প্রোটিয়াদের কাঁদিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ শিরোপা ভারতের 

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল, ২০২১ ও ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। আইসিসির এই পাঁচ ইভেন্টে রানার্স-আপ দল একটিই, ভারত। তবে রোহিত-কোহলিদের জন্য নম্বর ‘সিক্স’ হয়ে থাকল ‘লাকি’। কেননা ষষ্ঠবারের প্রচেষ্টায় এবার আর ব্যর্থ হলো না ভারত। প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল রোহিত শর্মার দলটি। 

প্রোটিয়াদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ করে যেন সূর্যকুমারের ওই এক ক্যাচেই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। স্ট্রাইকে ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে সজোরে উড়িয়ে মারলেন মিলার। তবে লং অফে বাউন্ডারিতে স্কাইয়ের দু’বারের প্রচেষ্টায় সেই অসাধারণ ক্যাচ এবং শিরোপা ফসকে গেল প্রোটিয়াদের হাত থেকে। শেষ পর্যন্ত বাকি পাঁচ বলে তারা তোলে ৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান এবং ৭ রানে জিতে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে রোহিত-কোহলিরা। 

এদিকে ভারতের এই শিরোপা জয়ে বড় অবদান হার্দিকের শেষ দুই ওভার। অক্ষর প্যাটেল এক ওভারে ২৩ রান দেওয়ার পর ৩০ বলে প্রোটিয়াদের জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় কেবল ৩০ রানের। সেখানে বিধ্বংসী রুপে এগোচ্ছিলেন ক্লাসেন। ১৭তম ওভারে এই ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা ফেরায় হার্দিক এবং শেষ ওভারে মিলারকে ফিরিয়ে তা করেন অনেকটাই পাকাপোক্ত। এতেই ইনিংসে শেষ বল করার পর হার্দিকের চোখের পানিই বলে দিচ্ছিল এই শিরোপা কতখানি চাওয়ার। 

ভারতের ব্যাটিং ইনিংসটা এদিন অনেকটা ছিল বিরাট কোহলিকে ঘিরে। কেননা দলের অধিনায়ক-কোচের আশার মান রেখে ফাইনালেি রানে ফিরলেন তিনি। করলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৭৬ রান। দলের জয় বড় অবদান রেখে জিতলেন ফাইনাল ম্যাচের ম্যাচসেরার খেতাব। এবং বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বলে দিলেন বিদায়।

কেনসিংটন ওভালে এদিন ভারতের জয়টা শুরু টস দিয়েই। সেখানে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের রেকর্ড সংগ্রহ তোলে তার দল। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ১২ রানের মাথাতেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তবে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ডি ককের ৫৮ রানের জুটি সেই চাপ অনেকটাই নিয়েছিল সামলে। সেখানে স্টাবস ৩১ রানে ফিরলেও ডি কক এগোচ্ছিল পিচে থিতু হয়ে। তবে দলীয় ১০৬ রানের মাথায় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখান আর্শদীপ। ৩১ বলে ডি কক করেন ৩৯ রান। 

এরপরই শুরু হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়। ২৩ বলে তিনি তুলে নেন ফিফটি এবং অক্ষরকে সেই ওভারে তুলধুনোর পর জয়ের একদম দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ বলে লাগত স্রেফ ৩০ রান। তবে সেখানে শেষ পাঁচ ওভারে বুমরাহ-আর্শদীপ-হার্দিকের পেসের সামনে দাঁড়াইতেই পারল না প্রোটিয়ারা এবং তাদের সংগ্রহ থামল ১৬৯ রানেই। সেখানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হার্দিক। এদিকে দুটি করে উইকেট নেন আর্শদীপ ও বুমরাহ। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ঝোড়ো পেয়েছিল ভারত। প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৫ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারেই বড় ধাক্কা খায় ভারত। কেশভ মহারাজের জোড়া আঘাতে তিন বলের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত ও পান্ত। পরে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় চাপ বাড়িয়ে ফেরনে সূর্যকুমার যাদবও। 

আসরের ফাইনালে এসে রানে ফেরার দিনে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে শুরুর সেই চাপ সামলে নেন কোহলি। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭২ রানের সময় উপযোগী জুটি। সেখানে অক্ষর ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেও ছন্দে এগোতে থাকেন কোহলি। পরে দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় ইয়ানসেনের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন শিবাম দুবে। আর এতেই ১৭৬ রানের বিশ্বকাপের ফাইনালের রেকর্ড সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। প্রোটিয়াদের হয়ে সেখানে দুটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও নর্কিয়া। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭ (রোহিত ৯, কোহলি ৭৬, পান্ত ০, সুরিয়াকুমার ৩, আকসার ৪৭, দুবে ২৭, পান্ডিয়া ৫, জাদেজা ২; ইয়ানসেন ৪-০-৪৯-১, মহারাজ ৩-০-২৩-২, রাবাদা ৪-০-৩৬-১, মার্করাম ২-০-১৬-০, নরকিয়া ৪-০-২৬-২, শামসি ২৩-০-২৬-০)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ৩৯, মার্করাম ৪, স্টাবস ৩১, ক্লসেন ৫২, মিলার ২১, ইয়ানসেন ২, মহারাজ ২*, রাবাদা ৪, নরকিয়া ১*; আর্শদিপ ৪-০-২০-২, বুমরাহ ৪-০-১৮-২, আকসার ৪-০-৪৯-১, কুলদিপ ৪-০-৪৫-০, পান্ডিয়া ৩-০-২০-৩, জাদেজা ১-০-১২-০)

ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী
ফাইনাল সেরা: বিরাট কোহলি
টুর্নামেন্ট সেরা: জাসপ্রিত বুমরাহ

ইংলিশ পেসারদের মেন্টরের দায়িত্বে অ্যান্ডারসন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে রেকর্ড ৭০০ উইকেট জেমস অ্যান্ডারসনের নামের পাশে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর মাত্র ৮ উইকেট পেলেই অজি কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নকে টপকে মুতিয়া মুরালিধরনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে যাবেন অ্যান্ডারসন। সেটি করতে অবশ্য মাত্র একটি ম্যাচেই সুযোগ পাচ্ছেন অ্যান্ডারসন। কেননা, লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতেই দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চলেছেন ৪১ বছর বয়সী এই পেসার।

অ্যান্ডারসনের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এ নিয়ে পরিকল্পনাও করে ফেলেছে তারা। অ্যান্ডারসনকে পেস বোলারদের মেন্টর হিসেবে কাজ কারার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কী নিজে জানিয়েছেন এমন কথা।

অ্যান্ডারসনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে রব কী বলেন, ‘জিমি দলের সঙ্গে থেকে যাবে। সে মেন্টর বা পরামর্শক হিসেবে দলকে সাহায্য করবে। ইংলিশ ক্রিকেটের জন্য তার কাছে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। আমরা সেই সম্ভাবনার মৃত্যু চাই না। তাই আমরা তার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। সে এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। কেননা, তার কাজ করার অনেক অপশন থাকবে তখন। আর তাছাড়া ইংলিশ ক্রিকেট ভাগ্যবান হবে যদি সে খেলায় থাকতে চায়।’

আগামী ১০ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট শেষে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন অ্যান্ডারসন। এরপর কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে মাঠের খেলায় ফেরার কথা রয়েছে অ্যান্ডারসনের। তবে এর পরপরই অ্যান্ডারসনকে কাজে লাগাতে চায় ইসিসি। এ নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনাতেও বসবেন বর কী। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোন বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ আছে অ্যান্ডারসনের তা জানার পর তাকে দায়িত্ব দেবে ইসিবি।

বিষয়টি নিয়ে রব কী বলেন, ‘লর্ডস টেস্টের পরে সে ল্যাঙ্কাশায়ারের সাথে তার বাকি কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। তিনি কী করতে চান, তার ভাবনা কি তা জানার জন্য তার সঙ্গে আমরা কথা বলব। তবে এখন পর্যন্ত সে কেবল এই টেস্ট ম্যাচ নিয়েই ভাবছে এবং নিজেকে প্রস্তুত করছে।’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

কোপা আমেরিকায় নিষিদ্ধ হলেন আরেক আর্জেন্টাইন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিল যদি ফুটবলার তৈরির কারখানা হয় তবে আর্জেন্টিনা কোচ তৈরির। যার প্রমাণ মিলে কোপা আমেরিকায় অংশ নেওয়া দলগুলোর কোচিং প্যানেলের দিকে তাকালেই। কোপায় অংশ নেওয়া ১৬টি দলের মধ্যে ৭টি দলের প্রধান কোচের ভূমিকাতেই আছে আর্জেন্টাইন কোচ। বিপরীতে ব্রাজিলের কোচ মাত্র ২ জন। যাতে প্রমাণ হয় কোচ তৈরির ক্ষেত্রে কতটা এগিয়ে আর্জেন্টিনা। তবে এবার কোপায় নিষেধাজ্ঞায় পড়েই বেশি আলোচনায় আসতে হচ্ছে আর্জেন্টাইন কোচদের।

এখন পর্যন্ত কোপায় মোট ৪ জন কোচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। শাস্তি পেয়েছেন লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার (কনমেবল)। সেই চারজন কোচই আবার আর্জেন্টাইন। সবশেষ এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম উঠেছে উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসার। উরুগুয়ের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। এমন কি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও আসতে পারবেন না তিনি।

তাকে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ, সবশেষ বলিভিয়ার বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে প্রথমার্ধের বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর আগে দেরিতে মাঠে এসেছেন তিনি। যার কারণেই তাকে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাকে পাচ্ছে না উরুগুয়ে। অবশ্য এতে খুব বেশি প্রভাব পড়ার কথা নয়। কেননা, প্রথম দুই ম্যাচ দাপুটে জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে দলটি। তবে ম্যাচটি অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। কেননা, কোয়ার্টারে যেতে এই ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। আর সেটি না পারলেও অন্তত উরুগুয়ের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে শেষ ম্যাচে পানামার দিকে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের সমান ৩ পয়েন্ট পানামারও।

বিয়েলসা অবশ্য প্রথম এই শাস্তি পাননি। এর আগে একই কারণে শাস্তি পেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। সঙ্গে শাস্তি পেয়েছেন চিলির কোচ রিকার্দো কারেগা ও ভেনেজুয়েলার কোচ ফের্নান্দো বাতিস্তা। যারা কিনা সবাই আর্জেন্টাইন।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

হতাশায় শুরু তাওহিদ হৃদয়ের এলপিএল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ডাম্বুলা সিক্সার্স দলে এবার ডাক পেয়েছেন দুই টাইগার ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় ও মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল রবিবার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেশ ছেড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ সহ মোট তিনজন টাইগার ক্রিকেটার।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় হৃদয়-মুস্তাফিজের ডাম্বুলা সিক্সার্স মাঠে নেমেছে কান্ডি ফ্যাল্কন্সের বিপক্ষে। যেখানে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট হাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে ডাম্বুলা সিক্সার্স। ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার তাওহিদ হৃদয়ও। ২ বলে ১ রান করে দাশুন শানাকার ওভারে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়েছেন তিনি।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ ওভার শেষে ডাম্বুলার সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ফিরে এলেন টাইগারদের বিশ্বকাপ জেতানো কোচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্যটা এসেছিল ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে। সেবার আকবর আলীর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশের যুবারা। সেই দলের অনেকেই এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত একাদশেও খেলছে। যার হাত ধরে ক্রিকেটে এতবড় সাফল্যটা পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেই নাভিদ নেওয়াজকে আবারও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই লঙ্কান কোচ ঢাকায় পা রেখেছেন আজ। বিসিবির কাছ থেকে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের যুবাদের দায়িত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত নাভিদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও।

তিনি বলেছেন, ‘ঘরে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। বাংলাদেশে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের মধ্যে যথেষ্ট গভীরতা আছে। আমি বাংলাদেশের সব জায়গায় যেতে চাই, প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করতে চাই। দু-তিন বছর পর আবার বাংলাদেশে কাজ করতে পারছি, ভালো লাগছে।’

নাভিদের হাত ধরেই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে সেরা সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য আর তেমন কোনো সাফল্য নেই। তাই নাভিদকে নতুন করে ফেরানোর মানে ফের বিশ্বমঞ্চে সাফল্য চায় বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই তাই এবার বাড়তি চাপ থাকবে নাভিদের ওপর। তিনি অবশ্য বিষয়টাকে চাপ হিসেবে না নিয়ে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন।

যা নিয়ে এই লঙ্কান কোচ বলেন, ‘আমি বর্তমানে মনোযোগ দিতে চাইব, চার বছর আগে যা হয়েছে, তা অতীত। অতীতে ভালো করেছি, তাই সামনেও ভালো করব, বিষয়টা তেমন নয়। বরাবরের মতো বিসিবি এবারও দারুণ কিছু পরিকল্পনা সাজিয়েছে, যা অতীতে সাফল্য এনে দিয়েছে। আশা করছি, এবারও তা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দারুণ ক্রিকেট খেলে নজরে আসলেও পরে জাতীয় দলে গিয়ে সেই অর্থে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপে ভেঙে পড়ে। একটা সময় হারিয়েও যায়।

যা নিয়ে নাভিদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা অন্য রকম। আপনি ১৮-১৯ বছর বয়সে ভালো ক্রিকেটার হলেও ২৫-২৬–এ গিয়ে যে তারকা বনে যাবেন, বিষয়টি তেমন নয়। কতটা পরিশ্রম করছেন, তার ওপর সব নির্ভর করে। ক্রিকেট খেলাটা এখন অনেকটাই বিশ্লেষণনির্ভর। খেলোয়াড়দের নিজের ভুল ধরতে হয়, শোধরাতে হয়। সে জন্য বয়সভিত্তিকের পর বিসিবির এইচপি ও অন্য বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কার্যক্রম আছে। যেন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মতো জায়গায় ছেলেরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারে, নিজেদের ঘাটতি মেটাতে পারে।’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;