তিন মাসের কোলের শিশু নিয়ে স্বামীর খোঁজে রেশমা!

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন



সীরাত মঞ্জুর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
তিন মাসের কোলের শিশু নিয়ে স্বামীর খোঁজে রেশমা!

তিন মাসের কোলের শিশু নিয়ে স্বামীর খোঁজে রেশমা!

  • Font increase
  • Font Decrease

মায়ের কোলে চড়ে এসেছেন ছোট্ট শিশু রিহাদ। তিন মাস বয়স। জীবন-মৃত্যু সম্পর্কে এখনও জন্ময়নি যার জ্ঞান। সীতাকুণ্ডের ডিপো কন্টেইনারের আগুনে তার বাবা নিখোঁজ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের মধ্যে তার মা রেশমা বেগম খুঁজছেন তার বাবাকে।

সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আগুন লাগার পর থেকে রেশমা বেগম তার স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। বিএম ডিপোতে তার স্বামী মোহাম্মাদ শাহজাহান কাভার্ড ভ্যানের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ ও দগ্ধদের পরিচয় পেতে সোমবার (৬ জুন) সকাল থেকে চমেকে ডিএনএ সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছে।

চমেকে নিখোঁজদের খুঁজে পেতে ডিএনএর নমুনা দিচ্ছেন স্বজনরা। রিহাদের বাবাকে খোঁজে পেতে ডিএনএ নমুনা দিচ্ছেন তার মা। স্বামীকে না পেয়ে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রেশমা বেগম। তিন মাসের সন্তান নিয়ে চমেকের করিডোরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে মা নমুনা দেওয়ার সময় কেঁদে ওঠে অবুঝ রিহাদ। তখন তাকে কোলে তুলে নিয়ে সান্ত্বনা দেন পুলিশের সদস্য সায়মা। এতেই রিহাদের কান্না থেমে যায়।

ফরিদুজ্জামানের মরদেহ শনাক্ত করতে তার মায়ের ডিএনএ নমুনা নেওয়া নেওয়া হচ্ছে

সকাল থেকে এভাবে রিহাদের মতো শিশুদের নিয়ে চমেকে আসছেন অনেকে। কেউ খুঁজছেন বাবা, কেউ ভাই, কেউবা তার স্বামী ও স্বজনদের। আর এদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন পুশিল ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ফরিদুজ্জামানের মরদেহ শনাক্ত করতে তার বাবা-মা ও ভাই এসেছেন চমেকে। ফরিদুজ্জামানের মরদেহ শনাক্ত করতে তার মায়ের ডিএনএ নমুনা নেওয়া নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় তার বাবা সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ফরিদুজ্জামান কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিল। ওই সময় ফায়ার সার্ভিস অফিসে পাগলা ঘণ্টা বাজতে শুরু করে। ফলে দায়িত্বের প্রয়োজনে আমার ছেলে আর ঘরে বসে থাকতে পারেনি। অসুস্থ শরীর নিয়েই বিএম কনটেইনার ডিপোতে ছুটে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে একবার বাড়িতে ফোন করে। এর কিছুক্ষণ পর ওর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের মরদেহ ডিএনএ নমুনা টেস্ট করে হস্তান্তর করা হবে।

   

ওপিসিডব্লিউ'র কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হল বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রিকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) ২৮তম বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে বাংলা‌দেশ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

শ‌নিবার (২ ডি‌সেম্বর) জা‌নি‌য়েছে দ্য হে‌গের বাংলা‌দেশ মিশন। 

বাংলা‌দেশ মিশন জানায়, সংস্থা‌টি‌তে একই মেয়াদে এশিয়া থেকে ইরান, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান নির্বাচিত হয়েছে। এশিয়া গ্রুপ থেকে কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যান্য বর্তমান দেশগুলো হচ্ছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, সৌদি আরব এবং কাতার।

বাংলাদেশ দূতাবাস বল‌ছে, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে সদস্যপদ লাভের জন্য ওপিসিডব্লিউতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন দীর্ঘ সময় এশিয়া গ্রুপের নেগশিয়েশনে সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, ওপিসিডব্লিউ-এর প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী স্তর। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে ওপিসিডব্লিউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ওপিসিডব্লিউ-কে ২০১৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মাত্র ৪১টি দেশ দুই বছর মেয়াদের জন্য এক্সিকিটিভ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;

আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হল বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিষয়ক সংস্থার (আইএমও) সি ক্যাটাগরিতে আগামী দুই বছরের (২০২৪-২০২৫) জন্য কাউন্সিল সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) লন্ডনে আইএমও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১২৮ ভোট পেয়ে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সংস্থা‌টির কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হ‌লো।

লন্ড‌নের বাংলাদেশ হাইক‌মিশন জানায়, আইএমওর ১৬৬ সদস্যের মধ্যে ১২৮ ভোট পে‌য়ে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জয়লাভ করল।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়। 

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং আইএমওতে স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ৪০ সদস্যের কাউন্সিলে বাংলাদেশের নির্বাচনে জয়লাভ সদস্য রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম কমিউনিটি যে আস্থা রেখেছে এটা তার প্রমাণ। এই বিজয় একটি সামুদ্রিক জাতি হিসেবে বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রতিফলন।

হাইকমিশনার বাংলাদেশকে কাউন্সিল সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য আইএমও সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ২০২৩ সালে আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে, সাইদা মুনা তাসনীম আইএমও-এর ৩৩তম অ্যাসেম্বলিতে সর্বসম্মতিক্রমে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিষয়ক সংস্থা’র (আইএমও) সদস্য দেশ ১৭৫ টি।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফটকে পরিবহন স্ট্যান্ড, জনজীবনে দুর্ভোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘিরে ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা। এর চারপাশে রয়েছে নিম্ন আদালত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজধানীর ৭টি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারী-বেসরকারী অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফটক ও ক্লাসরুমের নিকটবর্তী স্থানে গড়ে উঠেছে ঢাকা সিটির দশটি গণপরিবহন স্ট্যান্ড।

সার্বক্ষণিক শব্দ দূষণের মধ্যে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বাসগুলো পার্কিং করা থাকে যত্রতত্র। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। অতিরিক্ত শব্দদূষণ বিরূপ প্রভাব ফেলছে জনজীবনে। গণপরিবহণের ধোঁয়া বায়ুদূষণ করছে। জনবহুল এলাকা হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ফটকের মধ্যে তিনটি ফটক ঘিরে রয়েছে দশটি পরিবহনের স্ট্যান্ড। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কবি নজরুল সরকারী কলেজ, গভঃমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল, বাংলাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহানগর মহিলা কলেজ, হীড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে একই অবস্থা।

দশটি কোম্পানির নামে এ বাসগুলো রেজিষ্ট্রেশন করা সদরঘাট থেকে ঢাকার বিভিন্ন রোডে। তার মধ্যে রয়েছে- সাভার পরিবহন, আজমেরী গ্লোরী, ভিক্টর ক্লাসিক, বিহঙ্গ পরিবহন, তানজিল পরিবহন, আকাশ পরিবহন, বাহাদুর শাহ্ পরিবহন, সাত নম্বর বাস সার্ভিস, পোস্তগোলাগামী জিপ সার্ভিস ও ঘোড়ার গাড়ি। সদরঘাট থেকে ঢাকার বিভিন্ন রোডে চলাচল করা এসব গাড়ি একেকটি কোম্পানির একাধিক মালিকানায় রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভিক্টোরিয়া পার্কের চারপাশে গণপরিবহনের স্ট্যান্ড ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। এতে করে দীর্ঘ যানযট লেগেই থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে। পাশাপাশি অহেতুক হর্ণ বাজিয়ে এসব এলাকার শব্দদূষণের মাত্রা চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এসব গাড়িতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীদের আহত হওয়া ও নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও ঘটেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটা গেটেই গাড়ির অবাদ চলাচল ও এসব পরিবহনের স্ট্যান্ড রয়েছে। এসব গাড়িগুলো যেখানে সেখানে পার্কিং, অহেতুক হর্ণ বাজানো ক্যাম্পাসের সামনে থেকে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো তাদের চলাচল থেকে শুরু করে পড়াশোনার পরিবেশকে বিঘ্ন সৃষ্টি করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, আমরা যখন রাস্তা পারাপার করি তখন আমাদের খুবই ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয়।

তারা বলেন, বিশেষ করে বাহাদুরশাহ পরিবহন, ঘোড়ার গাড়িগুলোর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। রাস্তা পার হতে গিয়ে আমরা প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হই। আমাদের প্রধান ফটকের সামনে কোনো স্পিড বেকার নেই। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের নিরাপদ সড়কের কথা ভেবে শুধু আশ্বাস নয়, একটি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী বার্তা২৪-কে বলেন, ভিক্টোরিয়া পার্ক দিয়ে পার হওয়ার সময় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বুলিংয়ের শিকার হই। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ পরিবহণ শ্রমিক ও ভাসমান মানুষ। রাস্তায় ভীড়ের কারণে বেশিরভাগ সময় এদের আইডেন্টিফাই করা যায় না। ভীড়ের মধ্যে মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা। অনেক কিছু চিন্তাভাবনা করে এসবের বিচার দিতে সাহস হয় না। বাড়িতে জানাজানি হলে এখানে পড়তেও দিবে না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা পড়তে আসি। প্রশাসনও যেন নারীদের নিরাপত্তা ইস্যুতে নির্বিকার।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, কলেজের মেইন গেটের সামনে সবসময় জ্যাম লেগেই থাকে। রিক্সা, সিএনজি, প্রাইভেটকারের পাশাপাশি গণপরিবহনের বাসগুলো এখানেই পার্কের পাশ ধরে স্ট্যান্ড করে থাকে। কলেজে ঢুকতে বের হতে, চলাচল করা খুবই কষ্ট। আমাদের বিপরীত পাশেই গভঃ মুসলিম হাইস্কুল। একটু সামনে ২০গজ আগালেই সেন্ট ফ্রান্সিস, সেন্ট গ্রেগরি স্কুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ। এই মোড় দিয়ে এত এত শিক্ষার্থীর যাতায়াত করা খুবই কষ্ট।

কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন, ‘স্কুলের সামনে সবসময় ঘোড়ার গাড়ী থাকে। ঘোড়ার মলমূত্রে সবসময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। এখানে দাঁড়ানো যায়না বেশিক্ষণ। পাশাপাশি বাহাদুরশাহ পরিবহনের গাড়িগুলো খুব দ্রুত আসে। আমরা অনেক ভয়ের মধ্যে রাস্তা পারাপার করি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বার্তা২৪-কে বলেন, ভিক্টোরিয়া পার্কের চারপাশে বাস স্ট্যান্ড বহুবছর ধরে। এগুলো সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা মেট্টোপলিটন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের ভর্তি পরীক্ষার সময়েও এই বাসগুলো সরাতে পারিনা। এসব বিষয়ে ডিএমপি ও সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে কোতয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) পিয্যুশ রায় বার্তা২৪-কে বলেন, যে কয়টি গণপরিবহন ঢাকার ভিতর থেকে এখানে আসে, সবাই পার্কের পাশ দিয়ে ঘুরে চলে যায়। এছাড়া বাস ঘুরানোর কোনো জায়গা নেই। এখানে বাস দাঁড়িয়ে থাকা নিষেধ। যদি কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটে দাঁড়িয়ে থাকে, ওখানে আমাদের ট্রাফিক আছে তারা সমাধান করবে।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;

চট্টগ্রামেও ভূমিকম্প অনুভূত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। ৩ থেকে ৪ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এই ভূমিকম্প।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের কন্ট্রোল রুম জানায়, সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর আমরা পায়নি।

  সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন

;