জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনে অনুমতি দেবে রাশিয়া

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) পুতিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ফোনালাপের পর ক্রেমলিন এই ঘোষণা দেয়।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন, জাপোরিঝিয়াকে ঘিরে সামরিক তৎপরতার অবসান ঘটাতে হবে এবং মস্কোকে পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।

গত মার্চ থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার দখলে রয়েছে। ইউক্রেনীয় প্রযুক্তিবিদরা এখন রাশিয়ার নির্দেশে এটি পরিচালনা করছে।

ফরাসি ও রুশ নেতাদের মধ্যে ফোনালাপের পর ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন জাতিসংঘের তদন্তকারীদের জাপোরিঝিয়া পরিদর্শন করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছেন।

ক্রেমলিন বলেছে, উভয় নেতাই পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বিশেষজ্ঞদের প্ল্যান্টে পাঠানোর গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন।

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার মহাপরিচালক পুতিনের এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি নিজেই প্ল্যান্ট পরিদর্শনে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক।

রাফায়েল গ্রোসি বলেন, যুদ্ধের এই সময় বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকে আরও হুমকিতে ফেলতে পারে এমন কোনও নতুন পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া জাপোরিঝিয়াকে একটি সেনা ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং প্রায় ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে নতুন করে গোলাবর্ষণ নিয়ে মস্কো ও কিয়েভ একে অপরকে দোষারোপের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জাতিসংঘের মহাসচিব এবং তুরস্ক ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বৈঠকের সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইচ্ছাকৃত রাশিয়ান হামলার সমালোচনা করেন।

জাপোরিঝিয়ার যে কোনো সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হবে আত্মহত্যার শামিল, সতর্ক করে বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। কেন্দ্রটির আশপাশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা সরিয়ে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

   

হাইতিতে গ্যাং সহিংসতায় নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের একটি এলাকায় গ্যাং সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে মরদেহগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতির পোর্ট-অব-প্রিন্সের উপকণ্ঠে পেশন-ভিলে সশস্ত্র গ্যাংদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১০ জন মারা গেছে। এ সময় সূর্যোদয়ের আগে বন্দুকধারীরা লাবোল এবং থমাসিনের পাহাড়ী সম্প্রদায়ের বাড়িঘর লুট করে।

হাইতিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সম্পর্ক নেই।

এদিকে রয়টার্স এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিগুলো জানায়, গুলিবিদ্ধ নিহতদের মরদেহ শহরতলির প্রধান রাস্তা থেকে এবং একটি জ্বালানী স্টেশনের বাইরে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অনেক দিন থেকেই হাইতিতে রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট চলছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংগুলোও বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। এমন অস্থিরতা বিরাজমান পরিস্থিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিও গত সপ্তাহে দ্বীপ দেশ থেকে পুয়ের্তো রিকোতে পালিয়ে যাওয়ার পরে পদত্যাগ করেছেন।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) অনুসারে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারী থেকে পোর্ট-অব-প্রিন্সের মেট্রোপলিটন এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকাকে সশস্ত্র আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। যার ফলে দেশটির প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

অনাহারে মৃত্যুঝুঁকিতে ৩ লাখ গাজাবাসী: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে উত্তর গাজার ৩ লাখ মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। 

বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আইপিসি

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিসি বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশের ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়ের খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে। কোনো অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষ এই মাত্রায় খাদ্যসংকটে থাকলে তাকে দুর্ভিক্ষ বলে বিবেচনা করা হয়। আর গাজার উত্তরাঞ্চলে সেই অবস্থার ৩ গুণেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছেন।

গাজায় ১১ লাখ মানুষ খাদ্যের ‘বিপর্যয়কর’ ঘাটতিতে রয়েছে এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে মৃত্যুর হারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই আইপিসির কাছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন উত্তরাঅঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ করা না হলে সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু আসন্ন। 

আইপিসি সংস্থাটির অনুমান, দুর্ভিক্ষের কারণে যে হারে মানুষ মরতে শুরু করে, গাজায়ও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি আর বিভিন্ন রোগে সাধারণত প্রতি ১০ হাজার জনে ২ জন মারা যায়।

দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন তার মধ্যে গাজার সমগ্র জনসংখ্যার জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশের পাশাপাশি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরু এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজ বলে মনে করছে আইপিসি।

 

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

বাংলাদেশে পাঠাতে পেঁয়াজ কিনছে ভারত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল)। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে এরই মধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ।

নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।

রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে ভারতের বেরসরকারি পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, একদিকে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যদিকে রমজান মাসের জেরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের পুরোনো ক্রেতা বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে হু হু করে। এ পরিস্থিতিতে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রতিদিন পেঁয়াজ পাচার হচ্ছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ইস্যুতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। সেই চিঠিতে তারা বলেছেন, গত ৮ ডিসেম্বরের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে যত পেঁয়াজ ছিল, তার প্রায় ৫০ শতাংশই চোরা পথে দেশের বাইরে গিয়েছে।

এই অভিযোগের যথার্থতা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। কারণ ‘পেঁয়াজের রাজধানী’ বলে পরিচিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭ রুপি থেকে সর্বোচ্চ ১৬ রুপি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে ১০ থেকে ২০ রুপির মধ্যে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে অবশ্য এ দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

হামাসের শীর্ষ সামরিক নেতা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হামাসের ডেপুটি মিলিটারি কমান্ডার মারওয়ান ইসা মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিয়ষক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৮ মার্চ) হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে জ্যাক সুলিভান জানান, হামাস নেতা ইসা এক সপ্তাহ আগে মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের নীচে একটি টানেল কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জেরে এ পর্যন্ত সেখানে হামাসের যত সেনা ও কমান্ডার নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে পদ-পদবির হিসেবে সর্বজ্যেষ্ঠ কমান্ডার ছিলেন মারওয়ান ইসা। হামাসের সামরিক শাখা, ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন তিনি। এছাড়া ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড এর তালিকায়ও তার নাম রয়েছে।

ইসা ১৯৮৭ সালে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন ‘ইন্তিফাদা’র সময় ইসরায়েলে গ্রেফতার হন এবং ৫ বছর কারাভোগ করেছিলেন । পরে ১৯৯৭ সালে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে গাজায় তৎকালী ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) সরকারের হাতে গ্রেফতার হয়ে ২০০০ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।

৭ অক্টোবর থেকে হামাসের অনেক ঊর্ধ্বতন নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের রাজনৈতিক নেতা সালেহ আল-আরৌরি বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠ দাহিয়েহতে বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

এদিকে সোমবারের ব্রিফিংয়ে জ্যাক সুলিভান বলেন, ইসার মতো হামাসের অন্যান্য সামরিক কমান্ডাররাও গাজায় টানেলের নিচে আত্মগোপন করে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে তিনি এটাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হামাসের যেসব শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে আছে তাদের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা করবে।

একইসাথে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহত হওয়ার উচ্চ হারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুলিভান। সেই সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় সামরিক অভিযান চালানো থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;