জি–৭ সম্মেলন চলাকালীন ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি
রুশ-ইউক্রেন সংঘাতজার্মানির মিউনিখে চলছে বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-৭ সম্মেলন। এই সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো। আর এদিকে সম্মেলন চলাকালীন ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি বইছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ সময় কখনো তীব্র হামলা, কখনো আবার হামলার মাত্রা কমিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মুহূর্মূহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। রোববার কিয়েভের বিভিন্ন নিশানায় অন্তত ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এতে ৯ তলা একটি ভবন ধ্বংস হয়ে অন্তত ১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাত বছর বয়সী এক মেয়েসহ ছয়জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ বাহিনী প্রধান।
আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়েছে খালি একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের খেলার মাঠে। কিয়েভের মেয়র বলেছেন, ইউক্রেনকে ‘ভীত-সন্ত্রস্ত’ করতে রাশিয়া এমন হামলা শুরু করেছে।
কেবল কিয়েভই নয় গোটা ইউক্রেনজুড়েই রোববার জোর হামলা শুরু করেছে রুশ সেনারা। কিয়েভ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরের চেরকাসি অঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়েছে।
অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় শহর চেরকাসি, যেখানে একজন মারা গেছে এবং উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চল।
উত্তর-পূর্বের সামি অঞ্চলে মর্টার হামলায় একজন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে খারকিভ অঞ্চলের কাছেও হামলা হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত হামলায় সেখানে ৪ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে হিসাব দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সম্মেলনে জি-৭ ভুক্ত দেশের নেতারা ইউক্রেনের যুদ্ধকে আলোচ্যসূচির শীর্ষে রেখে দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়ায় তিন দিনের শীর্ষ সম্মেলন শুরু করার সময় এই হামলা চালানো হয়৷ এই সম্মেলনে তারা কিয়েভের জন্য আরও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেবেন এবং মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজকে সম্মেলনের ঠিক আগে বলেন, আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভাবছেন কোনো না কোনোভাবে ন্যাটো ও জি-৭ ভেঙে যাবে।
বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জেমস ল্যান্ডেল বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে যুদ্ধের বিষয়ে পশ্চিমা ঐক্য ভেঙে পড়েছে, কিছু নেতা রাশিয়ার সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করছেন এবং অন্যরা ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী, স্থায়ী সমর্থনের ওপর জোর দিচ্ছেন।