করোনা প্রতিরোধে স্যানিটাইজ করুন গাড়ির এই অংশগুলো

  করোনা ভাইরাস
  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনা পরিস্থিতির জন্য এখনও বাসা থেকে অফিস করতে হচ্ছে বহু কর্মজীবীকে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে অল্প পরিসরে হলেও অফিস খুলতে শুরু করেছে। ফলে বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরণের পরিবহণ ব্যবহার করতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত পরিবহণ ব্যবহারের সুবিধা থাকলে খেয়াল রাখা প্রয়োজন কোনক্রমেই যেন গাড়ি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ না ঘটে। এ কারণে ব্যবহৃত গাড়ি ও গাড়ির বিভিন্ন অংশ স্যানিটাইজ করা খুবই জরুরি।

গাড়ির স্যানিটাইজ করতে কী ব্যবহার করা যাবে- এই প্রশ্নটি আসবে সবার আগে। এক্ষেত্রে জেনে রাখুন, ব্লিচ ও ব্লিচ জাতীয় কোন কিছুই গাড়ি স্যানিটাইজ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না মোটেও। গাড়ি ও গাড়ির বিভিন্ন অংশ স্যানিটাইজ করার জন্য অ্যালকোহল বেসড গ্লাস ক্লিনার সল্যুশন ব্যবহার করতে হবে। এতে করে গাড়ির ক্ষতি হবে না এবং গাড়ি ভালোভাবে স্যানিটাইজ করা সম্ভব হবে। এবারে জেনে নিন কোন অংশগুলো নিয়মিত স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

গাড়ির দরজা ও হ্যান্ডেল

গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে মানেই গাড়ির দরজায় বহু মানুষের হাত পড়ছে। তাই প্রথমেই গাড়ির দরজা ও হ্যান্ডেলের দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিবার ব্যবহারের সময়েই গাড়িটির ভেতরের এবং বাইরের হ্যান্ডেল ব্যবহার করা হয়, এতে করে গাড়ির হ্যান্ডেলে জীবাণুর উপস্থিতি বেশি থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। প্রতিদিন গাড়ি ব্যবহার করা আগেই দরজা ও উভয় পাশের হ্যান্ডেল স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।

স্টিয়ারিং হুইল ও গিয়ার

স্যানিটাইজ করার জন্য গাড়ির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভেতর বারবার স্পর্শ করা হইয়যে সকল স্থান সেগুলো প্রাধান্য পাবে সবার আগে। এমন দুইটি স্থান হল গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল এবং গিয়ার লিভার। এ স্থানগুলো গাড়ির মালিক অথবা গাড়ি চালকের প্রতিদিন অন্তত দুইবার করে স্যানিটাইজ করা আবশ্যিক।

বিজ্ঞাপন

সিটবেল্ট

গাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি হল সিটবেল্ট। নিজেকে যেকোন ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এই একটি জিনিস। যেহেতু এটা সরাসরি হাতের স্পর্শে আসে এবং শরীরের সঙ্গে এঁটে থাকে, তাই সিটবেল্ট স্যানিটাইজ করার দিকেও সমানভাব নজর রাখতে হবে।

ড্যাশবোর্ড ও বাটন

car

গাড়ি ব্যবহারের সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে ড্যাশবোর্ডের বাটন স্পর্শ করা হয়। লাইট কিংবা এয়ারকন্ডিশন কমানো-বাড়ানোর জন্য বাটনের ব্যবহার করতেই হয়। ফলে ড্যাশবোর্ড ও সকল বাটন স্যানিটাইজ করা জরুরি। এছাড়া ড্যাশবোর্ডের বেশিরভাগ অংশ প্লাস্টিকের তৈরি এবং বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস অন্যান্য স্থানের তুলনায় প্লাস্টিকের উপরে বেশিক্ষণ জীবিত থাকে। তাই এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখা খুবই জরুরি।

টাচস্ক্রিন ও রেডিও সিস্টেম

সাধারণ নিয়ম মতে, যেটাই হাতের সাহায্যে স্পর্শ করা হবে, সেটাই স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন। বহু গাড়িতেই এখন টাচস্ক্রিনের ফাংশন রয়েছে। সকল টাচস্ক্রিন মানেই হাতের স্পর্শ, তাই অবশ্যই এই স্থানগুলোও স্যানিটাইজ করতে হবে।

বসার সিট

একটি গাড়ি শুধু একজন ব্যবহার করেন না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। পরিবারের সবাই তো বটেই, কিছু ক্ষেত্রে বাইরের মানুষদের সাথেও শেয়ার করতে হয়। তাই বাড়তি ও সঠিক সুরক্ষার জন্য গাড়ির সিটগুলিও স্যানিটাইজ করার চেষ্টা করতে হবে।