শস্য চুক্তির একদিন পরই ইউক্রেনের বন্দরে বিস্ফোরণ

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শস্য রফতানির জন্য কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষরের একদিন পরই ইউক্রেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটেছে।

শনিবার (২৩ জুলাই) ভোরে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ওডেসা বন্দরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে।

বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শুক্রবারের চুক্তির শর্ত অনুসারে, শস্যের চালান ট্রানজিট চলাকালীন রাশিয়া বন্দরগুলোতে কোনও ধরনের হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছিল।

কয়েক মাস ধরে চলা সংঘাতের পর জাতিসংঘ এই চুক্তিকে আশার আলো বলে বর্ণনা করেছে।

স্থানীয় এমপি ওলেক্সি হোনচারেঙ্কো টেলিগ্রামে লিখেছেন, শহরে ছয়টি বিস্ফোরণ হয়েছে এবং বন্দরে আগুন লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ফেলেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনারা কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো অবরোধ করে রেখেছে। ফলে, লাখ লাখ টন শস্য ও অনেক জাহাজকে আটকা পড়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা আরও কঠিন হয়ে ওঠে এবং রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দাম মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়েছে। তবে, মস্কো বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকটের দায় অস্বীকার করেছে। তারা নিজস্ব খাদ্য ও সার রফতানি কমে যাওয়ার জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছে।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার স্বাক্ষরিত একটি পৃথক চুক্তি রাশিয়ার রফতানির পথকে সহজ করবে।

   

‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে সফলতা পেতে ড্রোনের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ’



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘সংখ্যার দিক থেকে ব্যাপক রাশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে সফলতা পেতে জন্য মনুষ্যবিহীন আকাশযান বা ড্রোন সফলতা লাভের চাবিকাঠি।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সোমবার (১৮ মার্চ) ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চিফ অলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়ার অবস্থানের উপর হামলার ক্ষেত্রে আমার কাছে অগ্রাধিকার হলো ড্রোনের ব্যবহার।’

তিনি টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জানিয়েছেন, ‘আমরা সংখ্যার দিক থেকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সফলতা অর্জনের সমাধান খুঁজছি।’

রয়টার্স জানিয়েছে, উভয় পক্ষ এখন ড্রোনের ব্যবহারে মাধ্যমে একে অপরের সামরিক, শক্তি এবং পরিবহন অবকাঠামোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং ৭০বার বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

তিনি আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালিয়ে রাশিয়ার সেনাদের অবস্থান এবং সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়াও পুরো ফ্রন্টলাইনে শত্রুকে ক্লান্ত করে দিয়েছে কিয়েভের বাহিনী।’

জেনারেল স্টাফের মতে, ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান শত্রুর সেনাশক্তি, অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপক সমাবেশ রয়েছে এমন নয়টি এলাকায় হামলা চালিয়েছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

বিদ্রোহ দমনে হংকংয়ে কঠোর আইন পাস, সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্রোহ দমনে কঠোর করা হলো হংকংয়ের নিরাপত্তা আইন। হংকংয়ের পার্লামেন্টে পাস হওয়া এই আইনে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

কর্তৃপক্ষ মনে করছে, দেশটিতে স্থিতিশীলতার জন্য এটি অতি প্রয়োজনীয়। তবে সমালোচকদের আশঙ্কা, এই আইন নাগরিক স্বাধীনতাকে আরও ক্ষুণ্ন করবে।

দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে হংকংয়ের পার্লামেন্ট এই আইন পাস করলো। অনুচ্ছেদ ২৩- কে একটি বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএল) হিসেবে দেখা হয়, যা এর আগে চীন দ্বারা আরোপিত হয়েছে। এই আইনে হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতা, বিদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ এবং বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

হংকংয়ের নেতা জন লি বলেছেন, এই আইন সম্ভাব্য ‘নাশকতা’ ও ‘স্বাধীন হংকংয়ের ধারণাগুলো’ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয়।

চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েক্সিয়াং বলেছেন, নতুন আইনের দ্রুত প্রণয়ন হংকংয়ের ‘মূল জাতীয় স্বার্থ’ রক্ষা করবে এবং হংকংকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে।

২০২০ সালে এ রকম একটি আইন পাস হওয়ার পর থেকে এনএসএল-এর অধীনে অনেক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা সমালোচকদের মতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চীনের পরিচালক সারাহ ব্রুকস বলেছেন, নতুন আইন শহরে মানবাধিকারের ওপর আরেকটি বিপর্যয়কর ধাক্কা দিয়েছে। অন্যদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভারপ্রাপ্ত চীনা পরিচালক মায়া ওয়াং বলেছেন, এটি হংকংকে কর্তৃত্ববাদের একটি নতুন যুগে সূচনা করবে।

এদিকে হংকংয়ের নাগরিকরা অনুচ্ছেদ ২৩ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে আইনে বিস্তৃত এবং অস্পষ্ট সংজ্ঞার ব্যবহার নিয়ে। বেসামরিক কর্মচারী জর্জ বিবিসিকে বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার সংজ্ঞা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। আমি খুব ভয় পাচ্ছি যে আমরা সহজেই (অপরাধের জন্য) অভিযুক্ত হতে পারি।

জর্জ আরও বলেন, আগের আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে তার সহকর্মীদের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বিদেশে চলে গেছেন।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আসিফা ভুট্টো



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কনিষ্ঠ কন্যা আসিফা ভুট্টো তার বাবার শূন্য সিন্ধু প্রদেশের একটি জাতীয় পরিষদের আসনে উপনির্বাচনের জন্য তার প্রার্থীতা দাখিল করেছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে সংসদীয় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে আসিফার।

উল্লেখ্য, ৩১ বছর বয়সি আসিফা কিছু সময়ের জন্য রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও তার বাবা আসিফ আলি জারদারি উপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষায় এতোদিন তাকে সংসদীয় রাজনীতি থেকে দূরে রেখেছিলেন।

জিও টিভি জানিয়েছে , সিন্ধু প্রদেশের শহীদ বেনজিরাবাদ জেলার এনএ-২০৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে রবিবার (১৭ মার্চ) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আসিফা।

প্রসঙ্গত, আসিফ আলি জারদারি আসনটিতে জয়লাভ করলেও পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে অভিষেক হওয়ার পর আসনি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

আসিফার চেহারার সঙ্গে তার মা বেনজিরের চেহারার সাদৃশ্য রয়েছে, যিনি ২০০৭ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে বোমা হামলা ও আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন।

আসিফা তখন কিশোরী ছিলেন এবং তার দুই বড় ভাই-বোন বখতাওয়ার এবং বিলাওয়ালের তুলনায় বেশি মানসিকভাবে ভুগছিল।

আসিফার বড় ভাই পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল এখন পিপিপির চেয়ারপারসন।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

জাতিসংঘ সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সোমবার (১৮ মার্চ) বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় তার প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল।

এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আসন্ন দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

লাজারিনির অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল বলেছে, ‘গাজায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি।’

প্রসঙ্গত, লাজারিনি গত মাসে বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল ইউএনআরডব্লিউএ ধ্বংস করতে চায়।’

মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আজ রাফাহতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল এবং আমার প্রবেশের কথা জানানোও হয়েছিল। কিন্তু, ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তেল আবিব গত জানুয়ারিতে বলেছিল, ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রায় ১৩ হাজার গাজান কর্মচারী ইসরায়েলে হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে জড়িত।

লাজারিনি এক্স-এ লিখেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাকে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি।

ফিলিস্তিনের দখলিকৃত ভূখন্ডে বেসামরিক বিষয়গুলো পরিচালনাকারী ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা সিওজিএটি এক্স-এ বলেছে, ‘লাজারিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, ‘লাজারিনি এবং ইউএনআরডব্লিউএ-তে তার সহকর্মীরাসহ জাতিসংঘের সকল কর্মকর্তাদের গাজাজুড়ে অত্যাবশ্যক মানবিক কাজ করার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।’

ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুতেরেস অবশ্যই চান যে, লাজারিনি গাজার সমস্ত অঞ্চলজুড়ে ইউএনআরডব্লিউএ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পান।’

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;