ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর বিশ্বকাপ একাদশে ৬ ভারতীয় ক্রিকেটার

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের পর্দা নামল ভারতের হাতে শিরোপা ওঠার মাধ্যমেই। অধরা বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ারকে যেন পূর্ণতা দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি সহ আরও অনেকেই। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে নিজেদের সেরা একাদশ ঘোষণা করল ক্রিকেট সংবাদ এবং পরিসংখ্যান ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।

এই একাদশ মূলত ক্রিকইনফোর স্মার্ট পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা ম্যাচের প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে ব্যাটিং এবং বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ইম্প্যাক্ট পয়েন্টও দিয়েছে।

ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং , তিন ক্ষেত্র বিবেচনায়ই মিশ্র দল সাজিয়েছে ক্রিকইনফো। যেখানে সর্বোচ্চ ছয়জন ক্রিকেটার বাছাই করা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন ভারত দল থেকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বসেরা এই একাদশ।

রোহিত শর্মা (রান-২৫৭, স্ট্রাইক রেট-১৫৬.৭০, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৫.৮১)

কঠিন পরিস্থিতিতেও রোহিত তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রতি অটল। এই বিশেষ গুণটিই তাকে এবং ভারত দলকে শেষ পর্যন্ত সফলতা এনে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার ৯২ রান ছিল টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এবং যেকোনো ইনিংসে ব্যাটিং রেটিং পয়েন্টের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেরফান রাদারফোর্ডের অপরাজিত ৬৮ রান আছে প্রথম স্থানে।

রহমানুল্লাহ গুরবাজ (রান-২৮১, স্ট্রাইক রেট-১২৪.৩৩, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৫১.০১)

গুরবাজ এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার সঙ্গী ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী পার্টনারশিপ গড়েছেন। এই জুটি একসাথে মোট ৪৪৬ রান করেছে, যার মধ্যে তিনটি শতকও আছে। যেখানে অন্য কোনো জুটি ৩১২ রানের বেশি করতে পারেনি। আফগানিস্তানের দুটি বড় জয়ের ম্যাচে গুরুবাজ নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮০ এবং ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন।

নিকোলাস পুরান (রান-২২৮, স্ট্রাইক রেট-১৪৬.১৫, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৩৩.৮৯)

পুরান ব্যাট হাতে এবারের বিশ্বকাপে সাত ইনিংসের মধ্যে পাঁচটিতে ২০ এর অধিক রান করেছিলেন এবং নিঃসন্দেহে তার সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স ছিল ৫৩ বলে ৯৮, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৮ রান তুলতে সাহায্য করেছিল। যদিও তার একটি ব্যর্থতা ছিল দলের হয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নকআউট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ রানে আউট হয়েছিলেন।

সূর্যকুমার যাদব (রান-১৯৯, স্ট্রাইক রেট-১৩৫.৩৭, ইম্প্যাক্ট রেটিং-২৯.২৮)

টুর্নামেন্টের শুরুটা ধীরগতির হলেও সূর্যকুমার তার শেষ ছয় ইনিংসের চারটিতেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ২৮ বলে ৫৩ রান ভারতকে ৪ উইকেটে ৯০ রান থেকে ১৮১ রানে নিয়ে যায়। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি রোহিতের সাথে জুটি বেঁধে ভারতের ইনিংসকে আবার প্রাণ ফিরিয়ে দেন। ফাইনাল ম্যাচে শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত এক ক্যাচে মিলারকে আউট করে তো দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। তিনিই একমাত্র নন-ওপেনার যিনি টুর্নামেন্টে চারটি ৩০ রানের বেশি ইনিংস খেলছেন।

হেনরিখ ক্লাসেন (রান-১৯০, স্ট্রাইক রেট-১২৬.৬৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৩১.৪৭)

ক্লাসেনের স্ট্রাইক রেট তার মান অনুযায়ী বেশ কমই দেখাচ্ছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ হল দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনে একাধিক ম্যাচ খেলেছে। তারপরও দলের হয়ে ক্লাসেনের পারফরম্যান্স বাকিদের তুলনায় ভালো ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ৪৪ বলে ৪৬ রান তাদের দলীয় ১১৩ রান করতে সাহায্য করে এবং তাকে ৭৯.৯ ব্যাটিং ইমপ্যাক্ট পয়েন্ট এনে দেয়। এছাড়া ফাইনালে ভারতীয় স্পিনারদের ওপর তার মারকুটে ব্যাটিং তো দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিরোপা জয়ের জন্য খুব কাছে নিয়ে যায়।

মার্কাস স্টয়নিস (রান-১৬৯, স্ট্রাইক রেট-১৬৪.০৭, উইকেট-১০, ইকোনমি-৮.৮৮, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৬২.১৭)

ওমানের বিপক্ষে কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনেও তিনি ৩৬ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন, তারপর ১৯টি বল করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। স্কটল্যান্ডের ১৮০ রান তাড়া করার সময় তার ২৮ বলে ৫৯ রান বড় ভূমিকা পালন করেছে।

হার্দিক পান্ডিয়া (রান-১৪৪, স্ট্রাইক রেট-১৫১.৫৭, উইকেট-১১, ইকোনমি-৭.৬৪, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৫৫.৫৮)

কঠিন আইপিএল আসর শেষ করার পর হার্দিকের জন্য এবারের বিশ্বকাপ দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ছিল। ব্যাট ও বল হাতে তিনি ঠান্ডা মাঠায় কিছু ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছেন। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার ৫০*, ২৭* এবং ২৩ রানের ইনিংসগুলো ভূমিকা রেখেছে। ডেথ-ওভারে তার পাওয়ার-হিটিং দুর্দান্ত ছিল। ফাইনালে তার বোলিং দিয়ে তিনি ক্লাসেন এবং মিলারকে আউট করেন।

অক্ষর প্যাটেল (রান-৯২, স্ট্রাইক রেট-১৩৯.৩৯, উইকেট-৯, ইকোনমি-৭.৮৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৮.২৬)

ভারতের স্কোয়াডে অক্ষর প্যাটেলের থাকাটা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর ছিল। কিন্তু তিনি ঠান্ডা মাথায় নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ফাইনালে তার ৩১ বলে ৪৭ রান ভারতের দ্রুত তিনটি উইকেট হারানোর পর খুব জরুরি ছিল। বল হাতেও ২৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেছেন।

আর্শদীপ সিং (উইকেট-১৭, ইকোনমি-৭.১৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৪.৪৮)

নতুন বলে সুইং করাতে এবং পাওয়ারপ্লেতে ছয় উইকেট নিয়ে তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন। ফজলহক ফারুকির সঙ্গে যৌথভাবে তিনি এবারের আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। জসপ্রিত বুমরাহ স্পষ্টতই দলের সেরা তারকা পেসার হলেও বাঁহাতি এই তরুণ আর্শদীপ যে দলের হয়ে আগামী দিনে দারুণ কিছু করে দেখাবেন তা নিশ্চিত।

জসপ্রীত বুমরাহ (উইকেট-১৫, ইকোনমি-৪.১৭, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৯.৮)

যখনই ভারত সমস্যায় পড়েছে, তখনই অধিনায়ক রোহিতের হাতে সেরা বোলার হিসেবে ছিলেন বুমরাহ। তিনি নতুন বলে অপ্রতিরোধ্য ডেলিভারি করেছেন, মাঝের ওভারে পার্টনারশিপ ভেঙেছেন এবং ডেথ ওভারে নির্ভুল ইয়র্কার ও স্লোয়ার কাটার বোলিং করেছেন। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৪.০৭, মাঝের ওভারে ৪.৭৫ এবং শেষ দিকের ওভারে ৩.৭৮ গড়ে রান দিয়েছেন তিনি যা এই ফরম্যাটে দুর্দান্ত। যেকোনো বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো বোলিং পারফরম্যান্স কারও নেই।

তাবরিজ শামসি (উইকেট-১১, ইকোনমি-৭.৬০, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৩.৭৩)

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম তিনটি ম্যাচ না খেলতে পারার পর শামসি তার প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই নেপালের বিপক্ষে এক রানের রোমাঞ্চকর জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। বল হাতে ১৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে  নেন তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। ফাইনালে বাঁহাতি স্পিনারদের লড়াইয়ে কুলদীপ যাদবকে তিনি ছাড়িয়ে এই একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।

এলপিএলে মাঠে নামছে তাসকিনের কলম্বো স্ট্রাইকার্স



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গতকাল (সোমবার) রাতে ক্যান্ডি ফ্যাল্কন্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ডাম্বুলা সিক্সার্স, যেই দলে আছেন দুই টাইগার ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় ও মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাট হাতে হৃদয় করেছেন মাত্র ১ রান এবং মুস্তাফিজ শিকার করেছেন ১ উইকেট। যদিও তাদের দল শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হারের স্বাদ হজম করেছে।

আজ (মঙ্গলবার) ক্যান্ডি ফ্যাল্কন্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে কলম্বো স্ট্রাইকার্স, যেখানে প্রথমবারের মতো খেলছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় পাল্লেকেলেতে মুখোমুখি হবে দু’দল।

এবারই প্রথম এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে গিয়েছেন তাসকিন। সব ঠিক থাকলে আজ রাতেই এলপিএলে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নিলামে ৫০ হাজার ডলারে তাসকিনকে এবার দলে ভিড়িয়েছে কলম্বো স্ট্রাইকার্স।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচ: ফুটবল-নন্দন আর শক্তি প্রদর্শন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচ, ফাইল ছবি

ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচ, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ হেরেছিল কলম্বিয়া। এরপর জার্মানি, ব্রাজিল ও স্পেনের মতো প্রতিপক্ষকে একে একে হারিয়ে দিয়ে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত দলটি।

হারতে ভুলে যাওয়া দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফের মুখোমুখি ব্রাজিল। কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপ থেকে কলম্বিয়া এরইমধ্যে উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। অন্যদিকে, ব্রাজিলের আছে দুশ্চিন্তা; কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতের পাশাপাশি নকআউট পর্বে তুলনামূলক কম শক্তির প্রতিপক্ষ বাছাইয়ের সুযোগ।

গ্রুপের দুই রাউন্ড শেষ। প্যারাগুয়েকে ২-১ গোলের হারানোর পর কোস্টা রিকাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। অপরদিকে, প্রথম ম্যাচে কোস্টা রিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতেছে সেলেসাওরা।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ হয়নি এখনো, তবে নিশ্চিত হয়েছে কলম্বিয়ার (পয়েন্ট ৬) নকআউট পর্বে উত্তরণ। নিশ্চিত হয়েছে প্যারাগুয়ের বিদায়। ব্রাজিলের (পয়েন্ট ৪) বিপক্ষে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে আশায় আছে এখনো কোস্টা রিকা (পয়েন্ট ১)।


নকআউট পর্বে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে ‘সি’ গ্রুপের রানার্সআপ দল পানামার বিপক্ষে, আর গ্রুপের রানার্সআপ দল খেলবে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল উরুগুয়ের বিপক্ষে। ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ৭ জুলাই ভোর ৪টায় এবং সকাল ৭টায়।

কাতার বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ব্রাজিলের কোচ পরিবর্তন হয়েছে। তিতের পর আরও কয়েক হাত ঘুরে দায়িত্বে এখন দরিভাল জুনিয়র। ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা দরিভাল দায়িত্বে এসে হঠাৎ যে সবকিছু বদলে যাবে এমন আশ্বাস দেননি। সময় চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, এটা পরিবর্তনের সময়, রূপান্তরের সময়। একটা দল রাতারাতি তৈরি করা যায় না। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

তবে ব্রাজিলের ফুটবল এমনই যে, যেখানে থাকে প্রত্যাশার চাপ, ফলাফলের সঙ্গে দেখাতে হয় নান্দনিকতার ছাপ। কাতারে ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অপ্রত্যাশিত ফলাফলে এই অল্প সময়ের মধ্যে র‌্যামন মেনেজেস, ফের্নান্দো দিনিজ কেউ টিকতে পারেননি। দরিভাল জুনিয়রের সামনে তাই কঠিন পরীক্ষা।

কোপা আমেরিকায় দরিভাল জুনিয়রের দল দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান চিরায়ত শৈল্পিক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে প্যারাগুয়েকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরণের ম্যাচ কলম্বিয়া শক্ত প্রতিপক্ষ। তার ওপর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এই দলটির কাছে হেরেওছিল ব্রাজিল। পরীক্ষা তাই শক্ত।


গ্রুপে যে অবস্থান, তাতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে নয়বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তখন প্রতিপক্ষ হবে পানামা। ম্যাচ ড্র হলেও ব্রাজিল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে, তখন সামনে আসবে দারুণ ছন্দে থাকা উরুগুয়ে।

আর হেরে গেলে কী হবে, বাদ কি পড়ে যাবে ব্রাজিল? না, হিসাবটা এত সহজ নয়। দুই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পাওয়া কোস্টা রিকাকে প্রথমে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জিততে হবে, এবং এরপর ঘুচাতে হবে গোল ব্যবধান। দুই ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নেওয়া ব্রাজিল আছে ৩ গোলের অগ্রগামী, অন্যদিকে কোস্টা রিকা রয়েছে ৩ গোলে পিছিয়ে। অর্থাৎ ব্রাজিলের বাদ পড়ার সম্ভাবনা তাই স্রেফ অংকের হিসাব!

সাম্প্রতিক লড়াইয়ের ফল, কোপা আমেরিকায় বর্তমান অবস্থানের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও কলম্বিয়ার আর্জেন্টাইন কোচ নেস্তর লরেন্সো মাটিতে পা রাখছেন। বলছেন, দলটির নাম যখন ব্রাজিল, তখন ম্যাচে কেউ ফেভারিট নয়। কলম্বিয়া ইতিহাসের কয়েকটি পাতা লিখেছে উল্লেখ করে বলছেন তিনি, তারা আছেন ইতিহাস সমৃদ্ধ করতে।

কলম্বিয়ার ইতিহাস সমৃদ্ধকরণ নাকি ব্রাজিলের প্রত্যাবর্তন, লেখা শুরু হবে ক্যালিফোর্নিয়ার লেভিস স্টেডিয়ামে; বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা থেকে। দারুণ ফর্মে থাকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, লুকাস পাকেতার সাথে লুইস দিয়াস ও জেমস রদ্রিগেসদের ম্যাচে থাকবে নান্দনিকতা, সঙ্গে শক্তির প্রদর্শনীও।

হেড-টু-হেড
ম্যাচ: ৩৬, ব্রাজিল: ২১, কলম্বিয়া: ৪, ড্র: ১১।

সবশেষ ৫ ম্যাচের ফল
১৬ নভেম্বর ২০২৩: কলম্বিয়া ২-১ ব্রাজিল
১১ নভেম্বর ২০২১: ব্রাজিল ১-০ কলম্বিয়া
১০ অক্টোবর ২০২১: কলম্বিয়া ০-০ ব্রাজিল
২৩ জুন ২০২১: ব্রাজিল ২-১ কলম্বিয়া
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯: ব্রাজিল ২-২ কলম্বিয়া ২

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

বিতর্কিত ক্যাচ নিয়ে নিজেই মুখ খুললেন সূর্য

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে ডেভিড মিলারকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। মূলত সেই ক্যাচটিই ভারতের জয়ে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে। সেই ক্যাচটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই ক্যাচটিই ভারতকে শিরোপা এনে দিয়েছে।

সূর্যকুমারের এমন ক্যাচের পর থেকেই তা নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেরই দাবী, ক্যাচ নেওয়ার সময় সীমানা দড়িতে পা লেগেছিল সূর্যের। ফলে এটি আউট দেওয়া ইছুত হয়নি আম্পায়ারের। ছক্কা হলে ম্যাচটি হয়ত জিতেও যেতে পারত প্রোটিয়ারা।

শেষ পর্যন্ত যে ৭ হারে হারতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। ওই বলটি ক্যাচ না হয়ে ছক্কা হলে ম্যাচটা প্রোটিয়ারা না জিতলেও অন্তত টাই হতে পারত, সুপার ওভারে যেতে পারত। এসব নিয়ে যখন চলছে পক্ষে বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক; তখন আলোচিত সেই ক্যাচ নিয়ে মুখ খুলেছেন সূর্য নিজেই।

ক্যাচ নিয়ে সূর্য বলেন, ‘রোহিত ভাই সাধারণত কখনও লং-অনে দাঁড়ান না কিন্তু সেই মুহূর্তে তিনি সেখানে ছিলেন। তাই যখন বল উপরে ছিল, এক সেকেন্ডের জন্য আমি তার দিকে তাকালাম এবং সে আমার দিকে তাকাল। আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম এবং আমার লক্ষ্য ছিল বলটি ধরা। এবং রোহিত ভাই কাছে থাকলে আমি তার দিকে বল ছুঁড়ে দিতাম। কিন্তু এই চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে সে কোথাও ছিল না, আমি আসলে ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারব না।’

সূর্য আরও বলেন, ‘যখন আমি বলটি উপরে ঠেলে দিয়েছিলাম এবং ক্যাচটি নিয়েছিলাম, আমি জানতাম যে আমি দড়ি স্পর্শ করিনি। এ বিষয়ে আমি সতর্ক ছিলাম। আমি জানতাম আমি যখন বলটিকে ভিতরে ঠেলে দিয়েছে, তখন আমার পা দড়িতে স্পর্শ করেনি। আমি জানতাম এটি একটি সঠিক ক্যাচ ছিল। আর যদি বলটি ছক্কায় হতো তাহলে, সমীকরণ হতো পাঁচ বলে দশ রান। আমরা হয়তো তখনও জিততে পারতাম, কিন্তু ব্যবধান আরও কাছাকাছি হতো।’

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

হাসির খোরাক হয়েছে রোনালদোর কান্না



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলগত শক্তিমত্তা কিংবা তারকা খেলোয়াড়দের সংখ্যা, সবদিকেই স্লোভেনিয়ার চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো শেষ ষোলোর এই ম্যাচে পুরো ম্যাচ জুড়েই সেরকম প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি যেমনটা তার থেকে ভক্ত ও দর্শকরা আশা করেছিল। এমনকি অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টির সুযোগ পেয়েও দলকে জেতাতে পারেননি।

মূল ম্যাচে পেনাল্টি মিস করলেও পরে যদিও টাইব্রেকারে গোল করেছেন পর্তুগিজ গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত জয়ও তুলে নিয়েছে পর্তুগাল। তবে অতিরিক্ত সময়ে রোনালদোর সেই কান্না হৃদয় ছুঁয়েছে বেশিরভাগ ফুটবল সমর্থকেরই। তার এই কান্না দ্বারাই বোজাহ যায় ফুটবলের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা এবং দলকে এগিয়ে না নিতে পারার তীব্র যন্ত্রণা।

তবে ইন্টারনেট জগতে আরেক পক্ষ রোনালদোর এই কান্না নিয়েই করছে মশকরা, রোনালদোর চোখের জল নিয়ে তারা করছে হাসি-তামাশা। মাঠের মধ্যে এরকম অভিজ্ঞ একজন তারকা ফুটবলার, যিনি কিনা আবার দলের অধিনায়ক, তার এরকম পরিস্থিতিতে কান্না করা নিয়ে উঠছে নানা সমালোচনা, অনেকে বলছেন অনেক কথা। যেগুলোর বেশিরভাগই রোনালদোকে হেয় করে বলা হচ্ছে।

একজন ফুটবল দর্শক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ম্যাচ চলাকালে এভাবে কান্না করতে পারেন না আপনি।’।

আরেকজন লিখেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাঝমাঠে বসে বাচ্চা একটি মেয়ের মতো কাঁদছেন।’

একজন তার এক্স অ্যাকাউন্টে রোনালদোর কান্না নিয়ে লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এই কান্নার চেয়ে মজার আর কিছু হতে পারে না।’

আরেক ফুটবলপ্রেমী রোনালদোর কাঁদার ছবি পোস্ট দিয়েছে তাতে লিখেছেন, ‘রোনালদো কাঁদছেন। কারণ, রোনালদো বুঝে ফেলেছেন যে তিনি শেষ হয়ে গেছেন।’

মূল ম্যাচে রোনালদোর পেনাল্টি মিস করা এবং ফ্রিকিক মিস করা নিয়েও আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘রোনালদো পেনাল্টি মিস করেছেন। তার বিদায়ের সময় এসে গেছে!’

মাঠে খেলার প্রতি রোনালদোর আবেগ দেখিয়ে কাঁদার জন্য এরকম হাসির পাত্র এর আগেও তাকে হতে হয়েছিল। ২০১৬ ইউরো ফাইনালে ম্যাচের শুরুর দিকেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার সময় এভাবেই কষ্টে কেঁদেছিলেন তিনি। এছাড়াও একই বছর টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার ফাইনাল হেরে মাঠেই কাঁদছিলেন লিওনেল মেসি, তার সেই কান্নার ছবি নিয়েও কম ট্রল হয়নি। একজন ফুটবল সমর্থক হিসেবে খেলোয়াড়দের আবেগ নিয়ে এই ধরণের ঠাট্টাগুলো একদমই কাম্য নয় বলেই মনে করেন বেশিরভাগ ফুটবলপ্রেমীরা।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;