ভোরের আলো না ফুটতেই সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য
‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপারআর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। স্বপ্ন রূপ নিতে যাচ্ছে বাস্তবে। উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের গর্ব ও অহংকার স্বপ্নের পদ্মা সেতু। মূল অনুষ্ঠান শুরু হতে এখনও বাকি, তবে এরই মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভাস্থল লোকে লোকারণ্য।
শনিবার (২৫ জুন) ভোর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিশাল সমাবেশে মানুষ যোগ দিচ্ছেন। জনসভার আয়োজন দেখতে পদ্মাপারে ভিড় করেছেন ওই অঞ্চলের আশপাশের মানুষ। পরিবারসহ আসছেন অনেকে। সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি ছিল সেখানে। সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক।
ভোরের আলো ফুটতেই দেখা গেছে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের অংশ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের স্রোত জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লাল-সবুজের টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে পায়ে হেঁটে বা পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসযোগে বিভিন্ন সড়ক ধরে ঘাটের দিকে আসছেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা আছেন।
এদিকে অনুষ্ঠান উপলক্ষে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী মঞ্চ সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে। মঞ্চের সামনে কাঠ দিয়ে স্প্যান ও পিলার তৈরি করা হয়েছে। নদী অঞ্চলের মানুষের কথা চিন্তা করে মঞ্চের সামনে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে একটি বড় ও ১০টি ছোট নৌকা শোভা পাচ্ছে। বড় নৌকায় লেখা আছে, ‘আমরা পারি’। ছোট নৌকাগুলোর কোনোটিতে লেখা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। আবার কোনোটিতে বঙ্গবন্ধু কিংবা প্রধানমন্ত্রীর ছবি। কোনো নৌকায় রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা আঁকা।