দেশের ৫৩তম বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নতুন বাজেট ঘোষণার পর বেশ কিছু পণ্যের দামের পরিবর্তনের সাথে স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা খরচও কমানো হয়েছে। তারমধ্যে কমছে রয়েছে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা খরচ।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে দেশে কিডনি রোগে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। এসব রোগীদের মধ্যে যারা ডায়ালাইসিস নেন এবারের বাজেটে তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত দুটি অত্যাবশকীয় পণ্য ফিল্টার ও সার্কিটের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে খরচ কমবে ডায়ালাইসিসের রোগীদের।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করার সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিগত বছরগুলোর মত এবারও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঔষধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ- ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।