‘মাস্ক-সেনিটাইজার নিয়ে যেন পেঁয়াজের মতো ব্যবসা না হয়’

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্ট/ছবি: বার্তা২৪.কম

হাইকোর্ট/ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে মাস্ক, সেনিটাইজার নিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট, কালোবাজারি করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৯ মার্চ) নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দেওয়া প্রতিবেদনে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্ট বলেন, মাস্ক-সেনিটাইজার কেউ যাতে বেশি দাম না নিতে পারেন এবং মজুত না করতে পারেন সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি তদারকি করা দরকার।

এর আগে ৫ মার্চ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চান হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই তথ্য জানানোর জন্য বলা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

আদালত তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। প্রথমত, স্থল, নৌ ও বিমানবন্দর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসছেন, তখন তাদের কী ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে, যারা পরীক্ষা করছেন, তারা প্রশিক্ষিত কি না এবং যে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কি না, তা জানাতে বলেছেন।

দ্বিতীয়ত, সারা বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনাভাইরাসের জন্য পৃথক কেবিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় এখন পর্যন্ত প্রাক্‌–প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আদালত সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সব বেসরকারি হাসপাতালেও করোনাভাইরাসের জন্য প্রাক্‌–প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

তৃতীয়ত, প্রতিটি হাসপাতালে বা বন্দরে যেখানে শনাক্তের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হবে, সেখানে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম রয়েছে কি না, যদি না থাকে, জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আদালত।