‘সকল অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ’

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সকল অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা এবং আমাদের প্রত্যয়। আমরা এই সেতু করবোই, সেই জেদ। ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ দুই বছর বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্দম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমর আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। পদ্মা সেতুতে যে ৪২ টা পিলার নির্মাণ হয়েছে, এসব বাংলাদেশে আত্মমর্যাদার ভিত। পদ্মা সেতু দেশের আত্ম মর্যাদা, আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতার প্রতীক।

এ সময় যারা পদ্মা সেতুতে যারা জমি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু-কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয় এ সেতু আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের।

শেখ হাসিনা বলেন, তারুণ্যের কবি, দ্রোহের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের ভাষায় তাই বলতে চাই: সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়ঃ জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।

এদিকে শনিবার ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান। সেখানে সুধী সমাবেশে যোগ দেন তিনি। সুধী সমাবেশ শেষে পদ্মা সেতুর মাওয়ার প্রান্তের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই খুলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

সুধী সমাবেশ শেষে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ জুন) পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে চলাচলের জন্য। পদ্মার দুই তীরের পাশাপাশি সারা দেশে তাই উৎসবের সাজ।

এদিকে সুধী সমাবেশের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি ডুকমেন্টারি দেখানো হয়। এরপর পদ্মা সেতু নিয়ে নির্মিত একটি গান জায়ান্ট স্ক্রিনে পরিবেশন করা হয়। এছাড়া পদ্মা সেতুর উপর তৈরি করা ডকুমেন্টরিও দেখানো হয়।

সুধী সমাবেশের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে আছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আর তার পাশে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, কুটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।