ভোট দিলেন তৈমুর

  নাসিক নির্বাচন
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট দিলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সোয়া আটটার দিকে ইসলামিয়া কামিল (এমএ) মাদরাসার ৭ নং বুথে ভোট দেন তিনি। এটি ৯৫ নং কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ৩ হাজার ২৮৭টি।

বিজ্ঞাপন

তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে এসে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদসহ বিএনপির একাধিক পথ হারান তিনি।

নাসিক নির্বাচনে সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মোট ২৭টি ওয়ার্ডে ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছে ৪ জন।

বিজ্ঞাপন

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে। মোট দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।

নির্বাচনকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে ১৯২টি কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।