নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই: ডিসি

  নাসিক নির্বাচন
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা ১৯২টি ভোট কেন্দ্রকেই গুরুত্বসহকারে দেখছি। আমরা যেহেতু চারটি বাহিনী নিয়ে নিরাপত্তা বলয়ের সৃষ্টি করেছি। প্রত্যেক মানুষই নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবে।

ডিসি বলেন, পুলিশের প্রায় ৭৬টি টিম রয়েছে, র‌্যাবের ৬৫টি, ১৪ প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে সবসময়। ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছে। আগামীকাল আরও কিছু যুক্ত হবে। আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন হয়।

বিজ্ঞাপন

করোনার বিধিনিষেধ নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার ও সরকারি পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে করোনার বিধিনিষেধ মেনেই ভোট দিতে হবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার এবং অন্যান্য যে সুরক্ষা সামগ্রী আছে তা প্রত্যেকটি কেন্দ্রে থাকবে। প্রার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন তারাও যেন ভোটারদের সচেতন করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯২টি কেন্দ্রে কিন্তু সিসি ক্যামেরা নাই। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আছে কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই নাই। সরকারের পক্ষ থেকে বা নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার কোনও নির্দেশনা নাই। আমরা খুলিও নাই। যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা আছে সেগুলো অব্যাহত আছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিত, ফোনে বা অন্য কোনো মাধ্যমে অভিযোগ পাইনি। আমরা নির্বাচনের রুটিন ওয়ার্ক করছি। দাগি আসামিদের বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এসময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার চলে গেছে। একেকটি কেন্দ্রে ৫-৬ জন পুলিশের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আনসার কাজ করবেন। এছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র‌্যাব) ও বিজিবি কাজ করবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি আর্মড পুলিশের মোবাইল কোট, র‌্যাবের মোবাইল কোট, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও এক প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চলবে এই নির্বাচন। প্রতিটি মহল্লায় নিরাপত্তার বলয়ে আনব। কোথাও যেন কোন সমস্যা না হয় সেদিকে সজাগ থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, র‌্যাব-১১ সিইও তানভীর পাশা, বিজিবি’ সিইও আল-আমিন প্রমুখ।