বাজেট ২০২৪-২৫

বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনা যাবে ১১৭ গ্রাম

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাগে স্বর্ণ আনায় নতুন বিধিমালা

ব্যাগে স্বর্ণ আনায় নতুন বিধিমালা

২০২৩-২৪ বাজেটে প্রবাসী আয় বাড়াতে দেশের প্রচলিত যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে বিদেশ ফেরত যাত্রীরা ১১৭ গ্রাম ওজনের সোনার বার আনতে পারবেন। সেই সঙ্গে প্রতি ভরি বা ১১.৬৬৪ গ্রাম সোনার ওপর আরোপিত শুল্ক করও বাড়ানো হচ্ছে। এতে করে ব্যাগেজে আনা সোনার ওপর নির্ভরশীল দেশের বাজারে মূল্যবান এ ধাতুর দাম বাড়তে পারে। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করার সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অনেক প্রবাসী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় স্বর্ণের বার নিয়ে আসেন। বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুসারে, একজন ব্যক্তি প্রতি ভরিতে দুই হাজার টাকা শুল্ক দিয়ে ২৩৪ গ্রাম (২০ ভরি) ওজনের স্বর্ণের বার আনতে পারেন। পর্যটক নয়, এমন যাত্রীরা এ পরিমাণ শুল্ক পরিশোধ করে প্রায়শ এভাবে স্বর্ণ এনে দেশের বাজারে বিক্রি করেন।

এবারের বাজেটে যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬-এর আওতায় বিদ্যমান ২৩৪ গ্রামের পরিবর্তে ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড সব প্রকার শুল্ককর সাপেক্ষে আমদানির বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের জন্য শুল্ক হার বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করাসহ বিদ্যমান বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক নতুন বিধিমালা জারির প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।