সঙ্গরোধেও মেনে চলুন এই নিয়মগুলো

  করোনা ভাইরাস
  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাসের প্রভাব বিস্তার পাচ্ছে দ্রুত। ফলে অনেকেই নিজ উদ্যোগে সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) যাচ্ছেন। এমনকি বহু কর্ম প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস রোধে ও কর্মীদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।

তবে নিজ ঘরে সঙ্গরোধে থাকা মানে যেমন খুশি তেমনভাবে থাকা নয়। সঙ্গরোধে থাকার অর্থ হল, আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে নিজ বাসা/ঘরে অবস্থান করতে হবে। সঙ্গরোধে থাকাকালীন অবস্থাতেও যে নিয়মগুলো অবশ্য পালনীয় সেগুলো জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে।

বিজ্ঞাপন

সুইচ ব্যবহার করুন কনুইয়ের সাহায্যে

ঘরের বিভিন্ন সুইচ ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাতের আঙ্গুলের ব্যবহারকে ভুলে যান আগামী বেশ কিছু দিনের জন্য। সুইচ অন-অফ করার জন্য কনুই ব্যবহার করুন। হাত সাবানের সাহায্যে ধুয়ে এসে যদি এই সুইচ স্পর্শ করা হয় তবে হাত ধোয়া ও না ধোয়া সমান হয়ে যায়।

দরজা ব্যবহারে কাঁধ

দরজা-জানালার হাতলকে জীবাণুনাশক তরলের সাহায্যে পরিষ্কার করে রাখা হলেও, যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে এই হাতলগুলো ব্যবহার না করার জন্য। বাসার মেইন দরজা ব্যতীত সকল দরজা কাঁধের সাহায্যে খোলা ও বন্ধ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ওয়াশরুমের দরজা ব্যবহারের ক্ষেত্রে দরজা ব্যবহারের পর অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

খাবার হতে হবে ভালোভাবে সিদ্ধ ও রান্না করা

food

যারা হাফ বয়েলড ডিম ও ডিম পোচে ডিমের কুসুম নরম খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য একটু দুঃসংবাদই বটে। এখন কোন খাবারই আধা সিদ্ধ অবস্থায় খাওয়া যাবে না একদম। যে খাবারই খাওয়া হোক না কেন, সম্পূর্ণ ও ভালভাবে সিদ্ধ ও রান্না করা অবস্থাতে খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারেও কি করোনাভাইরাস থাকতে পারে? এমন কোন প্রমাণ বিজ্ঞানীরা পাননি। তবে সচেতন থাকাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি সকল ক্ষেত্রে।

এড়িয়ে যান ফিল্টারের পানি

ফিল্টারের পানি পরিশুদ্ধ হলেও এ সময়ে ফিল্টারের পানি পান না করা হবে সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ। পানি আধা ঘন্টা কিংবা চল্লিশ মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে ঘরোয়া তাপমাত্রায় এনে তবেই পান করতে হবে।

খেতে বসুন দূরত্ব বজায় রেখে

বাসায় সবাই মিলে যখন একসাথে দুপুর কিংবা রাতের খাবার খেতে বসেন তখন নিশ্চয় সকলে পাশাপাশি ও কাছাকাছি বসা হয়। এই অভ্যাসটিকে বিদায় জানান আপাতত। পরিবারের সকলে একসাথে খেতে বসলেও দূরত্ব বজায় রাখুন।

রেলিংয়ে হাত নয়

সঙ্গরোধে থাকা মানেই হল নিজ বাসায় অবস্থান করা ও বাসা থেকে একেবারেই বের না হওয়া। তবে প্রয়োজনে ও জরুরি কোন কাজে যদি কখনো বের হতেই হয়, তবে হাতকে সামলে রাখুন। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সিঁড়ি ব্যবহারের সময় অবচেতনভাবে সিঁড়ির রেলিংয়ে হাত চলে যায়। বর্তমান পরিস্থিতি এই কাজটি একেবারেই করা যাবে না। তাই সিঁড়ি ব্যবহারের সময় হয় হাত গুটিয়ে রাখতে হবে নতুবা পকেটে ঢুকিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু কোনভাবেই সিঁড়ির রেলিং স্পর্শ করা যাবে না।

২৪ ঘন্টার আগে প্যাকেজ ধরা যাবে না

হয়তো বহু আগে কোন কিছুর অর্ডার ছিল যার ডেলিভারি ইদানিংকালের মধ্যে নিতে হচ্ছে। এমন হলে গ্রহণকৃত প্যাকেটটি ২৪ ঘন্টার জন্য আলাদা একটি স্থানে রেখে দিতে হবে এবং হাত ধুয়ে নিতে হবে। ২৪ ঘন্টা পার হলে এরপর প্যাকেজটি খুলে উপরের প্যাকেটের অংশ সাথে সাথে ফেলে দিয়ে হাত সাবানের সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে। সমতল স্থানে করোনাভাইরাস কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় থাকতে পারে। তাই প্যাকেজটিকে ২৪ ঘণ্টার জন্য আলাদা রেখে দেওয়াই নিরাপদ।