ফুফাতো বোনের মরদেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ নববধূ
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ কিশোরী রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণার (১৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার ফুফাতো বোন।
রোববার (৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার জালে মরদেহটি উঠে আসে। এনিয়ে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে নববধূ সুইটি ও তার খালা আখি খাতুন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকারী দলের সাথে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন স্থানীয় জেলেরাও। রোববার দুপুরে জেলেদের মাছ ধরার জালে রুবাইয়ার মরদেহ উঠে আসে। মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ নববধূ ও তার খালার সন্ধানে ঘটনাস্থলের আশপাশে কাজ করছেন উদ্ধারকারী দল। নদীর ভাটির দিকে নৌ-পুলিশ ও বিজিবি’র টহল দল ট্রলার নিয়ে ভাসমান মরদেহেরও সন্ধান করছে।’
এদিকে, রুবাইয়ার আগে উদ্ধারকৃতরা হলেন- কনের দুলাভাই রতন আলী (৩২), চাচাতো বোন মরিয়ম (৮), চাচা শামীম (৩১), স্ত্রী মনি খাতুন (৪২), তাদের মেয়ে রোশনি (৭) ও কনের খালাতো ভাই এখলাস হোসেন (২২)।
হতাহতদের পরিবার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের রুমন আলীর (২৬) সাথে এপারের ডাঙেরহাট গ্রামের সুইটি খাতুনের (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুইটি শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন।
শুক্রবার (৬ মার্চ) কনেপক্ষ বরের বাড়ি থেকে নবদম্পতিকে আনতে যায়। সন্ধ্যার কিছুসময় আগে তারা বরের বাড়ি থেকে বের হয়ে দু’টি নৌকায় করে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় নগরীর শ্রীরামপুরের বিপরীতে নদীর মাঝামাঝি স্থানে নৌকা দু’টি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন:
নৌকাডুবি: নববধূসহ তিনজনের সন্ধান মেলেনি ৪২ ঘণ্টায়ও
পদ্মার জলরাশিতে নববধূকে খুঁজছেন স্বামী
নৌকাডুবি: মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েকে আঁকড়ে ছিলেন বাবা
পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি
পদ্মায় নৌকাডুবি: নববধূসহ নিখোঁজ ১৭, ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার