এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলবে সুখী পরিবার

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সুখী পরিবারের সংজ্ঞা জানতে চাওয়া হয় সবসময়। কিন্তু সবকিছু একটি সাধারণ সংজ্ঞার পরিসরে আবদ্ধ থাকে না। আনন্দময় ও সুখী পরিবারের বিষয়টিও ঠিক তেমন। সকল বয়সী, সকল ধরনের সদস্যদের মিলে গড়ে ওঠে একটি পরিবার। পরিবারের সবার মাঝে সুখ খুঁজে পেতে চাইলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কিছু বিষয় ও নিয়ম মেনে চলার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তবে পাওয়া সম্ভব কাঙ্ক্ষিত সুখী পরিবার।

বয়স্কদের প্রতি ভালোবাসা

পরিবারের সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ সদস্যর প্রতি শুধু শ্রদ্ধা, সম্মান নয় ভালোবাসাও থাকা চাই। তার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশও থাকা চাই সমানভাবে। যা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে শিশুরা দেখবে ও শিখতে পারবে এবং তারাও অনুরূপ আচরণ করবে। এতে করে পরিবারের একদম ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বয়স্ক সদস্যদের মাঝে অনুরণিত হবে ছন্দযুক্ত সুসম্পর্ক।

বিজ্ঞাপন

একসাথে রান্না করে

রান্না

পরিবারের সবাইকে নিয়ে কখনো রান্না করা হয়েছে? একজন সবজি কাটবে, একজন হয়তো মসলা গুছাবে, একজন রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগাড় করবে। এক বেলার খাবার তৈরির জন্য পরিবারের সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তৈরি করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আবহ। এছাড়া শিশুরাও যখন রান্নার সময় সাথ্যে থাকবে তাদের সাথে সবজি কিংবা মাছ নিয়ে মজার গল্প করলে এ খাবারের প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি হবে।

অন্তত একবেলায় একসাথে খাবার খাওয়া

পড়ালেখা, চাকরিসহ নানা কারণে ব্যস্ততা থাকে সবার। তবে প্রতিদিন যেকোন এক বেলার খাবার পরিবারের সবাই একসাথে খাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছুটা সময় বের করতে হবে। একসাথে সবাই মিলে খাবার খাওয়ার সময় সারাদিনের নানা ঘটনা ও নিজের সমস্যা নিয়ে খোলাখুলিভাবে সবার সাথে আলোচনা করা সম্ভব হয়। যা পারস্পরিক সম্পর্কে দৃঢ় করে তোলে।

বিজ্ঞাপন

শিশুদের সাথে খেলাধুলা করা

খেলা

শিশুরা কিন্তু একা খেলাধুলা করতে কখনোই পছন্দ করে না। ওদের সত বেশি সঙ্গ দেওয়া হবে, ওরা ততই উচ্ছ্বসিত থাকবে। পরিবারের শিশুদের সাথে প্রতিদিন সম্ভব না হলেও, দুই-তিন দিন পরপর একসাথে বসে খেলার আয়োজন করতে হবে। বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের খেলার সঙ্গী হিসেবে পেলে শিশুদের বিকাশ লাভে অবদান রাখে।

পারিবারিক মজার প্রথা

নিজস্ব পরিবার ও পরিবারের মানুষদের জন্য মজার ও অনুপ্রেরনাদায়ক প্রথা চালু করা যেতেই পারে। এই ধরণটি পরিবারের সদস্যদের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। যেমন- কারোর জন্মদিনে পরিবারের সবার একসাথে হওয়া, ঘরোয়াভাবে গানের আয়োজন করা, বাসাতেই কোন সিনেমা দেখা, খাওয়াদাওয়া করা। এমন সাধারণ রীতিগুলোই একটা সময়ে পারিবারিক নিয়ম হয়ে যায়।

আর্থিক অবস্থা নিয়ে লুকোচুরি নয়

আর্থিক

অনেক বাবা-মা তাদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে সন্তানদের সাথে খোলাখুলিভাবে কথা বলতে চান না। এই বিষয় নিয়ে যত বেশি লুকোচুরি হবে, সমস্যাও তত বেশি তৈরি হবে। এ কারণে নিজেদের আর্থিক অবস্থা সন্তানদের সাথে সরাসরিভাবে আলোচনা করতে হবে। এর ফলে তারাও খরচ কমানো ও আর্থিকভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করবে।

একসাথে ঘোরার পরিকল্পনা

পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা সবসময়ই আনন্দদায়ক হয়। এই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনায় দেশের বাড়ি বা পরিচিত স্থানে না গিয়ে নতুন কোন স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে। এতে করে যাত্রা পথে, ঘোরার সময়টাতে পরস্পরের মাঝে নানান বিষয়ে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন:

জীবনের উপরে সংগীত যেভাবে প্রভাব ফেলে!

কীভাবে বুঝবেন নিজের যত্নে ঘাটতি থাকছে!