‘নতুন মেশিনে ভোট দিলাম, অসুবিধা হয় নাই’

  নাসিক নির্বাচন
  • আকরাম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা/ছবি: মেহেদী হাসান রানা

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা/ছবি: মেহেদী হাসান রানা

নারায়ণগঞ্জ থেকে: উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের। শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায়।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

আর্দশ স্কুল কেন্দ্র, দেওবোগ শিশুভাগ স্কুল কেন্দ্র, ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে ভোটাদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যায়৷ সকালের ভোটারে উপস্থিত কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিত বাড়তে থাকে। সকালের দিকে নারী ভোটারের উপস্থিত বেশি লক্ষ্য করা যায়।


ভোট কেন্দ্রের বাইরে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিত রয়েছে। দায়িত্ব ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরছেন।

বিজ্ঞাপন

ভোট নিয়ে কোনো ধরণের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ভোটাররা৷ সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলবে বলে আশা করছেন। ভোট দিয়ে বাসায় যাচ্ছেন আশিউদ্ধ আমিন শেখ।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ভোট দিয়েছি। কোনো ধরনের সমস্যা হয় নাই। পরিবেশ সুন্দর। এবার নতুন মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিলাম। আগে কখন মেশিনে দেই নাই। ভোট দিতে কোনো অসুবিধা হয়নি।


আর্দশ স্কুল কেন্দ্রের বাইরে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন মো. বাতেন। তিনি বলেন, আমি ভোট দিয়েছি। আমার স্ত্রীর ভোট দেয়ার জন্য ভিতরে গেছে। তার ভোট দেয়া হলে দুজনে বাড়ি যাব।

মোট ২৭টি ওয়ার্ডে ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষ ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন।

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে। মোট দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।


 

নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াত আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার

২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।

নির্বাচনকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে ১৯২টি কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।