দৃশ্যমান কোন কারচুপি না হলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
ভোটের ফল মেনে নেবেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান কোনও কারচুপি না হয়ে থাকলে জনগণের যে কোনও রায় মেনে নেব।
তিনি বলেন, গোলযোগ ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিতর্কিত কিছু হয়েছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। কারণ ইভিএমের বিষয়ে আমাদের শঙ্কা আছে।
‘ঐক্য ও অগ্রগতির ২৭ বছর’ ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘ঐক্য ও অগ্রগতির ২৭ বছর’ ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
জাতীয়
‘ঐক্য ও অগ্রগতির ২৭ বছর’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে পালিত হয়েছে রাজধানীতে কর্মরত পেশাদার রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি। সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় এ সময় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ বছর ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া। সরকারের সমন্বিত তালিকা অনুযায়ী ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিআরইউ সদস্যের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উত্তরীয় তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি।
নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সাংবাদিকরা দেশে-বিদেশে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জাতি এ বীরদের আজীবন স্মরণ করবে। যারা কলম সৈনিক, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা চরমপত্র লিখেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। কারণ মুক্তিযোদ্ধা শুধু একদিক থেকে নয়, সার্বিক দিক থেকে সবকিছু মিলিয়েই মুক্তিযোদ্ধা।
সংবর্ধনা পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে এবং স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে-বিদেশে যে সাংবাদিকতা হয়েছিল সে সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, দালিলিকভাবে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যারা জীবিত আছেন তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব প্রবাহিত হবে বলেও এ সময় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে অনেকেই সামনের সারিতে থেকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখে ছিলেন। তাদের সম্মান করতে পেরে আমরা গর্বিত।
২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিআরইউ’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজনে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাবেদ, মাহমুদুল হাসান, সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ এবং মো: তানভীর আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, এম শফিকুল করিম, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ ও মুরসালিন নোমানী এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজু আহমেদ, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও কবির আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঘোড়ার গাড়ি ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি ডিআরইউ চত্বর থেকে বের হয়ে বারডেম হাসপাতাল (মহিলা ও শিশু) ও শিল্পকলা একডেমি মোড় ঘুরে ডিআরইউ চত্বরে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে কেক কাটা হয়। এছাড়া ডিআরইউ সদস্য ও পরিবারের জন্য দিনব্যাপী বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প ও সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রংপুরে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: লাখো তরুণের কর্মসংস্থান হবে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে মেধা নির্ভর অর্থনীতিতে যাওয়ার জন্য হাইটেক পার্ক হবে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকাশক্তি। লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থানের ঠিকানা হবে এ হাইটেক পার্ক। রংপুর বিভাগের তরুণদের আর ঢাকা কিংবা বিদেশমুখী হতে হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে রংপুর নগরীর খলিশাকুড়ি বিল এলাকায় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার কারণে করোনার ধাক্কা সামলেও দেশকে এগিয়ে নিতে পেরেছেন । প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আমরা এখন ডিজিটাল এবং উন্নত। ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া আমাদের অন্যতম ভিশন।
এর আগে সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্ক নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিষয়ক তথ্যচিত্র ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের তথ্য চিত্র এবং প্রকল্পের উদ্যোগে হাইটেক পার্ক রংপুরের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএএম ফজলুল হক, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল প্রমুখ।
ভারতীয় অর্থায়নে রংপুরসহ বাংলাদেশের ১২টি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এবার রংপুরে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। কথা ছিল ২০১৮ সালে রংপুরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ শুরু হবে। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরুর আগেই ২০২০ সালের জুনে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নগরীর খলিশাকুড়ি এলাকায় বহুল প্রতীক্ষিত হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়ায় আনন্দিত রংপুরবাসী। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্কটি দশ একর জায়গার ওপর ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
রংপুরের তারাগঞ্জে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক (২৫) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে এ রায় দেন রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি সকালে এলাকার ছেলেমেয়েদের আরবি পড়াতেন। ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে ১০ বছর বয়সী ওই শিশু আরবি পড়তে যায়। সকাল ৮টার দিকে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের ছুটি দিলেও ওই শিশুকে পরে যেতে বলেন ইমাম আতিক। এরপর শিশুটিকে মসজিদ সংলগ্ন তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পরে বাড়িতে যাওয়ার পর শিশুটির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং এলাকাবাসী ধর্ষক আতিকুলকে আটক করে। পরে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, মামলায় সাক্ষীদের জেরা ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ বিচারক আসামি আতিকুল ইসলামকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
বাংলাদেশে খাদ্য সংরক্ষণ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী সার্বিয়া
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
বাংলাদেশে খাদ্যশস্যের সংরক্ষণ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী সার্বিয়া। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলা সেলাকোভিক।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সৌজন্য সাক্ষাতে সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, খাদ্য সংরক্ষণে তার দেশের কোম্পানিগুলো বিশ্বের অন্যতম সেরা । সার্বিয়ান অনেক প্রতিষ্ঠান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। বাংলাদেশেও এই খাতে সার্বিয়ার বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।
সার্বিয়ার সাথে ইউরোপ, ইউরেশিয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন ও তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। তাই সার্বিয়া ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে ওই দেশগুলোতে শুন্য শুল্কের পণ্য রফতানির সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে সরকারি পর্যায়ে দ্বৈত কর পরিহার ও বিনিয়োগ সুরক্ষা সংক্রান্ত দুটি চুক্তি করা, বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ ও কৃষিখাতে দক্ষ ও আধা দক্ষ জনবল নেওয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
একই সাথে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সার্বিয়া থেকে কৃষি প্রকৌশলী বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু জানান, বাংলাদেশে মোড়কীকরণ, পরিবহন ও সংরক্ষণের অভাবে বছরে ৩০ শতাংশ কৃষিপণ্য নষ্ট হয়। দেশে শুধুমাত্র আলু সংরক্ষণের জন্যই হিমাগার রয়েছে। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে এমন কোন সুবিধা নেই। তাই দেশে খাদ্য সংরক্ষণ খাতে সার্বিয়ার বিনিয়োগ করলে প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগও পাবে বাংলাদেশ।
বৈঠকে সার্বিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এফবিসিসিআই’র মধ্যে শিগগিরই সমঝোতা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারেও সম্মত হয় দুই পক্ষ। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজ আমদানি, সার্বিয়ার গমের চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ এবং ঢাকায় সার্বিয়ার দূতাবাস স্থাপনের ব্যাপারে আলোচনা হয় বৈঠকে।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন সার্বিয়ার অ্যাসিসট্যান্ট মিনিস্টার ফর বাইল্যাটেরাল রিলেশন্স ভ্লাদিমির ম্যারিক, পররাষ্টমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইভান জ্যাকসিক, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি হাবীব উল্ল্যাহ ডন, পরিচালক আমজাদ হোসাইন, শমী কায়সার, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, আবুল কাশেম খান ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।