বইমেলার সকালটা শিশুদের, দর্শনার্থী বাড়ে দুপুরে
‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’আজ শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন বইমেলায় সকাল থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে শুরু করেছে। চোখে পড়ে কাঙ্খিত পাঠকদের ভিড়। তবে বইমেলার দ্বিতীয় দিনে প্রথম শিশু প্রহর ছিলো সিসিমপুরসহ বর্ণিল শিশুতোষ বইয়ের জমজমাট আসর। বেলা ১১টার দিকে বইমেলা উন্মুক্ত করতেই শিশুদের আনন্দ দিতে মঞ্চে হাজির হয় ইকরি হালুমদের দল। আর তাতেই শিশু-কিশোরদের পদচারণায় শিশু কর্নার মুখোরিত হয়ে উঠে। মা-বাবার হাত ধরেই সকাল বেলায় মেলা প্রাঙ্গণে এসে হাজির হয় ক্ষুদে পাঠকের দল। বইয়ের চেয়ে সিসিমপুরের ইকরি হালুমদের প্রতিই তাদের বেশি আকর্ষণ ছিলো। গানে গানে শিশুদের নানা বিষয় শেখানো হয় এই আয়োজনে। এছাড়াও ক্ষুদে পাঠকদের বিভিন্ন রঙের-ঢঙের বইও উল্টে-পাল্টে দেখার দৃশ্য চোখ এড়ায়নি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলার প্রাঙ্গণে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
শিশুদের জন্যে বিশেষভাবে তৈরি স্টলগুলোতে শিশুদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। বুঝুক আর না বুঝুক বই কিনতে হবে। তাই ভিড় ঠেলে নিজের পছন্দের বই অথবা রঙিন প্রচ্ছদের বইয়ের খোঁজ নেয় তারা। বই কেনার জন্য চলে বাবা মায়েদের কাছে বাহানাও। কারও রূপকথার বই পছন্দ কারো বা পছন্দ সায়েন্স ফিকশন, কারো কারো পছন্দ কমিক্স বই। প্রতিবারের মতো এবারও শিশুদের বই পড়ার প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে মেলায় এসেছে নানা রঙের বই।
মেলায় ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছোট্ট আব্রার আনন্দ এসেছে বাবার হাত ধরে। বইমেলায় কেন এসেছে জানতে চাইলে আনন্দ বার্তা২৪.কম-কে জানান, কার্টুনের বই কিনতে এসেছি। সিসিমপুর দেখতে এসেছি।
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই সন্তানদের মেলায় নিয়ে আসার কথা জানান অভিভাবকরাও।
এদিকে, সামনের দিনগুলোয় বইমেলা জমজমাট হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।
মওলা ব্রাদার্স প্রকাশনী'র বিক্রেতা তামিম আল রাজী বার্তা২৪.কম-কে জানান, গতকাল আমরা অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে স্টল খুলতে পারি নি। আজ সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও আস্তে আস্তে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে পাঠকের চেয়ে দর্শকই যেন বেশি। ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই এসেছেন। আমরা আশা করি সামনের দিনগুলিতে বইমেলা আরো জমজমাট হবে।