রুশ সমর্থিত ইউক্রেনের অঞ্চলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
রুশ-ইউক্রেন সংঘাতপূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত বিচ্ছিন্ন দুইটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। সেখানে শান্তি রক্ষার জন্য সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিনের এমন ঘোষণার পরপরই রাশিয়া ও রুশ সমর্থিত ইউক্রেনের অঞ্চল গুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে মার্কিন নতুন বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং অর্থায়ন নিষিদ্ধ করতে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক ইউক্রেনের দুইটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল।
রাশিয়ার আগ্রাসন চলতে থাকলে ওই অঞ্চল দুটিতে কাজ করা ব্যক্তিদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করবে যুক্তরাষ্ট্র।
কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার একটি নতুন সূচনা নির্দেশ করে। যার ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পূর্ব-পশ্চিমে বিপজ্জনক এক সংঘাত জড়িয়ে যেতে পারে।
বাইডেন ইউরোপীয় এবং অন্যান্য মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে একটি জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই জোটের নেতারা বলেছে, ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সৈন্যরা আক্রমণ শুরু করলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটিকে পঙ্গু করে দেওয়া হবে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন। ভাষণের আগে তিনি দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে ডিক্রিতে সই করেন।
ভাষণে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলির সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, রাশিয়ার জনগণ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে।
সূত্র:এনডিটিভি