ফাইনাল হেরেও দল নিয়ে গর্বিত মার্করাম
ক্রিকেট কার্নিভালশিরোপার মঞ্চটা এক সময়ের জন্য যেন প্রস্তুতই হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। ১৫তম ওভারে যখন এক ওভারেই ২৪ রান দিয়ে বসলেন ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেল তখন জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩০ বলে ৩০ রানের। হাতে তখনও ছিল ৬ উইকেট। তবে শেষ পাঁচ বলে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে এইডেন মার্করামের দল স্কোরবোর্ডে যোগ করল কেবল ২২ রান এবং প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রোটিয়ারা হেরে যায় ৭ রানে।
জয়ের একদম দুয়ারে এসেও এমন হার স্বাভাবিকভাবেই বেশ হতাশ করেছে প্রোটিয়াদের। কেনসিংটনের ওভালে স্মৃতি রাখতে এসে যেন তা হয়ে গেল দুঃস্মৃতি। ২৬ বছর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপার কাছে এসেও তা জেতা হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার। অপেক্ষা বাড়ল আরও খানিকটা। তবে এসব ছাপিয়েও দল নিয়ে বেশ গর্বিত তাদের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
মাঝে খেলা সহজ না এলেও ১৭৭ রানের লক্ষ্য়টি ছিল নাগালেই। তবে শেষ দিকে এসে মুহূর্তেই যখন সব পাল্টে গেল তা দেখে রীতিমত হতাশ বনেই যান মার্করাম। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব নিয়ে তিনি বলেন, ‘ লক্ষ্যটা নাগালেই ছিল। ভালো ব্যাটিং করেছি, জয়ের একদম কাছেই ছিলাম, তবে ট্র্যাক ধরে শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারায় হতাশ হয়েছি।’
শেষ ওভার পর্যন্তও লড়াইয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১৬ রান। তবে হার্দিকের প্রথম বলে সূর্যকুমারের দারুণ এক ক্যাচে যখন মিলার ফিরলেন তখনই ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। তবে অধিনায়কের মতে ম্যাচটায় শেষ বল পর্যন্ত লড়েছে প্রোটিয়ারা। ‘শেষ বলটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি (ফাইনালের লড়াই) শেষ হয়নি। আমরা কখনই স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে খেলিনি। শেষে এসে বিষয়গুলো দ্রুতই ঘটে। তবে আমরা নিজেদের যোগ্য ফাইনালিস্ট প্রমাণ করার জন্য শেষ পর্যন্তও দুর্দান্ত এক অবস্থানে পৌঁছেছি।’
নতুন করে তবে ফাইনালের ‘চোকার্স’ তকমা লাগতে যাচ্ছে প্রোটিয়াদের। মার্করাম অবশ্য এতসব ভাবছেন না। তার মতে, প্রোটিয়ারা লড়াই করতেই নামে এবং হারের পরও এই দল নিয়ে তিনি বেশ গর্বিত।