রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৯ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৯ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৯ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল অবস্থায় রয়েছে। ফলে রাতের মধ্যে দেশের ১৯ জেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে এই ঝড় হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, সামুদ্রিক সতর্কবার্তা বলা হয়েছে- উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

তাই চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বিশেষ ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন স্পিকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
বিশেষ ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন স্পিকার।

বিশেষ ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন স্পিকার।

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা বিশেষ ট্রেনে চড়ে পর্যটন নগরীতে ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এজন্য ঈদ স্পেশাল ট্রেন-৯’ -এ সুপার সেলুন কোচ সংযোজনের অনুরোধ জানিয়ে রেলের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (০৩ জুলাই) দেওয়া এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপককেও পাঠানো হয়েছে। রেলমন্ত্রীর পর সরকারের এই প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই রুটে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন।

স্পিকারের একান্ত সচিব (অতিরিক্ত সচিব) এম এ এ কামাল বিল্লাহর সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, 'জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (এমপি) আগামী ১৮-২০ জুলাই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা সফর করবেন। সে লক্ষে স্পীকার বিমানযোগে ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম গমন করবেন এবং পরবর্তীতে ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার রেলওয়ের সুপার সেলুন কোচে ভ্রমণের সদয় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এতপ্রেক্ষিতে আগামী ১৯ জুলাই সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার অভিমুখী 'ঈদ স্পেশাল ০৯' ট্রেনে একটি সুপার সেলুন কোচ সংযোজন করা প্রয়োজন। উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।'

চট্টগ্রাম রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'স্পিকার মহোদয় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে বিশেষ সেলুন কোচ সংযোজন করা হবে।'

;

বিমানের টিকেটে অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ চায় সংসদীয় কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন সেবার, টিকিটের মূল্য অনিয়ম প্রক্রিয়া বন্ধকরণের নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমানের ফ্লাইট সিডিউলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং মানোন্নয়নে কার্যক্রম বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪র্থ বৈঠকে এই রিপোর্ট জানতে চেয়েছে। বৈঠক কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, আনোয়ার হোসেন খান, আশেক উল্লাহ রফিক, শেখ তন্ময়, মাহমুদ হাসান ও মো. খসরু চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এর অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী জনবল কাঠামো, অনুমোদিত জনবল, শূন্য পদের বিবরণ ও নিয়োগ কার্যক্রম, আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের বিধি বিধান সম্পর্কে আলোচনা হয়।

এসময় স্থায়ী কমিটি বিমানের যেসব ভূমি বা ভূসম্পত্তি অব্যবহৃত রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়। পাশাপাশি যে সমস্ত এয়ারক্রাফটের ত্রুটি আছে তা শনাক্ত করে ত্রুটি অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর পর অপচিকিৎসায় প্রসূতি নাজমুন নাহার (২৫) মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত প্রসূতি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের উত্তর চরভুতেরদিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ব্রানদিয়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে মৃত নাজমুন নাহারের ননদ আছমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বুধবার (০৩ জুলাই) দুপুরে পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার সরিকল বন্দরস্থ হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টক সেন্টারে তার ভাবির সিজারিয়ান অপারেশন হয়। সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যুর খবর জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এসময় কর্তৃপক্ষ জানায় প্রসূতি সুস্থ আছে। পরবর্তীতে নাজমুন নাহার অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে বরিশাল আরিফ মেমোরিয়ালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। এরপর শেবাচিমে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে (নাজমুন) মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আছমা বেগম অভিযোগ করেন, ‘হেলথ কেয়ারে বসেই নাজমুন নাহারের অবস্থা খারাপ ছিল। তারা একবার বলে তিন ব্যাগ রক্ত লাগবে। আরেকবার বলে পাঁচ ব্যাগ লাগবে। এরপর বলে আপনারা রোগী এখান থেকে নিয়ে যান। মূলত হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে বসেই ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতকসহ নাজমুন নাহারের মৃত্যু হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে সিজারকারী ডা. মুসলিমা জাহান অসি’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে ক্লিনিকের শুভাকাঙ্খী পরিচয় দিয়ে সুমন হোসেন নামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতিকে ভর্তি করতে চায়নি। তার স্বজনদের অনুরোধে ভর্তির পর সিজার করা হয়েছে। এখানে ভুল চিকিৎসার কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে সংবাদটি প্রচার না করতে অনুরোধ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

সিলেটে কুশিয়ারা আতঙ্ক!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬ পয়েন্টের পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে। তবে আতঙ্ক বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী উপজেলা বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জে।

কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ (ডাইক) ভেঙে পানি প্রবেশ করছে এসব উপজেলায়। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ওই উপজেলার মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর থেকে বৃষ্টি হয়নি। তবে দুপুরের দিকে আকাশে কখনো রোদ কখনো মেঘে ঢাকা পড়েছে। বিকাল ৫টার দিকে সিলেটে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত দুই দিন ধরে সিলেটে বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে অনেক এলাকা থেকে পানি কিছুটা নেমে গেছে। কিন্তু কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙছে বাঁধ।

জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৪-৫টি স্থানে কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ (ডাইক) ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৭৩টি গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রও। সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিয়ানীবাজার -চন্দরপুর বৃষ্টির পানি আর ঢলে কুশিয়ারা নদীর ডাইক অতিক্রম করে পানি ডুকছে লোকালয়ে। কুশিয়ারা নদীর পানিতে বালাগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে প্লাবিত। ৬টি ইউনিয়ের বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য খোলা হয়েছে ৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। বালাগঞ্জের প্রধান সড়কে হাঁটুর উপরে পানি। উপজেলা পরিষদ, বালাগঞ্জ থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন ও এলজিইডি সড়ক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একইভাবে ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাজারসহ নিচু এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যেই পানি ঢুকে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৫২ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৪৭সে.মি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০৩ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে পানি ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯৬টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৬০টি গ্রামের ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৩ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ২৩৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, গত কয়েকদিন ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। সিলেটের নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় উজানের পানি ধীরগতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান বন্যায় সিলেটের ২৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মেরামতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে বন্যার পানি পুরোপুরি না নামলে এসব বাঁধের কাজ করা যাবে না।

বালাগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সময়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণও প্লাবিত। উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ণের জন্য। এ পর্যন্ত চলমান বন্যায় প্রায় ১৩১ মেট্রিক টন চাল বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানবৃন্দকে দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ, শুকনো খাবার ৯৫০ প্যাকেটসহ শিশু খাদ্য, গোখাদ্য দেওয়া হয়েছে ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বন্যার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসনিম জানান, প্রথম দফায় বন্যার পানিতে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভাঙে এখন সেগুলোর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের ৭৩টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বেশ কিছু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। যেসব আশ্রয়কেন্দ্রে পানি উঠেছে সেগুলো থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি।

;