যাত্রীবাহী ফ্লাইটে আনা হচ্ছে হাসিদুরের মরদেহ, পৌঁছাবে সোমবার দুপুরে

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রীবাহী ফ্লাইটে আনা হচ্ছে হাসিদুরের মরদেহ, পৌঁছাবে সোমবার দুপুরে

যাত্রীবাহী ফ্লাইটে আনা হচ্ছে হাসিদুরের মরদেহ, পৌঁছাবে সোমবার দুপুরে

নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে প্রচন্ড তুষারপাতের কারণে কার্গো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তবে যাত্রীবাহী ফ্লাইটে হাসিদুরের মরদেহ আনার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের অ্যাম্বাসেডরকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ইস্তাবুল-ঢাকা টিকে-০৭২২ ফ্লাইটে তার মরদেহ আনার জন্য বুকড করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার পর মরদেহ দেশে পৌঁছাবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ইউক্রেন থেকে মালদোভা হয়ে রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছায় হাদিসুরের লাশ। সেখানে কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে আজ রাতে বুখারেস্ট থেকে তুরস্ক নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। সেখানে থেকে তুর্কি এয়ারওয়েজের কার্গো ফ্লাইট হাদিসুরকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। আজ রোববার রাত ৮টায় মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল।

হাদিসুর রহমান ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তার মরদেহ নিয়ে একটি ফ্রিজার ভ্যান গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টায় মলদোভার উদ্দেশে রওনা হয়। এর আগে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ হাদিসুরের পরিবারের সম্মতিপত্র চায়। পরে বাংলাদেশ থেকে তার পরিবারের সম্মতিপত্র পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক গত ৯ মার্চ দুপুরে দেশে ফেরেন।

তুরস্ক থেকে রওনা হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দর জলসীমায় নোঙর করে জাহাজটি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে অলিভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। জাহাজটি ২৯ জন নাবিক ও ক্রু নিয়ে সেখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে। গত ২ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিট ও ইউক্রেন সময় ৫টা ২৫ মিনিটে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। হামলায় জাহাজের ব্রিজ ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হন হাদিসুর রহমান।

পরে জীবিত ২৮ নাবিককে ৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইউক্রেনের একটি বাংকারে ‘ফ্রিজআপ’ করে রাখা হয়েছিল হাদিসুরের মরদেহ।