ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে বর্বর বললেন জেলেনস্কি

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমুদ্রপথে খাদ্যশস্য রফতানি শুরু করার বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার পরদিনই ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাকে বর্বর বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে হওয়া সমঝোতার ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে, কিয়েভ বলেছে চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন সত্ত্বেও শস্য রফতানি পুনরায় শুরু করার তাদের প্রস্তুতি চলছে।

জেলেনস্কি বলেন, মস্কো খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি মানবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। চুক্তি সই হওয়ার পরদিনই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তাই প্রমাণ করে। তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্জনের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এখন যদি খাদ্যশস্য রফতানির চুক্তি ভেস্তে যায় তাহলে তার জন্য দায়ী হবে রাশিয়া।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল যার দুটিকে তারা গুলি করে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। বাকি দুটি ক্ষেপণাস্ত্র শনিবার সকালে ওডেসা শহরে আঘাত হেনেছে।

এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যেই শুক্রবার (২২ জুলাই) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই চুক্তিটি সই হয় এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এটিকে ঐতিহাসিক সমঝোতা বলে উল্লেখ করা হয়।

ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে আছে। এই শস্য রফতানি করা গেলে বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাওয়া খাদ্যের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, এই হামলা চুক্তির প্রতি রাশিয়ার প্রতিশ্রুতির বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই তার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং যে শস্য চুক্তিতে তারা সম্মত হয়েছে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।

ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেনি, তবে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী তুর্কি সরকার বলেছে যে রুশ কর্মকর্তারা দায় অস্বীকার করেছেন।

   

পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী বন্ড শুধু ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। এর জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ভুগতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর। তিনি বলেন, এই দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারকে ভোটাররা শাস্তি দেবেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর বলেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সবাই দেখতে পেয়েছেন। এটাও বুঝতে পেরেছেন, এটি শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে ব়ড় দুর্নীতি। এটা বিজেপিকে ভোগাবে বলেই মনে হয়। এই নির্বাচনী বন্ড আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রচারিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের যে তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাতে দেখা যায়- নির্বাচনী বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা পেয়েছে। তালিকায় তাদের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। তারা ওই সময়ের মধ্যে পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

আরও চারদিন বাড়ল কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও চারদিন বাড়ল কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ

আরও চারদিন বাড়ল কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবগারি দুর্নীতি মামলায় অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়িয়েছে ভারতের একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ প্রথম দফায় বাড়িয়ে ১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গত ২১ মার্চ দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মদ নীতি কেলেঙ্কারির মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করে ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে রুশ গোয়েন্দা প্রধানের উ.কোরিয়া সফর : কেসিএনএ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে ঐতিহাসিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হওয়ার প্রেক্ষিতে রুশ গোয়েন্দা প্রধান চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ কথা জানায়।

রাশিয়ার বিদেশি গোয়েদা সংস্থা এসভিআর-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন ২৫ থেকে ২৭ মার্চ তার সফরকালে উত্তর কোরিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী রি চ্যাং ডে-এর সাথে বৈঠক করেন।

কেসিএনএ জানায়, কর্মকর্তারা শত্রু শক্তির ক্রমবর্ধমান গুপ্তচরবৃত্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের মোকাবিলা করতে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়া উভয়ই বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে শীর্ষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কিম ঘোষণা করেন, রাশিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তবে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে।

এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়া জোর দিয়ে বলেছে, গত জুলাইয়ের দিকে স্থানান্তর শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ায় প্রায় ৭ হাজার কন্টেইনার অস্ত্র পাঠিয়েছে।

ওয়াশিংটন ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া বিনিময়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও তার সোভিয়েত যুগের সামরিক সরঞ্জাম উন্নত করার মতো সামরিক সহায়তা চায়।

কেসিএনএ'র রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ একটি বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার টেবিলে থাকা বিষয়গুলোর ওপর সম্পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা, বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরস্ত্র ২ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ বালুচাপা দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সৈকতে ২ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের একজনকে বারবার সাদা কাপড়ের টুকরো নাড়তে দেখা যায়। কিন্তু কোনো হুমকি সৃষ্টি না করলেও ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে তাদের হত্যা করে। পরে গাজা শহরের কাছে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, এটা ইসরায়েলি বাহিনীর ফ্যাসিবাদ, অপরাধের মাত্রার আরও একটি প্রমাণ যা জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।

 

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;