নিরাপদ বলে বিন্দু পরিমাণ জায়গাও ইউক্রেনে নেই

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


নাছরিন আক্তার উর্মি, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনাবহর ও সাংবাদিক মার্তা শোকালো (ইনসেটে )। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনাবহর ও সাংবাদিক মার্তা শোকালো (ইনসেটে )। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৩ ফেব্রুয়ারি, বুধবার। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কাটছিল রাতটা। শেষরাতে তখনও জেগেছিলাম। হঠাৎ মোবাইলে স্ক্রিনে ভেসে উঠলো সহকর্মীর মেসেজ। তিনি লিখেছেন—‘ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছেন’। তার মেসেজ পড়ে ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই শুরু বিস্ফোরণ। বাড়ির খুব কাছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম।

কিয়েভ ও আশপাশের বিভিন্ন শহরেও বিস্ফোরণের খবর আসছিল আমাদের (সংবাদকর্মী) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। সবাই জানাচ্ছিলেন—তাদের বাড়ির খুব কাছাকাছি এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটছে।

barta24
আবাসিক ভবনেও হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। ছবি: বিবিসি

কারও বুঝতে বাকি রইলো না—সত্যিই কিয়েভ আক্রমণের মুখে পড়েছে। শুধু ইউক্রেনের পূর্ব দিকের সামনের অঞ্চলে নয়, তিনদিক থেকেই হামলা চালানো হচ্ছিল। রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন জায়গায়ও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনীয়দের জন্য এটি খুব বড় ধরনের ধাক্কা।

barta24
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি। ছবি: বিবিসি

তখন চোখে যেন স্পষ্ট ভাসছিল—ইউক্রেনে আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। রুশ সেনাদের আক্রমণে ইউক্রেন এখন মৃত্যুপুরী। তবে সাধারণ মানুষের জন্য আরও বড় আতঙ্কের কারণ ছিল—শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া। কিয়েভের বাসিন্দারা তখন একে-অন্যের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন।

barta24
বোমা হামলায় জ্বলছে কিয়েভ। ছবি: বিবিসি

তবে আতঙ্কের কেন্দ্রে ছিল ডেনিপার নদীর ওপরের সেতুগুলো। সেখানে প্রথমেই বোমা ফেলতে পারে রাশিয়ার সেনারা। এটি করলে শহরের পূর্বের অংশ থেকে পশ্চিমের অংশ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

টানা ৩০ মিনিট ধরে বিস্ফোরণ চলছেই। ঘরের সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থান করছিলাম আমরা। কী ভেবে আমার ১০ বছরের ছেলেকে কাপড় পরিয়ে তৈরি করছিলাম। ততক্ষণে ভোর হয়ে গেছে। নাস্তা হিসেবে আমরা কিছু একটু খেয়ে নিচ্ছিলাম।

barta24
বিবিসির ইউক্রেনের সম্পাদক মার্তা শোকালো। ছবি: বিবিসি

জানালা থেকে যতটা সম্ভব দূরে বসেছিলাম। ঘরে কোণে একটি মোমবাতি জ্বলছিল। তবে আমার ছেলে খুবই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। একপর্যায়ে ছেলেটা বমি করতে শুরু করল। 

বাড়ির খুব কাছে সুপারমার্কেট। সেখানে হইচই শোনা যাচ্ছিল। উঁকি দিতেই দেখলাম মার্কেটের সামনে বিশাল সারি। এটিএম বুথে ঢুকতে মানুষের হুড়োহুড়ি। বেশিরভাগ পেট্রল স্টেশন খালি হয়ে গেছে।

barta24
সুপারমার্কেট ও বাস স্টপেজে উপচেপড়া ভিড়। ছবি: বিবিসি

অনেকে আতঙ্কে আগেই পেট্রল স্টেশন বন্ধ করেছেন। কারণ সেখানে রাশিয়ার সেনাদের বিমান হামলা চালানোর শঙ্কা বেশি। দৃশ্য দেখে স্পষ্ট—গোটা দেশ ভয়াবহ আক্রমণের মুখে।

শহরের সব রাস্তায় যানজট। অভ্যন্তরীণ এবং শহর থেকে বের হওয়ার মূল রাস্তায় রেড সিগন্যাল। গাড়ির দীর্ঘ সারি, চলছে ধীরগতিতে, যা কিয়েভে একেবারে অচেনা। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। কিন্তু ট্রেনে ওঠা দায়!

barta24
কিয়েভের রাস্তায় নজিরবিহীন যানজট। ছবি: বিবিসি

মানুষের ভিড়ে সিট তো দূরের কথা, দাঁড়িয়ে যাওয়ার উপায়ও নেই। ওদিকে আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির জারি করা সামরিক আইনের কারণে সব বিমান বন্ধ।

রাশিয়ার আক্রমণের আগে বলা হচ্ছিল—ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলো রুশ সেনাদের মূল লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। তবে রুশ সেনারা শুধু সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেনি। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের অসংখ্য আবাসিক ভবনে হামলা করা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের অসংখ্য ছবি আসছিল আমাদের কাছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তা ছড়িয়ে পড়েছে।

barta24
এটিএম বুথে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বিবিসি

রাশিয়ান বাহিনীর বোমা হামলায় ইউক্রেনের সব অঞ্চলই ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকি লভিভ শহর, যেটি পোল্যান্ডের সীমান্তঘেঁষা, সেখানেও হামলার আঁচ পড়েছে। সকালে সেখানে সাইরেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং একজন সংবাদকর্মীকে বোমা হামলা থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে হয়েছিল বলে খবর পেলাম।

barta24
ভীতসন্ত্রস্ত শিশুকে অভয় দিচ্ছেন এক বাবা। ছবি: বিবিসি

আরেক সহকর্মী রাশিয়ার আক্রমণ থেকে নিজের এবং পরিবারের জীবন বাঁচাতে কিয়েভ থেকে বেরিয়ে গেছেন আগেই। তার ধারণা ছিল—গ্রামাঞ্চল শহরের থেকে নিরাপদ হতে পারে। তবে ঘটেছে উল্টোটা। তাদের ভাগ্যে কি ঘটছে, তা তখনও জানা ছিল না।

barta24
রুশ সেনাদের ছোড়া বোমায় রক্তাক্ত এক নারী। ছবি: বিবিসি

কিন্তু উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ থেকে একটি দেশে আক্রমণ করা হলে, সত্যিকার অর্থে আর কোনো নিরাপদ জায়গা থাকে না। ইউক্রেনেও এখন নিরাপদ বলে বিন্দু পরিমাণ জায়গাও নেই। রুশ সেনাদের হামলায় গোটা ইউক্রেনই এখন নরকপুরী।

লেখক: মার্তা শোকালো, বিবিসির ইউক্রেনের সম্পাদক।

   

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;