রুশ নাগরিকদের ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপ ইইউ’র

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার নাগরিকদের ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

বুধবার (৩১ আগস্ট) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মস্কোর সঙ্গে একটি ভিসা চুক্তি স্থগিত করতে সম্মত হয়েছেন। এর ফলে রুশ নাগরিকদের ইইউভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে উঠবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক অভিযান চালানোর কারণে ইউক্রেন এবং ইইউয়ের কিছু সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে পুরোপুরি ভিসা নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানায়। তবে ফ্রান্স এবং জার্মানির মতো অন্য বেশ কয়েকটি দেশ সেই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে।

খবরে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে দশ লাখেরও বেশি রুশ নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণ করেছেন। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি দেশ ও পূর্ব ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেছেন, ইইউ ‘নিজেই নিজের পায়ে গুলি করছে’ এবং এই পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এই সিদ্ধান্তকে ‘অর্ধেক পদক্ষেপ’ বলে সমালোচনা করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল বলেছেন, ব্লকের ২৭ সদস্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে। স্থগিত ওই চুক্তিটি রাশিয়ার নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা পাওয়া সহজ করে দিয়েছিল।

চেক প্রজাতন্ত্রে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে বোরেল এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

রাশিয়ার নাগিরকদের জন্য ইইউ প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা সহজ করার জন্য ২০০৭ সালের একটি ভিসা চুক্তি গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। মূলত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও রাশিয়ার সরকারি প্রতিনিধি এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের লক্ষ্য করে সেসময় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

   

হামাসের শীর্ষ সামরিক নেতা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হামাসের ডেপুটি মিলিটারি কমান্ডার মারওয়ান ইসা মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিয়ষক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৮ মার্চ) হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে জ্যাক সুলিভান জানান, হামাস নেতা ইসা এক সপ্তাহ আগে মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের নীচে একটি টানেল কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জেরে এ পর্যন্ত সেখানে হামাসের যত সেনা ও কমান্ডার নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে পদ-পদবির হিসেবে সর্বজ্যেষ্ঠ কমান্ডার ছিলেন মারওয়ান ইসা। হামাসের সামরিক শাখা, ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন তিনি। এছাড়া ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড এর তালিকায়ও তার নাম রয়েছে।

ইসা ১৯৮৭ সালে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন ‘ইন্তিফাদা’র সময় ইসরায়েলে গ্রেফতার হন এবং ৫ বছর কারাভোগ করেছিলেন । পরে ১৯৯৭ সালে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে গাজায় তৎকালী ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) সরকারের হাতে গ্রেফতার হয়ে ২০০০ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তিনি।

৭ অক্টোবর থেকে হামাসের অনেক ঊর্ধ্বতন নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের রাজনৈতিক নেতা সালেহ আল-আরৌরি বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠ দাহিয়েহতে বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

এদিকে সোমবারের ব্রিফিংয়ে জ্যাক সুলিভান বলেন, ইসার মতো হামাসের অন্যান্য সামরিক কমান্ডাররাও গাজায় টানেলের নিচে আত্মগোপন করে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে তিনি এটাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হামাসের যেসব শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে আছে তাদের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা করবে।

একইসাথে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহত হওয়ার উচ্চ হারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুলিভান। সেই সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় সামরিক অভিযান চালানো থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ৯৯টিই এশিয়ার, শীর্ষে বাংলাদেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ৯৯টিই এশিয়ার, শীর্ষে বাংলাদেশ

দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ৯৯টিই এশিয়ার, শীর্ষে বাংলাদেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ১টি ছাড়া সবগুলোই এশিয়া মহাদেশের। যার মধ্যে বাংলাদেশ সবার শীর্ষে, এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান ও ভারত।

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ জলবায়ু সংকট। যা বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে।

দূষিত ১০০ শহরের মধ্যে ৮৩টি ভারতের। এসব শহর বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার- IQAir) প্রতিবেদন অনুসারে, ১০ বারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুর মানদণ্ড অতিক্রম করেছে।

গবেষণা বলছে, সূক্ষ্ম কণা পদার্থ (PM2.5, এগুলো ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট কণা) দূষণকারীর দীর্ঘমেয়াদি এক্সপোজার, তবে মারাত্মক ক্ষতিকর। ৭ হাজার ৮০০ শহরের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুর মানদণ্ডের রেখেছে। বায়ুর মান সাধারণত, পিএম ২.৫ এর বার্ষিক মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।

আইকিউএয়ার’র গ্লোবাল সিইও ফ্রাঙ্ক হামস বলেন, আমরা দেখছি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বায়ু দূষণের প্রভাব রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দূষণের শহরগুলোতে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছে।

তিনি বলেন, সাধারণত দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলে PM2.5 ফুসফুসের টিস্যুতে আক্রমণ করে। রক্ত ​​​​প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির পোড়ানো, ধুলো ঝড় এবং দাবানল থেকে হয়। এর ফলে হাঁপানি, হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগ দেখা দেয়। এছাড়া শিশু বুদ্ধিবিকাশ বাধাগ্রস্ত করে।

উত্তর ভারতের বিহার রাজ্যের বেগুসরাই শহর গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল। যার গড় বার্ষিক PM2.5 ঘনত্ব ১১৮.৯; যা ডব্লিউএইচও’র মানদণ্ডের ২৩ গুণ বেশি। এটি IQAir র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের গুয়াহাটি, দিল্লী এবং মুল্লানপুর, পাঞ্জাবও দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে।

Caption

 

এশিয়ার দূষিত বায়ু দেশ

২০২৩ সালে বাংলাদেশের গড় বায়ুর গুণমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সুরক্ষা মানদণ্ডকে প্রায় ১৬ বার অতিক্রম করেছে। বায়ুর এই মান বাংলাদেশকে সবচেয়ে খারাপ দূষিত বায়ুর দেশ করে তুলেছে। পাকিস্তান এবং ভারত দূষিত বায়ু দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরেই অবস্থান করছে। এর মধ্যে বায়ু দূষণে শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে ভারতেরই ৯টি।

প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১.৩ বিলিয়ন, এর মধ্যে ৯৬ শতাংশ মানুষ ডব্লিউএইচও’র মানদণ্ডের থেকে সাত গুণ বেশি বায়ুর মান নিয়ে বসবাস করছে।

বায়ু দূষণে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অঞ্চল মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া। গত বছর দূষণে শীর্ষ চারটি দেশটি হলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত এবং তাজিকিস্তান।

দক্ষিণ এশিয়া সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানকে নিয়ে। কারণ জনবহুল শহরের তালিকায় বিশ্বের মধ্যে ৫তম লাহোর, নয়াদিল্লি ৬ষ্ঠ এবং ঢাকা ২৪তম স্থানে রয়েছে।

IQAir গড় বায়ুর গুণমান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ১৩৪ দেশের ৭ হাজার ৮১২টি শহরের মধ্যে ৯২.৫ শতাংশই ডব্লিউএইচও ’র PM2.5 মানদণ্ড অতিক্রম করেছে। মাত্র ১০টি দেশ এবং অঞ্চলের ‘স্বাস্থ্যকর’ বায়ুর গুণমান ছিল। এগুলো হলো- ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পুয়ের্তো রিকো, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বারমুডা, গ্রেনাডা, আইসল্যান্ড, মরিশাস এবং ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া।

বায়ু দূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে বিএমজে-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ু দূষণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫১ লাখ মানুষ মারা যায়। এদিকে, ডব্লিউএইচও বলেছে, ঘরোয়া বায়ু দূষণের প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা গেছে।

আইকিউএয়ার রিপোর্টে বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানো, মানব সৃষ্ট এবং জলবায়ু সংকট বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিনের বান্ধবী সোফি অ্যালোয়াশেকে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সমকামী নারী সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং (৫৫)। পেনির থেকে সাত বছরের ছোট সোফি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিয়ের পোশাকে এবং ফুলের তোড়া হাতে তার এবং সোফির একটি ছবি পোস্ট করে ওং লেখেন- ‘আমরা আনন্দিত যে আমাদের অনেক পরিবার এবং বন্ধুরা আমাদের সঙ্গে এ বিশেষ দিনটি ভাগ করে নিতে পেরেছে।’ 

দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেনি এবং সোফি প্রায় দুই দশক ধরে একসঙ্গে রয়েছেন। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী অ্যাডিলেডের একটি ওয়াইনারিতে বিয়ে করেন তারা। ওং সেনেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। সোফি ও পেনির দুই মেয়ে- অ্যালকজান্দ্রা (১১) এবং হানা (৮)। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে দুই কন্যার জন্ম হয়।  ওং হলেন প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যিনি অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রিসভা পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;

৬২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতেই ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মানুষ যে উত্তাপ অনুভব করছে তার বিচারে ফিলস লাইক টেম্পারেচার ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র গরমের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটু শীতলতার খোঁজে শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছে কোপাকাবানা ও ইপানেমা সমুদ্র সৈকতে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। এটিকেই বলে ‘ফিলস লাইক টেম্পারেচার’।

গত এক দশকের মধ্যে মানুষ এত তাপমাত্রা অনুভব করেনি বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। ব্রাজিল আবহাওয়া অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে রিওতে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছিল।’

অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড় করা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা, রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণ দায়ী বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদেরা।

রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলেই আমাদের আশঙ্কা। কারণ যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, আবাসন বাড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তীব্র গরম–অতিবৃষ্টি–বন্যা–খরা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’

এদিকে রিও যখন গরমে পুড়ছে, অন্যদিকে ভয়াবহ বৃষ্টি আবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

ব্রাজিলের আবহাওয়া তথ্য সংস্থা মেটসুল সতর্ক করে বলেছে, আগামী সপ্তাহটি দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সপ্তাহজুড়েই তীব্র ঝড়–বৃষ্টি হতে পারে।

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত

;