শহর বহিরাগত দিয়ে ভরে গেছে: তৈমূর

  নাসিক নির্বাচন
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘সিটির বিভিন্ন এলাকা, বিভিন্ন এমপিদের ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ৩নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রূপগঞ্জের মন্ত্রীকে। তারা সেখানে প্রভাব বিস্তার করবেন। এভাবে শহরে বহিরাগত দিয়ে ভরে গেছে। ভোটের দিন তাদের কোনো কাজ নেই। তারা যেন ভোটের দিন চলাফেরা করতে না পারেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১০টায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা আমার বাড়িতে হাজির হয়েছেন। তারা হয়রানির বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এখানে এসেছেন। প্রথম থেকে আমরা আশা করেছিলাম, নির্বাচনটা কোনো রকমের হস্তক্ষেপ ছাড়া জনগণের রায় আমাদের শিরোধার্য হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমেই আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একটা মেয়ে আছে, যার বাবা আমাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সে মেয়েটার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বপন নামের একটা ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। মহানগর যুবদলের নেতা জোসেফের বাড়িতে পুলিশি আক্রমণ করা হয়েছে। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি, অনেকের বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

মেয়রপ্রার্থী তৈমূর বলেন, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল যেদিন নারায়ণগঞ্জে এসেছিলাম, সেদিন তাকে বলেছিলাম আমি যখন ভোট চাই, তখন তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমরা ভোট দিতে পারবো কি না, আর আপনি বসে যাবেন কি না? আমার বসে যাওয়ার এখন কোনো কারণ নেই। আমি দলের প্রার্থী না এখন। আমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী, আমার জবাবদিহিতা জনগণের কাছে। নির্বাচন কমিশনার বলেছিল আপনারা নিশ্চিন্তে থাকেন, ভোট সুষ্ঠু হবে।

তিনি আরও বলেন, বন্দরে আমার শোডাউনে কোনো বহিরাগত লোক ছিলেন না। তারা সবাই সিটির ভোটার। নদীর পশ্চিম পাড়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি যে পথসভা করেছেন, সেখানে সম্মানিত মেহমানরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা এখন কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছি।

তৈমূর বলেন, প্রতিটি স্কুলে ডিজিটাল সিস্টেম আছে। প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, সিসি ক্যামেরাগুলো তুলে নেয়ার জন্য। এটার কী মানে দাঁড়ায়? এটা আপনারা বিবেচনা করবেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন। পুলিশি নির্যাতন চালানোর জন্য তারা এই সিসি ক্যামেরা তুলে ফেলার চেষ্টা করছেন। আপনারা যাচাই করে দেখবেন। সকলের কাছে আমার অনুরোধ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা এই সিসি ক্যামেরাগুলো রাখার ব্যবস্থা করবেন।

তিনি বলেন, অপারেটররা যেন আমাদের এজেন্টদের ছাড়া মেশিন মেরামত না করতে পারে। এটা যেন এজেন্টদের স্থানে করা হয়। এটা আমার অনুরোধ থাকবে। এজেন্টদের যেন বের করে দেয়া না হয়।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমাদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। বিগত ১৫ বছর ধরে মামলায় জর্জরিত হয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এ অবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একটি মেয়র পদের জন্য আপনার পদ আসবেও না, যাবেও না। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে হলে এর সুনাম আপনি বহন করবেন। তা না হলে এর দায় দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে এবং আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।