নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার অর্থ হবে সংঘাতে যোগ দেয়া: পুতিন
রুশ-ইউক্রেন সংঘাতকোনও দেশ ইউক্রেনের ওপর ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার অর্থ হবে সেই দেশও যুদ্ধে অংশ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার (৫ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পুতিন বলেন, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে কেউ নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করলে আমরা সেই দেশের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ হিসেবে বিবেচনা করব।
নো-ফ্লাই জোন কী?
আকাশসীমার কোনো অঞ্চলকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার অর্থ হলো সেখানে কোনো উড়োজাহাজ উড়তে পারবে না। সংবেদনশীল এলাকা যেমন- রাজপ্রাসাদ রক্ষা করতে কিংবা কোনো খেলার আয়োজনে অথবা বড় সমাবেশের ক্ষেত্রেও স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
সাধারণত সামরিক বাহিনী কোনো সম্ভাব্য আক্রমণ বা নজরদারি এড়াতে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। সেক্ষেত্রে কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নো ফ্লাই জোনে প্রবেশ করলে সামরিক বাহিনী ওই উড়োজাহাজকে নামিয়ে ফেলতে পারে।
এদিকে, ইউক্রেনের ওপর ‘নো-ফ্লাই জোন’ আরোপের প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করায় পশ্চিমা নেতাদের নিন্দা ও পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোকে তিরস্কার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ন্যাটো ইউক্রেনের আকাশসীমাকে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা (নো-ফ্লাই জোন) ঘোষণা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ, ন্যাটো সরাসরি রুশ-ইউক্রেন সংকটে জড়াতে ইচ্ছুক নয়। নিরপরাধ বেসামরিক লোকজনের প্রাণ চলে যাচ্ছে—এমন হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধকে সমর্থন করা ছাড়া অন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে নারাজ ন্যাটো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ন্যাটোর এমন পদক্ষেপকে দুর্বলতা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে, ন্যাটো বলেছে এটি করলে আরও অনেক দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।