বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৪ লাখ গ্রাহক

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, খুলনা
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহত্তর খুলনায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৈদ্যুতিক বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে। কিছু জায়গায় গাছগাছালি উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক তার খুঁটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে এ সব এলাকাগুলোতে মারাত্মক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এ অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখ গ্রাহক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার কিছু সময় পর থেকেই খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়া, বৈদ্যুতিক তারের উপরে গাছ উপড়ে পড়ায় জেলার ৯ উপজেলাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে খুলনা শহরে প্রায় ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করা হলে খুলনা মহানগরীর ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়। তবে ৯ উপজেলায় এখনো সমস্যার সমাধান না হওয়ায় শনিবার রাত থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছেন উপজেলাবাসী।

জানা যায়, শনিবার রাত থেকে ঝড়ের কারণে খুলনার বিভিন্ন জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে বিকেল নাগাদ শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ ফিরে এলেও জেলার গ্রাম ও উপজেলায় প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন আছে সব গ্রাহক।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
ভেঙে পড়া গাছ কেটে সড়ক চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন পর্যন্ত পুনরায় সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। শহরের অনেক স্থানে তারের উপরে গাছ উপড়ে আছে। অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় মেরামতের কাজ চলছে। তবে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে ধীরে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের ২২ জেলা নিয়ে গঠিত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন জানিয়েছেন, বুলবুলের কারণে পাঁচটি জেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ৩২টি ফিডারের আওতায় ১৫টি ফিডার চালুর উপযোগী হয়েছে। বাকি ফিডারের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। রাতের মধ্যেই লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
সড়কের মাঝেই ভেঙে পড়েছে গাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন জানান, পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন অঞ্চলে ঝড়ে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক স্থানে ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৫ শতাধিক কর্মী বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহের লক্ষে কাজ করছে। বর্তমানে তারা দাকোপ অঞ্চলে কাজ করছেন। তবে কখন নাগাদ বিদ্যুৎ আসতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। তবে রাতের মধ্যেই অনেক গ্রাহক বিদ্যুৎ ফিরে পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে প্রায় ৬০ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সঠিক হিসাব নিরূপণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। লাইন পুনঃস্থাপন ও মেরামতের কাজে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী কাজ করছে বলে জানা গেছে।

   

ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগদানের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছেড়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তার আবাসস্থল দ্য লোটে নিউইয়র্ক থেকে গাড়িতে করে সকাল সাড়ে ১১টায় ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন।

এর পর প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।

সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী স্বদেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপনডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
নুরুন নবী। ছবি : সংগৃহীত

নুরুন নবী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটির লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নুরুন নবী (৪৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নারিশ্চা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তার শরীরের কিছু অংশ ঝলসে গেছে বলেও জানা গেছে।

নিহত মো.নুরুন নবী কুমিল্লার জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাইয়ারা গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।

নিহতের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম বলেন, কাজ করার সময় লাইন বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু, বন্ধ থাকার কথা থাকার পরও কেন বিদ্যুৎপৃষ্ট হলো সেটা ভালো করে দেখা দরকার। ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করা দরকার।

রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জুয়েল দাশ বলেন, ‘বিদ্যুৎ খুঁটিতে কাজ করার সময় লাইন বন্ধ ছিল। দুর্ঘটনার কারণ জানতে আমাদের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হবে। তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।’

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাসান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করার সময় ওই লোকটি পাশে থাকা অন্য একটি তারের মাধ্যমে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভিকটিমের কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। তবে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

বাংলাদেশকে রুশ মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রুশ মুদ্রায় লেনদেন করার অনুমতি দিয়েছে রাশিয়ান সরকার। 

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুক পেজে দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যতীত আরও ৩০টি দেশকে রুবল মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়া। দেশগুলো হচ্ছে- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া ও বাহরাইন।

আরও রয়েছে ব্রাজিল, চীন, কিউবা, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, ওমান ও পাকিস্তান।

রুবলে বাণিজ্যের অনুমতি দেয়া হয়েছে সৌদি আরব, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভেনিজুয়েলা ও ভিয়েতনামকেও। তবে শুরুতে তালিকায় রাখা হলেও আর্জেন্টিনা, হংকং, ইসরাইল, মেক্সিকো ও মলদোভাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ঢাকা সফরের আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দেশের একক মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানালেন আ ক ম মোজাম্মেল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম দিনাজপুর
বক্তব্য রাখছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি : সংগৃহীত

বক্তব্য রাখছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলুন্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সাংসদ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, ইকবালুর রহিম এমপি ও মাননীয় হুইপ (দিনাজপুর-৩), একুশের পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, ফুয়াদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতুফুজ্জামান মিতাসহ ভুক্তভোগী পরিবার ও জেলা আওয়ামী লীড়ের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভার পূর্বে গণদাবী-৭৭ এবং অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামক দুইটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। বক্তারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরীচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা?

তিনি জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করে বলেন, তার সময় গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয়।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। এরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমানবাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।

এ ছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।

গুম, খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী ওই দল যাতে করে আগামীতে আর কখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক।

উক্ত অনুষ্ঠানে আগত ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ১,১৫৬ জন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করেন। জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানান।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তীতে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করেন নিরপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;