শায়েস্তাগঞ্জে মাদরাসার ছাত্র নিখোঁজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
নিখোঁজ মাদরাসার ছাত্র তুহিন মিয়া

নিখোঁজ মাদরাসার ছাত্র তুহিন মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নাম তুহিন মিয়া, বয়স ১০ বছর। নানার বাড়িতে নানা-নানির সঙ্গে থেকে বড় হচ্ছে। নানা তাকে মাদরাসায় ভর্তি করান। গেল ঈদের ছুটিতে মাদরাসা থেকে নানার কাছে আসে। ছুটি শেষে মাদরাসা চালু হলেও তুহিন যাই যাচ্ছি করে কালক্ষেপণ করছিল। গত ২৫ জুন বাড়ি থেকে বের হলে আর ফিরেনি।

আজ শনিবার (২৯ জুন)পাঁচদিন হলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত নানা বাদী হয়ে ২৭ জুন শায়েস্তাগঞ্জ থানা সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা গেছে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কুতুবের চক গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে তুহিন মিয়া।

তুহিন মিয়ার নানা লাল মিয়া জানান, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বড়চর (তালুগড়াই) মডেল হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র তুহিন। গত ২৫ জুন সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর আসেনি। আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও নাতিকে পাননি লাল মিয়া।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোবারক হুসেন ভুঁইয়া জানান, মাদরাসার ছাত্র নিখোঁজ বিষয়ের জিডি মর্মে দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার সবই করার হচ্ছে।

সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার তালায় বিষধর সাপের কামড়ে আছিয়া বেগম (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আছিয়া বেগম রায়পুর গ্রামের নান্টু গাজীর স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শিরিনা খাতুন জানান, রোববার সন্ধ্যায় গৃহবধূ আছিয়া বেগম বাড়ির গোয়ালঘর পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় তাকে সাপ কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সোমবার দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে, খবর পেয়ে খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রনব ঘোষ বাবলু আছিয়া বেগমের বাড়িতে যান এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

;

ফের নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের কর্মবিরতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম,নরসিংদী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে সারাদেশের ন্যায় ফের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্ম বিরতির পালন করছে তারা।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে এই কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির কারণে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক প্রায় ১২ কোটি।

সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়-বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিতরন লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়না।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যাই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।

কিন্তু ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ যারা আছে সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাসপেন্ড দুইজন ও স্ট্যান্ড রিলিজ দুইজনকে অদ্যাবধি অব্যাহতি দেওয়া হয় নাই। তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুনরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো।

সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দুটি দাবির মধ্যে স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মানে আরইবি-পিবিএস একীভূত করণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।

;

নীলফামারীতে মক্তব শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে আবুল হোসেন (৫০) নামে এক মক্তব শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (১ জুলাই) ভোরে সদর উপজেলার পলাশবাড়ীর নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদরের অচীনতলা এলাকার মৃত সবীর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি মক্তবের শিক্ষক বলে জানা গেছে।

স্বজন ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে তিনি ফজরের নামাজ শেষে সাইকেলযোগে মক্তবের দিকে যাচ্ছিলেন। নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছালে অতর্কিতভাবে দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালায়। এ সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে হত্যা চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার গোঙানির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকেজ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এজাহার পেয়েছি। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। কি কারণে এই হামলা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। আহত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর বা আসামিদের আটকের পর এটা বলা যাবে।

;

আজমিরীগঞ্জে সন্তানের মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য করার অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়

ছবি: সংগৃহীত, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর মরদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত শিশু দুটির নাম প্রলয় দাস (৭) ও সূর্য দাস (৬)।

শিশুদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের দোহাই দিয়ে তোপের মুখে ফেলে প্রলয় দাস ও সূর্য দাসের মরদেহ বস্তায় ভরে কালনী-কুশিয়ারা নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাসের অভিযোগ, প্রলয়ের মরদেহ মাটি চাপা দেওয়ার পর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যদের তোপের মুখে সন্ধ্যায় মরদেহটি মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

একইভাবে সূর্য দাসের মরদেহটিও নদীতে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মাটি চাপা দেওয়া নিজ ছেলে প্রলয় দাসের মরদেহ উত্তোলন না করতে সমাজপতিদের পায়ে পড়ে কান্না করেও মন গলাতে পারেননি তার বাবা রুবেল দাস।

গোবিন্দ দাস বার্তা২৪.কম বলেন, ২৯ জুন (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে আমার ৭ বছরের ছেলে প্রলয় ও প্রতিবেশী রুবেল দাসের ৬ বছর বয়েসি ছেলে সূর্য দাস অন্যান্য শিশুর সঙ্গে মাহমুদপুর মাঠে ফুটবল খেলা শেষে মাঠের কাছে থাকা সোমেশ্বরী পুকুরে স্নান করতে নামে। এক পর্যায়ে তারা দু’জন পা পিছলে পুকুরের গভীরে তলিয়ে মারা যায়।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আমি আমার ছেলেকে পাহাড়পুর মহাশ্মশানের দেওয়াল সংলগ্ন মাটির নিচে সমাহিত করি। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি দীপেশ দাস ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকারসহ গ্রামের মুরব্বিরা আমাকে ডেকে মরদেহ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলেন।

আমি মরদেহ না তোলার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষসহ উপস্থিত সবার হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করি। তারপরেও তারা আমার কথা শোনেননি! পঞ্চায়েত কমিটির চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় আমি ছেলের মরদেহ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিই।

সূর্য দাসের বাবা রুবেল দাসও একই অভিযোগ করে বলেন, শ্মশানে গোবিন্দ দাসের ছেলের মরদেহ সমাহিত করতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি জানার পর বাধ্য হয়ে আমার ছেলে সূর্যের মরদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দিই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি দীপেশ দাস বলেন, এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। গ্রাম কমিটির সবার সিদ্ধান্তে এটা করা হয়েছে।

কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার বলেন, গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির সিদ্ধান্ত হলো শ্মশানের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য এর পাশে কোনো সমাধি করা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত এলাকার সবার জন্য, আমার একার নয়!

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ঘটনাটি অমানবিক! শ্মশান তো মানুষের সৎকারের জন্যই। এখানে সমাহিত করা হলে শ্মশান পরিচ্ছন্নতার বিষয় কেন আসবে’!

আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;