শিরোপা জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন কোহলি
ক্রিকেট কার্নিভালবিদায়ের এর থেকে ভালো মুহূর্ত আর যেন হতেই পারেনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে ব্যাট হাতে ছন্দহীন সময় পার করছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ফাইনালে এসে জ্বলে উঠল এই তারকার ব্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেললেন ৫৯ বলে ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। জিতলেন ফাইনালের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং জানিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের অবসরের ঘোষণাটাও।
আসর শুরু আগ থেকেই অনেকের ধারণা ছিল এটিই হতে চলেছে কোহলির শেষ বিশ্বকাপ। তবে সেমি পর্যন্ত তার পারফর্ম যেন মোটেও ছিল না মানানসই। হয়তো এমন ছন্দহীন চেয়েছিলেন না কোহলি নিজেও। তবে অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেই রানে ফিরলেন তিনি এবং বিদায়টা রাঙিয়ে রাখলেন শিরোপা উঁচিয়ে ধরে।
সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আসরের ৭ ম্যাচে মিলে ১০.৭১ গড় এবং ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৭৫ রান করেছিলেন কোহলি। সেই রান খরা কাটিয়ে ফাইনালে ৫৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করলেন ৭৬ রান, যা আগের ৭ ম্যাচের রানের চেয়ে ১ বেশি। এতে রোহিতের সেই কথাগুলোও যেন একদিন বাদেই মিলে গেল। ‘আমরা বুঝি সে (কোহলি) কোন মানের ক্রিকেটার। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়।’
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদায়ের ঘোষণা নিজেই দিলেন কোহলি। সেখানে ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘এটাই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবং আমরা এটাই অর্জন করতে চেয়েছিলাম। একদিন আপনি অনুভব করবেন যে আপনি রান পাচ্ছেন না, তারপর ঘটবে এমন কিছু (৭৬ রানের ইনিংস)। ঈশ্বর মহান, এবং আমি দলের জন্য কাজটি গুরুত্বপূর্ণ দিনেই সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখন বা আর কখনই নয়, ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।’
১৪ বছর আগে ২০১০ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আগমন কোহলির। সেখান থেকে আজকের ম্যাচ পর্যন্ত ভারতের জার্সি গায়ে খেললেন ১২৫ ম্যাচ। ৪৮.৬৯ ব্যাটিং গড় এবং ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪১৮৮, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিকে ফাইনালের এই ম্যাচ ৭৬ রান দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৫ ম্যাচে ১২৯২ রান করলেন কোহলি। এই ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য সবাইকে ছাড়িয়ে আছেন শীর্ষে।