রাত ১০টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার আশা সেনাবাহিনীর

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাত ১০টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার আশা সেনাবাহিনীর

রাত ১০টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার আশা সেনাবাহিনীর

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন রাত ১০টার মধ্যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন।

রোববার (৫ জুন) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কনটেইনারগুলো সরানো হচ্ছে, হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তা দিয়ে রাত ১০টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। অন্ধকার হয়ে গেলে এখানে লাইটার দিয়ে আলোকিত করা হবে। আশা করছি এখান থেকে আর কোনো আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটবে না।

সাইফুল আবেদিন বলেন, প্রথমে আমরা চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালকে প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ পেয়েছিলাম। ফায়ার সার্ভিসের যারা আহত ছিলেন তাদের ভর্তি করা হয়। সিএমএইচ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছয়জনকে হেলিকপ্টারে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ এলাকায় জনসমাগম খুব বেশি ছিল। যে কারণে আহত ও ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে, যাতে আরও বেশি জনসমাগম ও নাশকতামূলক কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেনাবাহিনীর একটি টিম যাচ্ছে, তারা ওখানেও সহযোগিতা করবে বলে জানান মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে সেবা করে জানিয়ে সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে সব সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবেন। আমরা সারারাত প্রস্তুত ছিলাম, ডিসি-এসপি সকালে বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখানে চলে আসি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে দুটি ড্রেন ছিল, যা বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত। এ ড্রেন দিয়ে কেমিক্যাল চলে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার টিম ড্রেনগুলো ব্লক করে দিয়েছে এবং ড্রেন দিয়ে কেমিক্যাল যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আর কোনো সহায়তা করার প্রয়োজন হলে তা আমরা করব।