ইউরোর শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন দিয়ে গত রাতে শেষ হয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বের লড়াই। আসরের ২৪ দলের মধ্যে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে ৭৪তম থাকা জর্জিয়া গত রাতে গ্রুপ ‘এফ’-এর ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা পর্তুগালকে। এই জয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতেই এসেই নক-আউট পর্বে পৌঁছে যায় জর্জিয়া। এদিকে পর্তুগাল শেষ ষোলোর টিকিট কেটে রেখেছিল আরও আগেই। 

এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে তুরস্ক। এতেই ইউরোর এবারের আসর পেয়ে গেছে নক-আউট পর্বের ১৬ দল। শেষ ষোলোর দলগুলো হলো জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, বেলজিয়াম, স্লোভাকিয়া, পর্তুগাল, তুরস্ক এবং জর্জিয়া। 

গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে গেছে শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়া। গত ২৫ জুন তাদের বিপক্ষে যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করে গ্রুপ ‘বি’ থেকে রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ২৯ জুন থেকে শুরু হবে কোয়ার্টার-ফাইনালের লড়াই। সেখানে শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। এদিকে স্বাগতিক জার্মানি লড়বে ডেনমার্কের বিপক্ষে। 

এক নজরে শেষ ষোলোর পূর্ণাঙ্গ সূচি। 

তারিখ

সময়

ম্যাচ

ভেন্যু

২৯ জুন

রাত ১০টা

সুইজারল্যান্ড-ইতালি

বার্লিন

৩০ জুন

রাত ১টা

জার্মানি-ডেনমার্ক

ডর্টমুন্ড

৩০ জুন

রাত ১০টা

ইংল্যান্ড-স্লোভাকিয়া

গেলসেন         

১ জুলাই

রাত ১টা

স্পেন-জর্জিয়া

কোলন

১ জুলাই

রাত ১০টা

ফ্রান্স-বেলজিয়াম        

ডুসেলডর্ফ

২ জুলাই

রাত ১টা

পর্তুগাল-স্লোভেনিয়া     

ফ্রাঙ্কফুর্ট          

২ জুলাই

রাত ১০টা

রোমানিয়া-নেদারল্যান্ডস  

মিউনিখ

৩ জুলাই

রাত ১টা

অস্ট্রিয়া-তুরস্ক

লাইপজিগ       

 

শিরোপা জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন কোহলি 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ের এর থেকে ভালো মুহূর্ত আর যেন হতেই পারেনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে ব্যাট হাতে ছন্দহীন সময় পার করছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ফাইনালে এসে জ্বলে উঠল এই তারকার ব্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেললেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। জিতলেন ফাইনালের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং জানিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের অবসরের ঘোষণাটাও। 

আসর শুরু আগ থেকেই অনেকের ধারণা ছিল এটিই হতে চলেছে কোহলির শেষ বিশ্বকাপ। তবে সেমি পর্যন্ত তার পারফর্ম যেন মোটেও ছিল না মানানসই। হয়তো এমন ছন্দহীন চেয়েছিলেন না কোহলি নিজেও। তবে অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেই রানে ফিরলেন তিনি এবং বিদায়টা রাঙিয়ে রাখলেন শিরোপা উঁচিয়ে ধরে। 

সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আসরের ৭ ম্যাচে মিলে ১০.৭১ গড় এবং ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৭৫ রান করেছিলেন কোহলি। সেই রান খরা কাটিয়ে ফাইনালে ৫৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করলেন ৭৬ রান, যা আগের ৭ ম্যাচের রানের চেয়ে ১ বেশি। এতে রোহিতের সেই কথাগুলোও যেন একদিন বাদেই মিলে গেল। ‘আমরা বুঝি সে (কোহলি) কোন মানের ক্রিকেটার। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়।’ 

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদায়ের ঘোষণা নিজেই দিলেন কোহলি। সেখানে ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘এটাই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবং আমরা এটাই অর্জন করতে চেয়েছিলাম। একদিন আপনি অনুভব করবেন যে আপনি রান পাচ্ছেন না, তারপর ঘটবে এমন কিছু (৭৬ রানের ইনিংস)। ঈশ্বর মহান, এবং আমি দলের জন্য কাজটি গুরুত্বপূর্ণ দিনেই সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখন বা আর কখনই নয়, ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।’

১৪ বছর আগে ২০১০ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগমন কোহলির। সেখান থেকে আজকের ম্যাচ পর্যন্ত ভারতের জার্সি গায়ে খেললেন ১২৫ ম্যাচ। ৪৮.৬৯ ব্যাটিং গড় এবং ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪১৮৮, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিকে ফাইনালের এই ম্যাচ ৭৬ রান দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৫ ম্যাচে ১২৯২ রান করলেন কোহলি। এই ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য সবাইকে ছাড়িয়ে আছেন শীর্ষে।

;

প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ শিরোপা ভারতের 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল, ২০২১ ও ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। আইসিসির এই পাঁচ ইভেন্টে রানার্স-আপ দল একটিই, ভারত। তবে রোহিত-কোহলিদের জন্য নম্বর ‘সিক্স’ হয়ে থাকল ‘লাকি’। কেননা ষষ্ঠবারের প্রচেষ্টায় এবার আর ব্যর্থ হলো না ভারত। প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল রোহিত শর্মার দলটি। 

প্রোটিয়াদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ করে যেন সূর্যকুমারের ওই এক ক্যাচেই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। স্ট্রাইকে ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে সজোরে উড়িয়ে মারলেন মিলার। তবে লং অফে বাউন্ডারিতে স্কাইয়ের দু’বারের প্রচেষ্টায় সেই অসাধারণ ক্যাচ এবং শিরোপা ফসকে গেল প্রোটিয়াদের হাত থেকে। শেষ পর্যন্ত বাকি পাঁচ বলে তারা তোলে ৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান এবং ৭ রানে জিতে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে রোহিত-কোহলিরা। 

এদিকে ভারতের এই শিরোপা জয়ে বড় অবদান হার্দিকের শেষ দুই ওভার। অক্ষর প্যাটেল এক ওভারে ২৩ রান দেওয়ার পর ৩০ বলে প্রোটিয়াদের জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় কেবল ৩০ রানের। সেখানে বিধ্বংসী রুপে এগোচ্ছিলেন ক্লাসেন। ১৭তম ওভারে এই ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা ফেরায় হার্দিক এবং শেষ ওভারে মিলারকে ফিরিয়ে তা করেন অনেকটাই পাকাপোক্ত। এতেই ইনিংসে শেষ বল করার পর হার্দিকের চোখের পানিই বলে দিচ্ছিল এই শিরোপা কতখানি চাওয়ার। 

ভারতের ব্যাটিং ইনিংসটা এদিন অনেকটা ছিল বিরাট কোহলিকে ঘিরে। কেননা দলের অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেি রানে ফিরলেন তিনি। করলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৭৬ রান। দলের জয় বড় অবদান রেখে জিতলেন ফাইনাল ম্যাচের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বলে দিলেন বিদায়।

কেনসিংটন ওভালে এদিন ভারতের জয়টা শুরু টস দিয়েই। সেখানে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের রেকর্ড সংগ্রহ তোলে তার দল। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ১২ রানের মাথাতেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তবে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ডি ককের ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ অনেকটাই নিয়েছিল সামলে। সেখানে স্টাবস ৩১ রানে ফিরলেও ডি কক এগোচ্ছিল পিচে থিতু হয়ে। তবে দলীয় ১০৬ রানের মাথায় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখান আর্শদীপ। ৩১ বলে ডি কক করেন ৩৯ রান। 

এরপরই শুরু হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়। ২৩ বলে তিনি তুলে নেন ফিফটি এবং অক্ষরকে সেই ওভারে তুলধুনোর পর জয়ের একদম দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ বলে লাগত স্রেফ ৩০ রান। তবে সেখানে শেষ পাঁচ ওভারে বুমরাহ-আর্শদীপ-হার্দিকের পেসের সামনে দাঁড়াইতেই পারল না প্রোটিয়ারা এবং তাদের সংগ্রহ থামল ১৬৯ রানেই। সেখানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হার্দিক। এদিকে দুটি করে উইকেট নেন আর্শদীপ ও বুমরাহ। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ঝোড়ো পেয়েছিল ভারত। প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৫ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারেই বড় ধাক্কা খায় ভারত। কেশভ মহারাজের জোড়া আঘাতে তিন বলের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত ও পান্ত। পরে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় চাপ বাড়িয়ে ফেরনে সূর্যকুমার যাদবও। 

আসরের ফাইনালে এসে রানে ফেরার দিনে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে শুরুর সেই চাপ সামলে নেন কোহলি। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭২ রানের সময় উপযোগী জুটি। সেখানে অক্ষর ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেও ছন্দে এগোতে থাকেন কোহলি। পরে দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় ইয়ানসেনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন শিবাম দুবে। আর এতেই ১৭৬ রানের বিশ্বকাপের ফাইনালের রেকর্ড সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। প্রোটিয়াদের হয়ে সেখানে দুটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও নর্কিয়া। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, আকসার ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ৩৯, মার্করাম ৪, স্টাবস ৩১, ক্লসেন ৫২, মিলার ২১, ইয়ানসেন ২, মহারাজ ২*, রাবাদা ৪, নরকিয়া ১*; আর্শদিপ ৪-০-২০-২, বুমরাহ ৪-০-১৮-২, আকসার ৪-০-৪৯-১, কুলদিপ ৪-০-৪৫-০, পান্ডিয়া ৩-০-২০-৩, জাদেজা ১-০-১২-০)

ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী
ফাইনাল সেরা: বিরাট কোহলি
টুর্নামেন্ট সেরা: জাসপ্রিত বুমরাহ

;

ইনিংস মাঝে রোহিত-মার্করামদের লড়াইটা চলছে সমানে-সমান 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে গড়িয়েছে ১২ ওভার। সেখানে ৩ উইকেটে ১০১ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য তাই ৪৮ বলে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ৭৬ রান। আধুনিক টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় যা সহজের কাতারে থাকলেও আসরের অন্যতম বোলিং বিভাগের শক্তিশালী দল ভারতের সামনে সেটি অতটাও সহজ হবার নয়। এতেই ইনিংস মাঝের এই অবস্থানে লড়াইটা চলছে সমানে-সমান। যেন ফাইনালটা চলছে ফাইনালের মতোনই। 

প্রোটিয়াদের শুরুটা হয়েছিল বড় ধাক্কা দিয়ে। ১২ রানেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তবে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ডি ককের ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ অনেকটাই নিয়েছে সামলে। সেখানে স্টাবস ৩১ রানে ফিরলেও ডি কক এগোচ্ছে পিচে থিতু হয়ে। অপরাজিত আছেন ৩৫ রানে। 

এদিকে কেনসিংটন ওভালে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সেখানে দ্বিতীয় ওভারেই বড় ধাক্কা খায় ভারতও। কেশভ মহারাজের জোড়া আঘাতে তিন বলের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত ও পান্ত। পরে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় চাপ বাড়িয়ে ফেরনে সূর্যকুমার যাদবও। 

সেখান থেকে রান ফেরার দিনে বিরাট কোহলির ৭৬, অক্ষরের ৪৭ এবং দুবের ২৭ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ১৭৬ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পায় রোহিত শর্মার দল। 

১৭ বছর ভারত লড়ছে তাদের দ্বিতীয় শিরোপার জন্য। এদিকে প্রোটয়ারা তাদের শোকেসে তুলতে চায় প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। 

;

শুরুর চাপ সামলে এগোচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা  

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্যটা ১৭৭ রানের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। এতে প্রথম কোনো বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলতে রীতিমত রেকর্ডই গড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে রান তাড়ার শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল প্রোটিয়ারা। দলীয় ১২ রানের মাথাতেই তারা হারিয়েছে ২ উইকেট। 

সেই চাপ সামলে নিতে অবশ্য ২২ গজে এই মুহূর্তে লড়ছেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৪২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য এখান থেকে ৮৪ বলে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ১৩৫ রান। 

কক-স্টাবসের তৃতীয় উইকেটের জুটি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে ৩০ রানে। এদিকে ইনিংসের প্রথম ওভারটা বেশ বুঝেশুনেই পার করেন দুই ওপেনার ডি কক ও হেন্ড্রিক্স। তবে দ্বিতীয় ওভারে জাসপ্রীত বুমরাহের দারুণ এক বলে বোল্ড হয়ে ফেরনে হেন্ড্রিক্স। এদিকে পরের ওভারেই প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে সাজঘরের রাস্তা দেখান আরেক পেসার আর্শদীপ সিং। সেই চাপ সামলে সময় নিয়ে হাত খুলে খেতে শুরু করেছেন ডি কক-স্টাবস দুজনেই। 

এদিকে এর আগে ফাইনালে টসে জিতে বিরাট কোহলির ৭৬ ও অক্ষর প্যাটেলের ৪৭ রানে চড়ে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে ভারত। 

;