৫০০-৬০০ রুশ সেনা আত্মসমর্পণ করেছে: জেলেনস্কি

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চলমান যুদ্ধ নিয়ে কিয়েভে শনিবার (১২ মার্চ) সাংবাদিকদের তথ্য দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় তিনি দাবি করেছেন, শুক্রবার আনুমানিক ৫০০-৬০০ রুশ সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

তবে বিবিসির পক্ষ থেকে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এখন পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ৩০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। সাংবাদিকদের জেলেনস্কি আরও বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের ১৭ দিনে প্রায় এক হাজার ৩০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে পশ্চিমা সূত্রগুলো শুক্রবার দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার আনুমানিক ছয় হাজার সেনা নিহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে তার এসব দাবি নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করা সম্ভব নয়। ওদিকে অবরুদ্ধ বিভিন্ন শহর থেকে আটকে পড়া লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, রুশ সৈন্যরা মারিউপোল শহরের পূর্ব দিকের দখল নিতে সক্ষম হয়েছে। দক্ষিণপূর্বের এই শহরটি রাশিয়ার অন্যতম বড় একটি টার্গেট এবং শহরের বাসিন্দারা গত কয়েকদিনর ধরে তীব্র বোমা হামলার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। শহরে বিদ্যুৎ নেই। খাবার ও পানির সরবরাহ শেষ হয়ে আসছে।

স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, রুশ রকেট লঞ্চারগুলো এখন কিয়েভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে তাক করা। ভারী গোলাবর্ষণের শব্দও শোনা যাচ্ছে।

ইউক্রেনের একজন এমপি বিবিসিকে বলেছেন, রুশ আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কিয়েভের মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং রুশরা শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।

কিয়েভের দক্ষিণে ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমান ক্ষেত্রের ওপর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ভাসিলকিভ শহরের মেয়র জানিয়েছেন, এই হামলায় রানওয়ে এবং তেলের ডিপো ধ্বংস হয়ে গেছে, একই সঙ্গে পাশে অস্ত্র এবং গোলাবারুদের গুদামেও বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ইউক্রেনের আরেকটি উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ এখনো অবরুদ্ধ, সেখানে তীব্র গোলাবর্ষণ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরে কোন পানির সরবরাহ নেই, একটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।

ইউক্রেনের সরকার বলছে, আজ কয়েকটি মানবিক ত্রাণ করিডোর খোলা যাবে বলে তারা আশা করছে, যাতে বিভিন্ন শহরের রুশ বোমা হামলার মুখে থাকা লোকজন যে পালাতে পারে। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক জানিয়েছেন, এসব শহর থেকে মানুষকে উদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করবে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি মেনে চলে কীনা, তার ওপর।