বইমেলায় মোহাম্মদ নূরুল হকের ‘আধুনিক বাংলা কবিতা: ছন্দের অনুষঙ্গে’
‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’অমর একুশে বইমেলা-২০২৪-এ পাওয়া যাচ্ছে, সাংবাদিক, গবেষক ও প্রবন্ধকার মোহম্মদ নূরুল হকের ‘আধুনিক বাংলা কবিতা: ছন্দের অনুষঙ্গে’।
বইটিতে ছন্দের তিনটি ধারা স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্তের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে এই তিন ছন্দের পরিচয়, উপকরণ এবং প্রয়োগ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন লেখক।
এ ছাড়াও বইটিতে বিশিষ্ট কবিদের কবিতায় বিভিন্ন ছন্দের প্রয়োগ, কোন কবি কোন ছন্দের প্রাধান্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
‘আধুনিক বাংলা কবিতা: ছন্দের অনুষঙ্গে’ বইটি প্রকাশ করেছে– বাংলানামা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন কমল ঠাকুর। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা। বইটি পাওয়া যাবে বাংলানামা’র ২১৮ নম্বর স্টলে।
মোহাম্মদ নূরুল হক একাধারে কবি, সমালোচক, প্রাবন্ধিক, গবেষক, ছোটকাগজ সম্পাদক। পেশায় সাংবাদিক।
পেশাগত জীবনে কিছুদিন তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে সাহিত্য পাতায় কাজ করেছেন। ‘দৈনিক আমাদের সময়’-এর বার্তা সম্পাদক, ‘বাংলা ট্রিবিউন’-এর উপ-বার্তা সম্পাদক, ‘সারাবাংলা’র বার্তা সম্পাাদক, ‘রাইজিংবিডি’র বার্তা সম্পাদক, ‘দৈনিক সময়ের আলো’র বার্তা সম্পাদক, ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর অনলাইনের বার্তা সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ঢাকা বিজনেস-এর বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন লেখক।
সাহিত্যের নানা শাখায় সমান বিচরণ থাকলেও মোহাম্মদ নূরুল হক প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। তাঁর সম্পাদনায় সাহিত্যবিষয়ক ‘ছোটকাগজ’, ‘মেঠোপথ’ (১৯৯৬ থেকে), ‘চিন্তাসূত্র’ (১৯৯৬ থেকে), ‘প্রাকপর্ব’ (২০০০ থেকে ২০০৫) ও ‘অনুপ্রাস’ (২০০১-২০০৫) প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত কবিতার বই: ‘মাতাল নদীর প্রত্নবিহার’, ‘স্বরচিত চাঁদ’, ‘উপ-বিকল্প সম্পাদকীয়’, ‘লাল রাত্রির গান’।
প্রবন্ধগ্রন্থ: ‘সাহিত্যে দশক বিভাজন ও অন্যান্য’, ‘সমালোচকের দায়’, ‘অহঙ্কারের সীমানা ও অন্যান্য’, ‘সাহিত্যের রাজনীতি’, ‘সমকালীন সাহিত্যচিন্তা’, ‘কবিতার সময় ও মনীষার দান’, ‘আহমদ ছফার বাঙালিদর্শন ও অন্যান্য’ এবং ‘বাংলা উপন্যাসে বিধবা: বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ-শরৎ’।
পুরস্কার-পদক: প্রবন্ধের জন্য ‘বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার-২০২০’ ও ঢাকা সাব এডিটর্স কাউন্সিল সম্মাননা। কবিতার জন্য পেয়েছেন ‘চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি দোনাগাজী পদক-২০২১’।
মোহাম্মদ নূরুল হকের জন্ম ১৯৭৬ সালের ১২ জুন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কেরামতপুর গ্রামে।