ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় মেহেরপুরেও শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। তবে যদি বর্ষণ ভারি হয় তবে আমন ধান, গম, মসুর ও সবজির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে এ জেলার কৃষকদের।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল' শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হচ্ছিল।
মেহেরপুর সবজি প্রধান জেলা হলেও তিন মৌসুমে ধান, রবি মৌসুমে গম, মসুর, সরিষা ও ভুট্টার আবাদ হয়। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকেই ভুট্টা, গম ও মসুর বপন শুরু হয়েছে। অপরদিকে মাঠ ভর্তি আমন ধান পাকার ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে। এ অবস্থায় ভারি বর্ষণ হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে সব ফসলের।
সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, আমন ধান প্রায় পেকে গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে কাটা মাড়াই শুরু হবে। বৃষ্টি বাড়লে ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হবে।
ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানালেন সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি তহসিন আলী। তিনি বলেন, কয়েকদিন পরে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করবে। বিশেষ করে ফুল কপি, মুলা, সিম ও বিভিন্ন প্রকার শাক বিক্রি উপযোগী প্রায়।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, শতকরা ৮০ ভাগ পেকে গেছে এমন ধান অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জমির আইল ও ড্রেন কেটে রাখলে পানি দ্রুত নিষ্কাসন হবে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল'কে সামনে রেখে এসব বার্তা চাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।