ভাইরাস

;

গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছে, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, এই রায়টি যথেষ্ট নয়। দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানোর জন্য যেকোনও নতুন দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে আমরা আশা করি যে গাজায় আমাদের লোকেরা যে সমস্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে তার সমাধান হিসেবে আদালত যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভোট দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট থেকে বিরত ছিল, কিন্তু ভেটো দেয়নি।

  করোনা ভাইরাস

;

গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া মুখতার আনসারি মারা গেছেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)  রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার কারাগারে অজ্ঞান হয়ে গেলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে জেলার রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। পরে নয়জন ডাক্তারের একটি দল তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৪ ঘণ্টা আইসিইউতে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ৫ বারের এই সংসদ সদস্য ২০০৫ সাল থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আনসারিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই হাসপাতালের বাইরে পুলিশের একটি বড় দল মোতায়েন করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যুর পরে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেছেন, বান্দা, মাউ, গাজিপুর এবং বারাণসী জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;