সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া রাশিয়ার
রুশ-ইউক্রেন সংঘাতইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা বেড়েই চলছে রাশিয়ার। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে রাশিয়ান সৈন্যরা হামলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্দ্রো লুকাশেঙ্কো।
পশ্চিমা দেশগুলো- স্নায়ুযুদ্ধের পর বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ সংঘাতের সূচনার আশঙ্কা করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, রুশ বাহিনী তার সাবেক সোভিয়েত প্রতিবেশীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে সীমান্তের কাছাকাছি যেতে শুরু করেছে।
তবে মার্কিন সচিব লয়েড অস্টিন এখনও আশা করেন রাশিয়া সংঘাতের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসবে। লিথুয়ানিয়া সফরকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণ অনিবার্য ছিল না।
বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলছে, সব ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিকের নেতা ডেনিস পুশিলিন পুরো সৈন্য মোতায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণা যুদ্ধের উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলে পশ্চিমাদেশগুলো মনে করছে। সেই সঙ্গে তারা সৈন্য মোতায়েনকে রাশিয়া অজুহাত হিসেবে ঘোষণা করবে আশঙ্কা করছে।
এর আগে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নারী ও শিশুদের সরিয়ে নেওয়া আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপরেই সংগঠনটি সৈন্য সমাবেশের ঘোষণা দিলো।
এক ভিডিও বিবৃতিতে ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, তিনি সামরিক সৈন্য মোতায়নের বিষয়ে একটি স্বাক্ষর করেছেন এবং সবাইকে হাতে একটি অস্ত্র রাখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরুষদের সামরিক কমিশনে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন।