ক্রিমিয়ায় বিস্ফোরণে রুশ ৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে: স্যাটেলাইট চিত্র

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিভুক্ত ক্রিমিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে রাশিয়ার সাতটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। প্ল্যানেট ল্যাবসের নতুন স্যাটেলাইট ইমেজে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ওই বিস্ফোরণের দায় প্রকাশ্যে স্বীকার করা থেকে বিরত থেকেছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। তবে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে রুশ বর্ণনাকে উপহাস করেছেন তারা। রাশিয়ার দাবি সাকি বিমান ঘাঁটির গোলাবারুদে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে।

মঙ্গলবারের (০৯ আগস্ট) ওই বিস্ফোরণ ইউক্রেনীয় হামলায় ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া হামলা হওয়ার কথা কিংবা বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর দেওয়া রাত্রীকালীন ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফের ক্রিমিয়া উপকূল দখলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন এবং পুরো স্বাধীন ইউরোপের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই যুদ্ধ শুরু হয় ক্রিমিয়া দিয়ে এবং আর তা শেষ করতে হবে ক্রিমিয়া দিয়ে - এর স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে।

৯ আগস্টের একটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাকি বিমান ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট বসে আছে ৷ বিস্ফোরণের পর ১০ আগস্টের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, অন্তত সাতটি ফাইটার জেটের পুড়ে যাওয়ার চিত্র।

ক্রিমিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত এবং অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন।

২০১৪ সালে পুরো ক্রিমিয়া উপকূল ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নেয় রাশিয়া। তবে বেশির ভাগ দেশ এ দখলদারত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাদের চলাচল ও রসদ সরবরাহে ক্রিমিয়াকে অন্যতম রুট ও কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক ইউক্রেনীয় মনে করেন, ক্রিমিয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়েছে।

   

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ নভেম্বর) মারা যান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিসিঞ্জারের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে তার নিজ বাড়িতে মারা গেছেন জার্মান বংশোদ্ভূত সাবেক এ কূটনীতিক।

চলতি বছরের মে মাসেই শতবর্ষ পার করেন হেনরি কিসিঞ্জার। কিন্তু এরপরও নানা কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তিনি হোয়াইট হাউসে মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন, নেতৃত্বের শৈলীর ওপর একটি বই প্রকাশ করেছিলেন এবং উত্তর কোরিয়ার সৃষ্ট পারমাণবিক হুমকি সম্পর্কে সিনেট কমিটির সামনে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন।

আর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে আকস্মিক সফরে বেইজিংয়ে যান।

১৯৭০-এর দশকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের অধীনে সেক্রেটারি অব স্টেট তথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তৎকালীন সময়ের বহু যুগ-পরিবর্তনকারী বৈশ্বিক ইভেন্টে তার হাত ছিল।

তার প্রচেষ্টায় চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা, মার্কিন-সোভিয়েত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনা, ইসরায়েল এবং তার আরব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্প্রসারিত সম্পর্ক এবং উত্তর ভিয়েতনামের সাথে প্যারিস শান্তি চুক্তি ছিল তার সেই কূটনৈতিক দক্ষতারই প্রমাণ।

১৯৭৪ সালে নিক্সনের পদত্যাগের পর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রধান স্থপতি হিসেবে কিসিঞ্জারের রাজত্ব অনেকটা ক্ষয় হয়ে যায়। তারপরও প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের অধীনে তিনি কূটনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন এবং তার বাকি জীবনজুড়ে কূটনীতি-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে তিনি দৃঢ় মতামত প্রদান অব্যাহত রেখেছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মে হেনরি কিসিঞ্জার তার শতবর্ষ উদযাপন করেন। মার্কিন ইতিহাসে তিনিই একমাত্র কর্মকর্তা যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে উভয় দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া তাকে মার্কিন কূটনীতির পূর্বসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে তার বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ১৯৭০-এর দশকে তৎকালীন বিশ্ব বাস্তবতায় বিস্তৃত পরিসরে ওয়াশিংটনের নীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।

এদিকে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেও ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন কিসিঞ্জার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় হেনরি কিসিঞ্জার ইন্দিরা গান্ধীর ওপর নাখোশ ছিলেন। এমনকি তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। অবশ্য পরে তিনি তার মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

দুবাইয়ে কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলন শুরু আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলন কপ (কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিজ) এর ২৮তম আসর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে । এ সম্মেলন চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

৭০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এবারের কপ সম্মেলন। তবে এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা চীনের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান কেউ অংশ নিচ্ছেন না। 

মূলত বায়ুমণ্ডলে অধিক কার্বন নিঃসরণে প্রভাবশালী এই দেশগুলোকেই বেশি দায়ী করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে ৫৫ ভাগেরও বেশি ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও রাশিয়া।

এদিকে কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানির অন্যতম তেল। এর অন্যতম বড় উৎপাদক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর সেই দেশেই শুরু হয়েছে কার্বন নির্গমন কমানো নিয়ে আলোচনা।

এছাড়া কপ-২৮ এর সভাপতি করা হয়েছে আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল-জাবেরকে। তাই সম্মেলন সফল করতে তিনি সৎভাবে কাজ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সময় কার্বন নির্গমন কমাতে কোম্পানিগুলোর সহায়তা চান আল-জাবের।

জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে আগের যেকোনো সম্মেলনের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবসায়ী অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ব্রিটেনের রাজা চার্লসও সম্মেলনে অংশ নেবেন।

অপরদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত, নাকি জলবায়ুর ওপর শিল্পের প্রভাব কমাতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়া উচিত; তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন রয়েছে। সম্মেলনে সেই বিভাজন এবার আরও স্পষ্ট হতে পারে।

তাই তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সময় কার্বন নির্গমন কমাতে কোম্পানিগুলোর সহায়তা চান আল-জাবের।

২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সে জন্য এই সম্মেলনে একটি চুক্তি করতে চায় তারা। ইতোমধ্যে শতাধিক দেশ এ পরিকল্পনার পক্ষে রয়েছে বলেও বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তবে চীন-ভারত এ পরিকল্পনায় এখনো পুরোপুরি সমর্থন দেয়নি।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের যেসব দেশে খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তহবিল গঠন চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে এই সম্মেলনে। ইতোমধ্যে এর খসড়াও তৈরি হয়েছে।

১৭৬০ সালের পর ইউরোপে যখন শিল্পবিপ্লবের সূচনা তখন থেকেই প্রকৃতির বিপদের শুরু। তখন থেকেই পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণ শুরু হয়। এর ফলে দিন দিন বাতাসের উষ্ণতা বেড়েছে; হয়েছে বায়ুদূষণ।  

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অন্তত ১ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে একবিংশ শতাব্দী শেষে পৃথিবীর বুক থেকে প্রায় অর্ধশত দেশ সমুদ্রপৃষ্ঠে তলিয়ে যাবে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা, খরা, দাবানল বেশি হচ্ছে বলেও মনে করেন তারা।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

ইউক্রেনের বাখমুত উপকণ্ঠে গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইউক্রেনে লড়াইরত রাশিয়ার সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনে লড়াইরত রাশিয়ার সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া বুধবার (২৯ নভেম্বর) দাবি করেছে যে, ইউক্রেনের পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুতের উপকণ্ঠে একটি ছোট গ্রাম ক্রোমোভের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তাদের সশস্ত্র বাহিনী।

উল্লেখ্য, ২১ মাসের যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গত মে মাসে বাখমুত দখল করে মস্কোর সেনারা।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ব্রিফিংয়ে বলেছে, ‘বিমান বাহিনী এবং আর্টিলারি গোলার সাহায্যে রাশিয়ার সেনারা ফ্রন্টলাইনে তাদের অবস্থান উন্নত করেছে এবং আর্টেমভস্কয় গ্রামটিকে মুক্ত করেছে।’

এএফপি অবশ্য রাশিয়ার দাবি যাচাই করতে পারেনি।

তবে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, রাশিয়ার আক্রমণের আগে বাখমুতের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ক্রোমোভ গ্রামটি কয়েকটি রাস্তা এবং কয়েক ডজন বাড়ি নিয়ে গঠিত।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু তখন বলেছিলেন, ‘বাখমুতের দখল রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র উন্মুক্ত করবে এবং মস্কোর সেনাদের আরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সুযোগ করে দেবে।’

তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব খুব কম।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া বাহিনীর গত কয়েক মাসের নিরলস গোলাবর্ষণ ও শহুরে যুদ্ধে বাখমুত এবং এর শহরতলীর এলাকা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সেনারা বাখমুতে রাশিয়ার আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিল। ওই অভিযানে তার ২০ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছিল।

এই অঞ্চলের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া গত বছর পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের আরও তিনটি অঞ্চলের সঙ্গে ডোনেটস্ককে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয়।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন নওয়াজ শরিফ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিএমএল-এন নেতাদের সঙ্গে নেওয়াজ শরীফ। ছবি : সংগৃহীত

পিএমএল-এন নেতাদের সঙ্গে নেওয়াজ শরীফ। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে বড় স্বস্তি পেলেন নওয়াজ শরীফ। কারণ, অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলায় বুধবার (২৯ নভেম্বর) তাকে খালাস দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি শীর্ষ আদালত।

দেশটির প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক এবং বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) বেঞ্চ অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলায় তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে নেওয়াজের দায়ের করা আপিলের শুনানির পর ওই রায় ঘোষণা করেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এই মামলায় নেওয়াজ শরীফকে ২০১৮ সালে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

একই বছর ৭৩ বছর বয়সি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলার বিচারে আদালত কর্তৃক খালাস পেয়েছিলেন।

কিন্তু, দুর্নীতিবিরোধী নজরদারি সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ওই রায় চ্যালেঞ্জ করেছিল।

অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতির মামলাটি লন্ডনে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের সঙ্গে সম্পত্তি থাকার বিষয়ে ছিল এবং তিনি ওই মামলায় জামিনে ছিলেন, যখন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানি চলছিল।

যুক্তি শোনার পর বুধবার (২৯ ) শরীফকে অ্যাভেনফিল্ড মামলায় খালাস দেন আইএইচসি।

শুনানির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নেওয়াজ শরীফ বলেন, ‘আমি আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, আমি পুরো বিষয়টি তার উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। আল্লাহ আজ আমাদের বিজয়ী করেছেন।’

নেওয়াজ শরীফ একমাত্র পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি রেকর্ড তিনবার অভ্যুত্থান-প্রবণ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনে তার দলের নেতৃত্ব দিতে প্রায় চার বছর পর গত মাসে দেশে ফিরে আসেন।

এক্স-এর একটি পোস্টে তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, ‘আজকের রায়টি দেখিয়েছে কীভাবে আল্লাহ অটল আস্থার পুরস্কার দেন। অবশেষে, সত্য বিজয়ী হয়েছে।’

পিএমএল-এন এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, ‘সত্য বেশিদিন লুকিয়ে রাখা যায় না। নওয়াজ শরিফ জয়ী!!’

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;