ইভিএমে ত্রুটি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা
নাসিক নির্বাচননারায়ণগঞ্জ থেকে: সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাড়ি চলে যাবেন ফাতেমা আক্তার। এমন প্রত্যাশা নিয়ে সকাল আটটার দিকে ভোট কেন্দ্রে আসেন তিনি। দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারেনি। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে লাইন ছেড়ে গাছের ছায়াতে বসে পড়েন তিনি। ভোট দেওয়ার আশা নিয়ে সেখানে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে বসে আছেন তিনি। শুধু ফাতেমা নয়, তার মতো অনেককে দেখা গেছে সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে অপেক্ষা করতে।
বিলম্ব হওয়ার ব্যাপারে ফাতেমা আক্তার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি শুনেছি ইভিএম ভালোভাবে কাজ করছে না। যার জন্য দেরি হচ্ছে ৷ একটা ভোট কেন্দ্রে ডিস্টাব ইভিএম নিয়ে আসবে কেনো? প্রয়োজেনে নতুন ইভিএম আনুক। মানুষের এত ভোগান্তির তো দরকার নেই। আমরা আসছি, ভোট দিয়ে বাসায় গিয়ে দুপুরের রান্না করব। পরিবারের সবাই খাবে। নিয়মের মধ্যে কাজটা হলে আমাদের জন্য ভালো।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বসে পড়েন ৭০ ঊর্ধ্ব কহিনুর বেগম। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। তারও অভিযোগ ইভিএম নিয়ে। স্লো গতির কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সকাল সাতটার সময় ভোট দিতে আসেন শিউলি বেগম। বেলা ১২টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইভিএম স্লো। এজন্য ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে হাত-পা ব্যথা করছে।
তবে ইভিএম স্লো কাজ করছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করছেন দায়িত্বরত পোলিং অফিসার ইদ্দিস আলী। তিনি বার্তা২৪কম-কে বলেন, এখানে বয়স্ক মানুষ ভোট দিচ্ছে। তারা ইভিএমে ভোট দিতে যেয়ে অধিক সময় নিচ্ছেন। ইভিএমে তিন বাটনে একাধিকবার চাপ দিচ্ছেন। যার কারণে অন্যদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৷ গতকাল মগ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে নারীরা আসেননি। আসলে এই ঝামেলা হতো না।