ভারত থেকে মোবাইল অ্যাপসে পরিচালিত হচ্ছে জেএমবি
হলি আর্টিজান মামলার রায়নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন সালাউদ্দিন সালেহীন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, প্রায় ছয় বছর ধরে ভারতে পালিয়ে আছেন এই জঙ্গি নেতা। সেখান থেকেই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। নিজেদের তৈরি গোপন মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে দিচ্ছেন দিক-নির্দেশনা।
সম্প্রতি রাজধানীর ভাটারা থেকে গ্রেফতার হওয়া জেএমবি নেতা আবু রায়হান মাহমুদ ওরফে আবদুল হাদী, হাবিবুর রহমান চাঁন মিয়া ও রাজীবুর রহমান রাজীব ওরফে সাগরের কাছে থেকে এসব তথ্য পেয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) কর্মকর্তারা।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘রাজধানীর ভাটারা থেকে গ্রেপ্তার হন রায়হান, তিনি সালাউদ্দিন সালেহীনের শ্যালক। সালেহীনই ২০১৭ সালে রায়হানকে জেএমবির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আমির ঘোষণা করেন। বেশকিছু দায়িত্বও দেন তাকে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, অ্যাপসের মাধ্যমে রায়হানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো সালেহীনের। কিভাবে জেএমবিকে সংগঠিত করতে হবে, কে অর্থ দেবে, দাওয়াতি কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হবে- ভারত থেকে এই সব বিষয়ে বিস্তারিত দিক-নির্দেশনা দিতেন সালেহীন।
২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। ছিনিয়ে নেয় প্রিজন ভ্যানে থাকা সালেহীন, বোমা মিজানসহ তিন জঙ্গিকে। এর পরই সালেহীন ও মিজান ভারতে পালিয়ে যায়। গত বছরের আগস্টে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার হয় মিজান। কিন্তু সালেহীন তখন থেকেই পলাতক রয়ে যান।
২০০৫ সালে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় সালেহীনের বিরুদ্ধে ৪০টির বেশি মামলা হয়। এর মধ্যে ১৩ মামলায় তার সাজা হয়। তিনটিতে হয় মৃত্যুদণ্ড।
সালেহীনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালেহীন ভারতে আছেন। তবে ভারতের কোথায় আছে তা এখনও জানা যায়নি।