লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলেও যাত্রী কম সদরঘাটে

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ব্যস্ততা নেই সদরঘাটে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ব্যস্ততা নেই সদরঘাটে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব পড়েছিল সারা বাংলাদেশে। প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে নেয়া হয়েছিল বাড়তি প্রস্তুতি।

আকাশ পথ থেকে শুরু করে নদী পথে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই থেমে যায়। এর প্রভাব পরে রাজধানীর সদরঘাটেও। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলেও যাত্রী সংকটে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠেনি এ এলাকা। রোববার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ বুলবুলের প্রভাবমুক্ত হয় বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশে বুলবুল আঘাত হানে শনিবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাতে। ফলে সোমবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে সদরঘাটের কর্মচঞ্চল হয়ে উঠতে আরো দুই-এক দিন সময় লাগবে।

সোমবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সদরঘাট এলাকা রৌদ্রোজ্জ্বল, নদী শান্ত। কিন্তু তারপরও মানুষের তেমন চাপ নেই। শান্ত নদীতে অল্প সংখ্যক ডিঙ্গি নৌকা চলাচল করছে। যা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। খুব বেশি যাত্রীকে নদী পার হতেও দেখা যায়নি। তবে যাত্রী না থাকলেও ডিঙ্গি নৌকার ঘাটগুলোতে অসংখ্য নৌকা এসে জড়ো হয়েছে।

সদরঘাটের গুদারা ডিঙ্গি নৌকাঘাটের পরিচালক ফারুক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঝড়ের কারণে গত দুই দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় লঞ্চের সিরিয়াল সব উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়েছে ডিঙ্গি নৌকার ঘাটে। ঘাটে অসংখ্য নৌকা আছে, তবে যাত্রী নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আরো তিন দিন সময় লাগতে পারে।

সদরঘাটের লালকুঠির ঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে যথারীতি ছেড়ে গেছে লঞ্চ। তবে যাত্রী কম। যাত্রী না থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে।

ব্যস্ততা নেই সদরঘাটে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

লালকুঠির ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দিনেশ কুমার সাহা জানান, লালকুঠি ঘাট থেকে সিডিউল অনুযায়ী ৩০ মিনিট পর পর ছেড়ে গেছে লঞ্চ। সকাল থেকে আটটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলেও যাত্রীর চাপ অনেকটাই কম। হয়তো আগামী দুই দিনের মধ্যে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

সদরঘাট এক নম্বর টার্মিনালের টিকিট কাউন্টারের শুল্ক আদায়কারী সম্রাট হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, দুই দিন পর আজ সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। এখানে অনেকগুলো ঘাটে প্রবেশের টিকেট কাউন্টার রয়েছে। সেগুলোর অবস্থা বলতে পারব না। আমার এ কাউন্টারের কথা যদি বলি, তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের আগে যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হতো, আজ সকালে তার ২০ শতাংশের মত বিক্রি হয়েছে। যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক হতে আরো দুই দিন সময় লাগতে পারে।

সদরঘাট ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর রিয়াজ মোহাম্মদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঝড়ের কারণে গত দুই দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। আজ থেকে স্বাভাবিক হয়েছে। ভোর ৬টা থেকে এক নম্বর টার্মিনাল থেকে ১৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। যা অন্যান্য দিনের মতোই।

উল্লেখ্য, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮০টির মত ছোট বড় লঞ্চ সদরঘাটে এসে ভেড়ে। আবার একই ভাবে ৮০টির মত ছোট বড় লঞ্চ এ ঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যায়। পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার দুই পাশে অর্থাৎ কেরানীগঞ্জের সঙ্গে পুরান ঢাকার যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এ ঘাট।

   

জ্বালানি তেল বিক্রেতাদের কমিশন বাড়লো



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্বালানি বিক্রেতাদের কমিশন বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অকটেন ৪.২৮ শতাংশ, পেট্রোল ৪.৩৪ শতাংশ, ডিজেলে ২.৮৫ শতাংশ এবং কেরোসিন তেলে ২ শতাংশ হারে কমিশন নির্ধারণ করা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত গেজেটে ট্যাংকলরী পরিবহন ভাড়াও পুননির্ধারণ করা হয়েছে।

গেজেটে বলা হয়েছে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের (যাতায়াত-৮০ কিলোমিটার) এক্স-ডিপো মূল্য প্রদেয় হবে। ৪০ কিলোমিটারের বেশি দূরতে ১ কিলোমিটার (যাতায়াত- ২ কিমি) দশমিক ৫ লিটার ডিজেলের এক্স-ডিপো মূল্য প্রদেয় হবে।

বর্তমানে ডিজেলে ২, পেট্রোলে ৩ এবং অকটেনে প্রায় ৪ শতাংশের মতো কমিশন ছিল। এই কমিশন ৭.৫ শতাংশ করার দাবী ছিল পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।

কমিশন বৃদ্ধি, এজেন্ট ঘোষণাসহ ৩ দফা দাবিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছিল সংগঠনটি।

এরপর সরকার তাদের এক দফা দাবি মেনে নিয়ে জ্বালানি তেল বিপণনে সরকার ও বিপিসি কর্তৃক অনুমতি প্রাপ্ত জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং ডিলারদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে।

ওই ঘোষণার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখে একটি পক্ষ। ওই আন্দোলন দেড় দিন চলার পর ৪ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় তারা।

মালিক সমিতির তিন দফা

মালিক সমিতির দাবিকৃত তিন দফা হলো, জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন ৭.৫০শতাংশ নির্ধারণ করা, পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা যে কমিশন এজেন্ট, তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা এবং (ক) ট্যাংকলরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়, এ বিষয়ে সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ ও (খ) ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ব্রেস্টফিডিং কর্নার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় মায়ের দুধের বিকল্প কিছুই নেই। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে চট্টগ্রামের পরীর পাহাড় তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো ব্রেস্টফিডিং কর্নার ‘মাতৃক্রোড়ের’ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সোয়া পাঁচটার দিকে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান। 

ব্রেস্টফিডিং কর্ণার ‘মাতৃক্রোড়’ উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রথম ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে। যেসকল মহিলা সেবাপ্রার্থী তাদের নবজাতকদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসে তারা অত্যন্ত নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তভাবে ‘মাতৃক্রোড়’-এ বসে শিশুদেরকে বুকের দুধ পান করানোর পাশাপাশি তাদের ডায়াপার ও পোশাকসামগ্রী পরিবর্তন করাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রেস্টফিডিং কর্ণারের পাশে মহিলা-পুরুষের জন্য আলাদাভাবে বেসিনসহ মোট ৪টি টয়লেট ও ৪টি ইউরিনাল তৈরী করা হয়েছে। শুধু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নয়, পরীর পাহাড়স্থ বিভাগীয় কমিশনারের অফিস ও আদালতে নবজাতক নিয়ে আসা মহিলা বিচার প্রার্থীরাও এ ব্রেস্টফিডিং কর্ণার ‘মাতৃক্রোড়’-এ বসে বুকের দুধ পান করাতে পারবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ, আরডিসি নুএমং মারমা মং, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জামমেদ আলম রানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি-পটিয়া) ফাহমিদা আফরোজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এসএম আলমগীর, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ আশরাফুল আলম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ রাজিব হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম, এনডিসি হুছাাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও তাদের সহধর্মিণীগণ। 

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

কুষ্টিয়ায় নদীর চরে উচ্ছেদ অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

কুষ্টিয়ায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নদীর চরে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গড়াই নদীর বাম তীরের হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ মৌজায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিনসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলির অভিযোগ, স্থানীয় কিছু দূর্বৃত্তচক্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গরিব মানুষদের এখানে বসতে দিয়েছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধ দখলমুক্ত করনে উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান উদ্যোগ। আজকেও তার অংশ হিসেবে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে গড়াই নদীর বামতীরে কয়েক‘শ বিঘা সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধ ভাবে যারা স্থাপনা ও অবকাঠামো গড়ে তুলেছিল, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে চলে যাওয়ার জন্য ইতোপূর্বেই নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। যারা যায়নি তাদের উচ্ছেদ করা হলো। তবে পরিস্থিতি বুঝে আজকেও সবগুলি উচ্ছেদ করা যায়নি।’

তিনি আর বলেন, ‘আগামী ৩দিনের মধ্যে তাদের যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা সরকার করে দিচ্ছে। তারা চাইলে সরকারের কাছে ঘর চেয়ে আবেদন করতে পারেন। এখানে অভিযোগ উঠেছে কে বা কারা নাকি এসব গরীব মানুষদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সরকারী জমিতে বসিয়েছে। সে বিষয়ে যদি কেউ সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উচ্ছেদ হওয়া গৃহহীন জেসমিন বলেন, ‘আমি বাধের চরে ভাড়া ছিলাম, হঠাৎ দেখি এই চরে টাকার বিনিময়ে জমি দেয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি করার জন্য। আমিও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য নেদাই মেম্বারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৩কাঠা জমি নিয়ে কিস্তির লোন তুলে এই ঘরটা তুলেছিলাম। এখন আমার সব গেল। আমি এর বিচার চাই, আমার টাকা ফেরত চাই’। 

তবে অভিযুক্ত নেদাই মেম্বর অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিই নাই, টাকা নিয়েছে ছেলে পেলে।’

সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মুশতাক হোসেন মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একদল দূর্বৃত্তচক্র লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারী এসব জমি বিক্রি করেছে। যে সব লোকজন এর সাথে জড়িত আছে তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে তার প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিকবার দরখাস্ত করেছি প্রশাসনের কাছে। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি।’

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে রাখার কোন সুযোগ নিই। যারাই এই দখলের সাথে জড়িত থাকনা কেন, তাদের আর যে পরিচয়ই থাকুক তা দেখা হবেনা। আইন সবার জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য।’

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের ঠিকানা, রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন রাজাখালী। সেই ইউনিয়নের সবুজ বাজারের দক্ষিণে কৃঞ্চচূড়া মোড়ে ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের এক তারিখ উদ্বোধন করা হয় রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার। এই পাঠাগার রাজাখালী ইউনিয়নের সর্বপ্রথম পাঠাগার। করোনায় পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে এলাকার শিক্ষিত যুবকদের প্রচেষ্টায় সৃষ্টি হয় রাজাখালীর এই পাঠাগার।

পাঠাগার সৃষ্টির পেছনে বর্তমান সভাপতি ম.ফ.ম  জাহিদুল ইসলাম, মিসবাহ উদ্দিন, এডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, হুমায়ুন কবির খোকন, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ার ইসলাম মামুন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে পাঠাগারটি পরিচালনায় উপদেষ্টা, কার্যকরী ও সাধারণ পরিষদ নামের তিন স্তরের কার্যকর পরিষদ গঠন করেছে কতৃপক্ষ। যেখানে উপদেষ্টা হিসাবে রাখা হয়েছে স্হানীয় শিক্ষক, আইনজীবি, সংগঠক, বেসরকারি ও সরকারি  কর্মকর্তাসহ ৯ জন বিশেষ ব্যাক্তিকে। কার্যকরী পরিচালনা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২১। সাধারণ পরিষদে রাখা হয়েছে ১০০ জন সদস্য৷

এই পাঠাগারে প্রায় এক হাজার বই আছে৷ প্রতিদিন একটি পত্রিকা এবং মাসিক কয়েকটি ম্যাগাজিন রাখা হয়। বই আদান প্রদান রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বাড়িতে পড়ার সুযোগ রয়েছে এই পাঠাগারে৷ এলাকায় পাঠাগারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, পরিবেশ রক্ষার কার্যক্রম চালায় কতৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, চিত্র অঙ্কন, কুইজ, রচনা, কবিতা পাঠ, ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড, ক্যারিয়ার গাইড লাইন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক কর্মশালা, সাইবার সিকিউরিটি, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও আইনি সহয়াতা বিষয়ক কর্মশালা, পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা, বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ, অভিভাবক সমাবেশ, বিনামূল্যে পাঠদান, গনস্বাক্ষর অভিযান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সহমর্মিতার ইদ উদযাপন, উপহারের মাধ্যমে ইদ শুভেচ্ছা বিনিময়, করোনা এবং রমজানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনায় ১৫০০ ব্যাক্তিকে বিনামূল্যে টিকার রেজিষ্ট্রেশন, মাস্ক ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ, বিখ্যাত কবি ও লেখকের জন্মজয়ন্তি উদযাপন, রক্তদান, বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালী, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।

পাঠাভ্যাস গড়তে বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করা হয় নতুন পাঠকদের

 

সইবার সিকিউরিটি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার, জরুরি সেবার হটলাইন, পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতা এবং ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩৫০০ হাজার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এছাড়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণন,অভিভাবক সমাবেসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫০০ হাজার ব্যাক্তিকে বিভিন্ন  সুবিধা প্রদান করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় প্রায় ৮ হাজার গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়।

পাঠাগারের সার্বিক বিষয়ে কার্যকরী পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ম.ফ.ম. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনায় শিক্ষাবিমুখী ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ এবং এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য তরুণ শিক্ষিত প্রজন্মের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে গড়ে তোলা হয় রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন অসাধু মহলের বিরোধিতা ও বাধার স্বত্বেও বিভিন্ন জনক্যালনমূলক কার্যক্রম এবং পাঠাগার পরিচালনা করে যাচ্ছে কতৃপক্ষ। এটাই তাদের সবথেকে বড় সার্থকতা। উপদেষ্টা পরিষদ ও সদস্যদের মাসিক চাঁদার মাধ্যমে এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এই পাঠাগার।

পাঠাগারের কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব মিনহাজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো বয়সের নারী পুরুষ ভেদাভেদ ভুলে পাঠের অভ্যাস সৃষ্টিতে এই পাঠাগার গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি সবার সহযোগিতায় বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অদম্য ইচ্ছে তাদের।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;