ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহায়তার জন্য আরও ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (২৩ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক সহায়তা প্যাকেজে ইউক্রেনকে আরও মাঝারি-পাল্লার রকেট সিস্টেম এবং কৌশলগত ড্রোন দেওয়া হবে। নতুন প্যাকেজটিতে চারটি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমও দেওয়া হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন যুদ্ধ জয় করতে আমরা ইউক্রেন সরকার এবং তার জনগণকে যতদিন সময় লাগবে ততদিন সমর্থন অব্যাহত রাখব।
গাজা উপত্যকায় দুটি ধাপে মোট ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে পোলিও ডোজ খাওয়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পোলিও ডোজ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে। ১০ বছরের নিচে শিশুদের পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাল্ফ টুডে এ খবর জানায়। খবরে বলা হয়, ৮ দিনে গাজা উপত্যকায় ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভবপর হয়েছে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ধন্যবাদ জানিয়েছে।
ইউএই মোট ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
গাল্ফ টুডে জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশনায় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ এবং ইউএনআরডব্লিএ-র উদ্যোগে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো সম্ভব করা হয়েছে।
গাজায় ১শ ৫০টা সেন্টারে দুই হাজার ১শ স্বেচ্ছাসেবী, মেডিকেল টিমের সদস্যরা পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানোর অভিযানে অংশ নেন।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএএইচও) আহ্বানে ১ সেপ্টেম্বর- ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ দিন মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করে ইসরায়েল।
এই মানবিক যুদ্ধবিরতিতে মোট ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে ১৩ লাখ পোলিও ডোজ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮৭ হাজার শিশুকে ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয় এবং দ্বিতীয় ধাপসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৬০ শিশুকে ভ্যাকসিন খাওয়ানো সম্ভব হয়েছে।
টাইফুন ইয়াগির আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ভিয়েতনাম। এছাড়াও, টাইফুনের প্রভাবে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৫৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগির কারণে ভারী বৃষ্টি ও সৃষ্ট ভূমিধসে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৫৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হোয়াং লিয়েন সন পাহাড়ে ভূমিধসে নবজাতক ও এক বছরের শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে পাহাড়ি কাও ব্যাং প্রদেশে ভূমিধসে ও বন্যার পানিতে একটি যাত্রীবাহী বাস প্লাবিত স্রোতে ভেসে যায়। বাসটিতে ২০ জন যাত্রী ছিল বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেনি দেশটির স্থানীয় এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, নদী থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ চলমান রয়েছে, কিন্তু ভূমিধসের কারণে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথ বন্ধ রয়েছে।
ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, টাইফুন ইয়াগির কারণে দেশের বেশ কয়েকটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং টেলিযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ২০৮ মিমি থেকে ৪৩৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবারও বন্যা ও ভূমিধস অব্যাহত থাকতে পারে। তাই পাহাড়ি ও নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে।
চলতি বছর এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় মনে করা হয় টাইফুন ইয়াগিকে। এটি শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ে। রোববার এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হতে থাকে। তবে বন্দর শহর হাই ফং-এর বেশ কয়েকটি এলাকায় আধা মিটার (১.৬ ফুট) পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ অঞ্চলে বিদ্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ভিয়েতনাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হা লং বে-তে টাইফুন ইয়াগির ফলে সৃষ্ট শক্তিশালী ঝড়ে বাতাস এবং ঢেউয়ের আঘাতে ৩০টি জাহাজ ডুবে গেছে।
টাইফুনটির প্রভাবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার ৩শ’ ঘরবাড়ি এবং এক লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর জমির (২ লাখ ৯৬ হাজার ৫শ’ একর) ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, টাইফুন ইয়াগি ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে আগে দক্ষিণ চীন এবং ফিলিপাইনে আঘাত হানে। সেখানে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল।
সিরিয়ায়ার হামা প্রদেশের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে এই নিহতের সংখ্যা ৫ এবং আহত ১৯ জন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েল সিরিয়ার বার্তাসংস্থা সানা’র বরাত দিয়ে এ খবর জানায়।
সানা এক মেডিকেল সূত্রে জানায়, ইসরায়েলের ‘আগ্রাসনে’ মাসিয়াফের ভিসিনিটিতে ১৪ জন শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪৩ জন।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সিরিয়ার মাসিয়াফের সেনাঘাটি লক্ষ করে হামলা করেছে। এতে ১৪ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন।