শেষ দিনেও গতানুগতিক চিত্র বই মেলার
‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’আজ পর্দা নামছে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বই মেলা-২০২৪ এর। প্রতি বছরের মতো এবারও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন পর্দা উঠেছিলো এ প্রাণের মেলার। তবে পর্দা নামছে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সিদ্ধান্তে বই মেলার সময় বাড়ে ২ দিন। বিদায়ী দিনেও অন্যান্য দিনের মতোই চিত্র দেখা যায় বই মেলায়।
শনিবার (২ মার্চ) বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র লক্ষ করা যায়।
বইমেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে গতানুগতিকভাবে রয়েছে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। তারা মেলায় আসছে, ঘুরছে এবং বই হাতে নিয়ে ছবি তুলছে। তবে বই কেনার দৃশ্য কমই চোখে পড়ছে মেলায়। তবে কিছু বই কিনতে ইচ্ছুক পাঠকের উপস্থিতি দেখা যায়। অনেকেই শেষ দিন উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ে বই কিনতে এসেছেন মেলায়।
প্রতি বছরই নিয়মিত বইমেলায় আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিকুল ইসলাম সানী। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বইমেলায় প্রতিবছরই নিয়মিত আসা হয়। তবে আগের মতো বেশি বেশি বই কিনতে পারি না। এখন বইয়ের দাম খুবই বেশি। আজ যেহেতু শেষ দিন কিছু প্রকাশনী বইয়ের দামে কিছুটা ছাড় দেন। সেজন্যই আজকে মেলায় আসা।
এদিকে প্রকাশকদের মধ্যে বই বিক্রির ব্যাপারে রয়েছে মিশ্র মতামত। মেলায় লক্ষ করা গেছে স্বনামধন্য প্রকাশনীগুলোর স্টল বড় প্যাভিলিয়নে সাজানো হয়েছে এবং এ প্রকাশনীগুলোর প্রকাশকগণ এবারের মেলায় বই বিক্রির ব্যাপারে সন্তুষ্ট। তবে নবীন এবং তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত প্রকাশনীগুলো হতাশা প্রকাশ করেছেন।
একই চিত্র দেখা যায় লিটলম্যাগ চত্বরেও। বইমেলায় লিটলম্যাগের অধিকাংশ প্রকাশক এবারের বইমেলা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এর কারণ হিসেবে তারা বাংলা একাডেমির নির্ধারণ করে দেওয়া স্থানটি লিটলম্যাগ চত্বরের জন্যে অনুপযোগী বলে বই বিক্রি কম হয়েছে বলে দাবি করেন।
বিদায়ী দিনে মেলা চলবে রাত ৯টা অবদি। বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে।