২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট
কৃষিখাতে প্রণোদনা ১৭ হাজার কোটি টাকা
সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশউৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত করতে আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কৃষিখাতে ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সার সরবরাহ, জ্বালানি, বীজ, যন্ত্রপাতি ও কৃষির অন্যান্য উপকরণ সরবরাহে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে এখাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সারের দাম বৃদ্ধি, টাকার বিনিময় হারে অবনমনসহ বিভিন্ন কারণে এই বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়।
এ হিসাবে নতুন অর্থবছরে এবারের মূল বরাদ্দের তুলনায় কৃষি ভর্তুকি অপরিবর্তিত থাকলেও সংশোধিত বাজেটের তুলনায় কমছে ৮০০০ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে এলে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ব্যয় কমাতে হবে। এরই অংশ হিসেবে এবার অন্যান্য খাতে এ ধরনের বরাদ্দ কমেছে। তবে খাদ্য নিরাপত্তা, দরিদ্র মানুষের খাদ্য সরবরাহের নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন কারণে কৃষিকে অগ্রাধিকার খাত ধরে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।