আনন্দ উৎসবে সেতু দিয়ে পদ্মা পার

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আনন্দ উৎসবে পদ্মা সেতু পার

আনন্দ উৎসবে পদ্মা সেতু পার

পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সেতু পার হতে শুরু করেছেন অসংখ্য মানুষ।

রোববার (২৬ জুন) সকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্ত ও শরিয়তপুরে জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজা দিয়ে প্রায় সমহারে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রথম পদ্মা সেতু পারাপার হওয়ায় অনেকেই আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে এসেছে কালের সাক্ষী হতে। উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে। দীর্ঘ দিনের নদী পথের ভোগান্তির শেষ পদ্মা সেতুকে সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। নির্ধারিত মূল্যে টোল দিয়ে সেতু পার হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল উৎসব। অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন।

গণপরিবহনের আগেও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পরিবহন আনুষ্ঠানিক পদ্মা সেতু পার হলেও এবারই প্রথম যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সাইফুর নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমি রাত থেকে অপেক্ষায় ছিলাম, মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুতে ওঠার জন্য। ভোরে এসে টোল প্লাজার সামনে দাঁড়াই। সাড়ে ৬টার দিকে টোল দিয়ে সেতুতে পদ্মা পাড়ি দিলাম। বোঝাতে পারব না কতটা ভালো লাগা কাজ করছে। দীর্ঘ দিন ধরে ফেরিতে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তার সমাপ্ত হলো আজকে।

সোহেল রহমান নামে এক যাত্রী জানান, সেতু দিয়ে পাড় হলাম। অসাধারণ অনুভূতি। এবার ঈদে মানুষের কষ্টের লাঘাব হবে।  


বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী (তত্ত্বাবধায়ক) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে উৎসুক মানুষের আগ্রহ বেশি। এজন্য সকালে চাপ ছিল গাড়ির। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দক্ষিণবঙ্গগামী ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেশি আছে।

এর আগে শনিবার (২৫ জুন) মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ১২টায় এক বণার্ঢ্য অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকসহ হাজার হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী টোলপ্লাজায় প্রথম টোল দেন এবং তার গাড়িবহর নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন।

৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের এ সেতু। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ায় সম্ভাবনা আর প্রত্যাশার নতুন দিক উন্মোচিত হলো।