ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নে সম্মত ন্যাটো

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা প্যাকেজে সম্মত হয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ন্যাটো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি শক্তিশালী স্বাধীন ইউক্রেন ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে কাজ করবে ন্যাটো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেই লক্ষ্যে ন্যাটো ইউক্রেনের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষায় দেশটির সরকার ও জনগণের সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে।

ইতিপূর্বে ন্যাটো ইউক্রেনের কৌশলগত অংশীদার থাকলেও মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য রাশিয়া সরাসরি হুমকি হওয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো যদি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে কোনও সেনা মোতায়েন করে তাহলে তার জবাব দেবে রাশিয়া। দেশ দুইটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার পর এই হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ লক্ষ্য এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি জানান এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন করা এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতের শর্ত তৈরি করা।

পুতিন আরও জানান, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী আগাচ্ছে। তিনি বলেন, এই অভিযান কবে শেষ হবে তার কোনও দিনক্ষণ ঠিক করার কোনও প্রয়োজন নেই।

   

নাভালনির মৃত্যু, ৩০ রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা এবং ক্রেমলিনের কঠোর সমালোচক আলেক্সি নাভালনির মৃত্যু প্রশ্নে সোমবার (১৭ মার্চ) দেশটির ৩০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। ব্লকটির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল রয়টার্সকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

বোরেল ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকের পর বলেন, ‘আমরা আলেক্সি নাভালনি হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত হয়েছি।’

উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিশিষ্ট বিরোধী নেতা নাভালনি গত ফেব্রুয়ারিতে আর্কটিক কারাগারে মারা যান। সেখানে তাকে চরম অবহেলায় বন্দি রাখা হয়েছিল।

ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাভালনির চিকিৎসার জন্য দায়ী কারা কর্মকর্তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং তাদের সম্পদ জব্দ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পথ অনুসরণ করবে।’

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আওতায় যারা আছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশটির নেতা ভ্লাদিমির পুতিন নতুন করে ছয় বছর মেয়াদে ক্ষমতায় আসার দাবি করার পর নাভালনির মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই চুক্তি করলো ইইউ। পশ্চিমাবিশ্ব রাশিয়ার এমন পাতানো নির্বাচনের কঠোর সমালোচনা করেছে।

বোরেল বলেন, ‘আমরা দেখেছি এটি একটি প্রহসনের নির্বাচন ছিল। এই নির্বাচনের মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা ছিল না।’

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

পুতিনকে অভিনন্দন জানালেন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (১৮ মার্চ) এক্স-এ মোদি লিখেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছা জানাই।’

মোদি আরও লিখেছেন, ‘আগামী বছরগুলোতে ভারত-রাশিয়া মৈত্রী এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।’

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ষষ্ঠবারের মতো ক্ষমতায় বসতে চলেছেন পুতিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলাই খারিতনভ পেয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট।

বিশ্লেষকদের মতে, গত আড়াই দশকে কার্যত বিরোধীহীন হয়ে পড়েছে রুশ রাজনীতি। আর তারই সুযোগে পুতিন হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য।

ক্রেমলিনের আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, আগের চারটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় এবার পুতিনের ভোটবৃদ্ধি নিশ্চিত। এর আগে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ভোটে পুতিন সাড়ে ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।

সেই নির্বাচনে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও সেই জোর করে ব্যালট বাক্স জাল ভোট ভর্তি করা, জালিয়াতি এবং ভোটে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছিল পুতিন-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এবারও নানা অভিযোগ উঠেছে।

২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় পুতিন কথা দিয়েছিলেন যে, ২০২৪ সালের পরে আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন না তিনি। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত বদলেছেন তিনি।

গত ২৩ বছর ধরে রাশিয়ায় কর্তা হয়ে আছেন পুতিন। ২০০০ সালের মে মাস থেকে ২০০৮ সালের মে পর্যন্ত দুটি নির্বাচনে জিতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি। তৎকালীন রুশ আইন অনুযায়ী দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না। তাই অনুগত দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন পুতিন।

এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায় (তৃতীয় নির্বাচন জিতে) ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। পুনর্নির্বাচিত হন ২০১৮ সালে। টানা দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্যই ২০২১ সালেই আইন পরিবর্তন করেছিলেন সোভিয়েত জমানায় গুপ্তচর সংস্থা কেজিবির সাবেক প্রধান পুতিন।

পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ২০৩০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। অর্থাৎ, তার সামনে এখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই নেতার রেকর্ড ভাঙা সময়ের অপেক্ষা। এর আগে কমিউনিস্ট জমানায়, টানা ২৪ বছর ক্রেমলিনে ক্ষমতায় ছিলেন জোসেফ স্ট্যালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

হাইতিতে গ্যাং সহিংসতায় নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের একটি এলাকায় গ্যাং সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে মরদেহগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতির পোর্ট-অব-প্রিন্সের উপকণ্ঠে পেশন-ভিলে সশস্ত্র গ্যাংদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১০ জন মারা গেছে। এ সময় সূর্যোদয়ের আগে বন্দুকধারীরা লাবোল এবং থমাসিনের পাহাড়ী সম্প্রদায়ের বাড়িঘর লুট করে।

হাইতিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সম্পর্ক নেই।

এদিকে রয়টার্স এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিগুলো জানায়, গুলিবিদ্ধ নিহতদের মরদেহ শহরতলির প্রধান রাস্তা থেকে এবং একটি জ্বালানী স্টেশনের বাইরে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অনেক দিন থেকেই হাইতিতে রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট চলছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংগুলোও বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। এমন অস্থিরতা বিরাজমান পরিস্থিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিও গত সপ্তাহে দ্বীপ দেশ থেকে পুয়ের্তো রিকোতে পালিয়ে যাওয়ার পরে পদত্যাগ করেছেন।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) অনুসারে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারী থেকে পোর্ট-অব-প্রিন্সের মেট্রোপলিটন এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকাকে সশস্ত্র আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। যার ফলে দেশটির প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

অনাহারে মৃত্যুঝুঁকিতে ৩ লাখ গাজাবাসী: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে উত্তর গাজার ৩ লাখ মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। 

বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আইপিসি

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিসি বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশের ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়ের খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে। কোনো অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষ এই মাত্রায় খাদ্যসংকটে থাকলে তাকে দুর্ভিক্ষ বলে বিবেচনা করা হয়। আর গাজার উত্তরাঞ্চলে সেই অবস্থার ৩ গুণেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছেন।

গাজায় ১১ লাখ মানুষ খাদ্যের ‘বিপর্যয়কর’ ঘাটতিতে রয়েছে এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে মৃত্যুর হারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই আইপিসির কাছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন উত্তরাঅঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ করা না হলে সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু আসন্ন। 

আইপিসি সংস্থাটির অনুমান, দুর্ভিক্ষের কারণে যে হারে মানুষ মরতে শুরু করে, গাজায়ও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি আর বিভিন্ন রোগে সাধারণত প্রতি ১০ হাজার জনে ২ জন মারা যায়।

দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন তার মধ্যে গাজার সমগ্র জনসংখ্যার জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশের পাশাপাশি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরু এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজ বলে মনে করছে আইপিসি।

 

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;